“হাতেই পেলাম না চিঠি, শোকজের গল্প জেনে গেল মিডিয়া”! রাজ্য নেতৃত্বকে তোপ জয়প্রকাশের

শোকজ নোটিশ তাঁর হাতে আসার আগে কীভাবে জানতে পারলো মিডিয়া? প্রশ্ন তুললেন জয়প্রকাশ মজুমদার

দল বিরোধী কার্যকলাপ বা মন্তব্যের জেরে বিজেপি (BJP) নেতা জয়প্রকাশ মজুমদারকে (Jayprakash Majumder) শোকজ করল রাজ্য নেতৃত্ব। অথচ তিনি নাকি নিজেই সে খবর জানেন না। বিভিন্ন সংবাদ মাধ্যমের প্রতিনিধিরা ফোন করে এ বিষয়ে তাঁর প্রতিক্রিয়া জানতে চাইলে, তখনই নাকি শোকজের বিষয়টি প্রথম শুনতে পান। এই প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত জয়প্রকাশবাবুর কথায়, “আমি নিজেই এখনও হাতে কোনও চিঠি পাইনি। অথচ আমার শো’কজের চিঠি নাকি বিভিন্ন মিডিয়াতে ঘোরাফেরা করছে। যদি এটা সত্যি হয়, তাহলে কী বুঝতে হবে রাজ্য নেতৃত্ব আগে মিডিয়াকে জানায়, তারপর যাঁকে শোকজ করা হবে তাঁকে জানায়। নাকি দলের নিয়ম বদলে গিয়েছে। এখন আর সরাসরি কোনও পদাধিকারীকে নয়, মিডিয়ার মাধ্যমে শোকজ করার রীতি চালু হয়েছে দলে?”

বিজেপি সূত্রে খবর, জয়প্রকাশ মজুমদার ছাড়াও শোকজ নোটিশ ধরানো হয়েছে আদি বিজেপি নেতা বলে পরিচিত রীতেশ তিওয়ারিকেও। তাঁর কাছেও নাকি শোকজের নোটিশ ইতিমধ্যে চলে গিয়েছে। এ বিষয়ে রীতেশের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি ফোন তোলেননি।

প্রসঙ্গত, বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদারের(Sukanta Majumder) নির্দেশেই জয়প্রকাশ মজুমদারের সল্টলেকের বাসভবনে পাঠানো ওই শোকজ নোটিশে তাঁর মন্তব্যের কারণ দর্শাতে বলা হয়েছে। একজন সিনিয়র নেতা ও দলের মুখপাত্র হয়ে কীভাবে দলের ভাবাবেগ নিয়ে তিনি প্রশ্ন তুলতে পারেন সংবাদমাধ্যমের সামনে, তার লিখিত ব্যাখ্যা চাওয়া হয়েছে জয়প্রকাশবাবুর কাছে। শৃঙ্খলারক্ষা কমিটি এবং রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদারের বক্তব্য অনুসারে দলের অনুশাসনের বাইরে গিয়ে কার্যত শৃঙ্খলাভঙ্গের মতো অপরাধ করেছেন বিজেপির প্রাক্তন রাজ্য সহ-সভাপতি জয়প্রকাশবাবু। আর এখানেই জয়প্রকাশ মজুমদারের পাল্টা যুক্তি, দলের শোকজ নোটিশ তাঁর হাতে আসার আগে কীভাবে জানতে পারলো মিডিয়া? এটা কোন শৃংখলার মধ্যে পড়ে? নাকি এখন দলের নেতাদের শোকজ নোটিশ মিডিয়ার মাধ্যমে জানানোর রীতি চালু হয়েছে রাজ্য বিজেপিতে?

Previous articleনেতাজি সংক্রান্ত একগুচ্ছ প্রশ্ন তুলে কেন্দ্রকে বিঁধল হিন্দু মহাসভা
Next articleবিজেপি-তৃণমূল: নেতাজির মূর্তিতে মাল্যদান নিয়ে রণক্ষেত্র ভাটপাড়া, চলল আক্রমণ পাল্টা আক্রমণ