উত্তরপ্রদেশে বিধানসভা নির্বাচনের আগে ফের চাপের মুখে গেরুয়া শিবির। গোরক্ষপুর থেকে মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথের বিরূদ্ধে প্রার্থী হচ্ছেন চন্দ্রশেখর আজাদ রাবণ। উল্লেখ্য, দলিত চন্দ্রশেখর আজাদের বিধানসভা ভোটে সপা-র সঙ্গে জোট বেঁধে লড়াই্ করার কথা থাকলেও শেষপর্যন্ত মনোমানিল্যের কারণে জোট ভেস্তে যায়। একক শক্তিতে চন্দ্রশেখর নির্বাচনে লড়ার সিদ্ধান্ত নেন। তবে নির্বাচনে আসন সমঝোতার জন্য কংগ্রেসের সঙ্গে তাঁর কথা হয়েছে বলেও জানান তিনি।
উল্লেখ্য, গোরক্ষপুর থেকে রাবণের প্রার্থী হওয়াকে কেন্দ্র করে ইতিমধ্যেই উত্তরপ্রদেশের অন্দরে আলোচনা শুরু হয়েছে। অন্যদিকে, যোগী আদিত্যনাথের মূল প্রতিদ্বন্দ্বী সমাজবাদী পার্টি এখনও ওই আসনের জন্য প্রার্থী ঘোষণা করেনি। ৫ বছর মুখ্যমন্ত্রী থাকার পর এবারের নির্বাচনে প্রথমবার প্রার্থী হিসাবে লড়ছেন যোগী আদিত্যনাথ। কিছুদিন আগেই গোরক্ষপুর কেন্দ্র থেকে তাঁকে প্রার্থী হিসাবে মনোনিত করেছে বিজেপি। প্রথমবার বিধানসভা নির্বাচনে মুখোমুখি হচ্ছেন এই দুই প্রার্থী।
নির্বাচনে প্রার্থী হওয়াকে কেন্দ্র করে চন্দ্রশেখর জানান, তিনি একা বিজেপিকে পরাজিত করতে না পারলেও যোগী আদিত্যনাথকে পরাজিত করাই তাঁর প্রধান লক্ষ্য। গত কয়েক দশক ধরে বিজেপির গড় হিসাবে পরিচিত রয়েছে গোরক্ষপুর। পশ্চিম উত্তরপ্রদেশে অস্তিত্ব না থাকা চন্দ্রশেখর লড়বেন কীভাবে? তা নিয়ে প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছিল।
জানা গিয়েছে, উত্তরপ্রদেশে ৫ বছর যোগী শাসনে দলিত মহিলা থেকে দলিত সমাজের ওপর নির্যাতনের একাধিক অভিযোগ উঠেছে। সেই সমস্ত ইস্যুকে হাতিয়ার করেই আগামী দিনে গোরক্ষপুরে প্রচারে নামতে চাইছেন দলিত নেতা চন্দ্রশেখর। এখন সমাজবাদী পার্টি এবং গোরক্ষপুরের আসনে কংগ্রেস কাকে প্রার্থী হিসাবে নির্বাচিত করবে সেই নিয়েই এখন রাজনৈতিক মহলে জল্পনা চলছে।