বিজেপি শিবিরের আন্দরেই বাড়ছে ক্ষোভ, শহর জুড়ে অমিতাভ চক্রবর্তী বিরোধী পোস্টার

আবারও বিজেপি শিবিরে ভাঙ্গনের পূর্বাভাস, দলের আন্দরে ক্রমশই চওড়া হচ্ছে ফাটল। খোদ বিজেপি সদর দফতরে কামান দাগলেন বিজেপির বিদ্রোহীরা। সোমবার সকাল থেকেই একের পর এক জেলায় দলের বিদ্রোহীদের সম্ভাব্য নতুন মঞ্চ শ্যামাপ্রসাদ মুখোপাধ্যায় ও পিআর ঠাকুর মঞ্চের পোস্টারে ছয়লাপ হয় এলাকা। সেখানে সুকান্ত-শুভেন্দু-অমিতাভকে দালাল বলেও চিহ্নিত করা হয়েছে। এছাড়া নানান কটূক্তি। পোস্টার পড়ে কলকাতায় বিজেপির সদর দফতর মুরলি ধর সেন লেনের অফিসেও। কে বা কারা লাগিয়েছে তা বোঝার আগেই ক্ষমতাসীনদের মুখে ঝামা ঘষে বিদ্রোহীরা নিজেদের অস্তিত্ব জানিয়ে দেয়। অপ্রস্তুত বিজেপি শিবির শেষ পর্যন্ত বাধ্য হয় লোক ভাড়া করে পার্টি অফিস এলাকার পোস্টার তুলতে। যদিও তার আগে সকলের কাছে চলে গিয়েছে বিজেপির অন্দরমহলের কাদা ছোড়াছুড়ির কেচ্ছা। এইসব দেখে মুচকি হাসির আভাস পাওয়া যাচ্ছে দলের বঞ্চিত রাজ্য নেতাদের মুখে।

শ্যামবাজার থেকে সেন্ট্রাল এভিনিউ, বারাসত থেকে বনগাঁ হয়ে রানাঘাট সর্বত্রই। সব জায়গাতেই আক্রমণের কেন্দ্রবিন্দুতে রয়েছেন সুকান্ত-অমিতাভ, সঙ্গে শুভেন্দু। কী লেখা সেই পোস্টারে ? সেখানে লেখা, ‘বিজেপিকে শেষ করে নিজের আখের গোছানো যাবে না।’ কোথাও বা আবার লেখা ‘পিকের টিমের দালাল অমিতাভ চক্রবর্তী দূর হটো।’ আবার কোথাও এই ত্রয়ীকে ‘বিভীষণ’ বলা হয়েছে। খোদ পার্টি অফিসের দেওয়াল বা চত্বরে বিদ্রোহীরা এই কীর্তি করবে তা ভাবাই যায়নি। শেষে নিজেদের মান সম্মান ঢাকতে সেসব পোস্টার তুলতে লোক পাওয়া না গেলে ভাড়া করে লোক এনে সেসব তোলা হয়। যা দেখে বিদ্রোহীরা বলছেন, এতো সবে কলির সন্ধে, বিজেপির দালাল নেতাদের ঘোল খাইয়ে ছাড়ব। কত জায়গায় পোস্টার ছিঁড়বে ? এবার নেতাদের বাড়ি বাড়ি পোস্টার পড়বে। তখন কারা ছিঁড়বে ? ওদের সঙ্গে পাশের বাড়ির লোকটারও সদ্ভাব নেই! বিজেপির ভাঙনটা যে স্পষ্ট তা আর কেউ অস্বীকার করছেন না।

এই ঘটনা নিয়ে সুকান্ত মজুমদার জানান, বিষয়টি তদন্ত করে দেখা হবে। সিসি টিভি ফুটেজ চেক করে দেখতে হবে কারা এই কাজ করেছে। তৃণমূল মুখপাত্র কুণাল ঘোষ স্পষ্ট বলেন, তৃণমূল বিজেপির এই সার্কাসের মধ্যে কোনও ভাবেই নেই। বিজেপির এটা আদি ও নব্য লড়াই যা এখন প্রকাশ্যে। কিছু ধান্দাবাজ বিজেপি দখল করতে চাইছে তাই পুরানো বিজেপিদের সাথে এই লড়াই হচ্ছে। এর সাথে তৃণমূলের কোনও সম্পর্ক নেই।

Previous articleডায়মন্ড হারবারে পজিটিভিটি রেট ৩ শতাংশের নিচে, ফেসবুকে উচ্ছ্বসিত অভিষেক
Next article৬৩বছরেও ভাইরাল চাকাচক ‘ডান্সিং দাদি’