৭৩ তম সাধারণতন্ত্র দিবস(Republic Day) পালন করছে দেশ। বিশেষ এই দিনে দিল্লির(Delhi) ঐতিহাসিক রাজপথে দেখা গেল শক্তি, সমৃদ্ধি ও সংস্কৃতির ঝলক। অন্যান্যবারের তুলনায় এবার বেশ কিছু নতুনত্বের চমক ছিল সাধারণতন্ত্র দিবসের প্যারেড অনুষ্ঠানে। যার মধ্যে অন্যতম আকর্ষণ ৭৫ বিমান ও হেলিকপ্টারের ফ্লাইপাস্ট। রাষ্ট্রপতি-প্রধানমন্ত্রী(President and Prime Minister) সহ অন্যান্য অতিথিদের উপস্থিতিতে বুধবার সম্পন্ন হয় এই অনুষ্ঠান। করোনাবিধি মেনে এবারের অনুষ্ঠানে সাধারণের উপস্থিতির উপর ছিল নিষেধাজ্ঞা। পাশাপাশি কমিয়ে আনা হয় অনুষ্ঠানের সময়ও।

সকাল থেকে সাধারণতন্ত্র দিবসের অনুষ্ঠানে যা যা হলো

- ৭৩ তম সাধারণতন্ত্র দিবসের অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকে উপস্থিতি হতে দেখা যায় বিশেষ আকর্ষণীয় পোশাকে। তার মাথায় ছিল উত্তরাখণ্ডের বিশেষ টুপি। যাতে আঁকা ছিল উত্তরাখণ্ডের রাজকীয় ব্রম্ভকমল ফুল। কাঁধে ছিল মনিপুরের বিশেষ স্টাল।
- ন্যাশনাল ওয়ার মেমোরিয়াল পৌঁছে দেশের ২৬০০০ শহিদ জওয়ানকে শ্রদ্ধা জানান প্রধানমন্ত্রী। স্বাক্ষর করেন ভিজিটর বুকে। সেখান থেকে সোজা রাজপথ আসেন প্রধানমন্ত্রী। সেখানে হাতজোড় করে তিনি স্বাগত জানান রাষ্ট্রপতি রামনাথ কোবিন্দকে। এরপর পতাকা উত্তোলন ও জাতীয় সংগীতের পাশাপাশি ২১ তোপ-ধ্বনিতে স্যালুট জানানো হয় ভারতের জাতীয় পতাকাকে। এরপর শুরু হয় ঐতিহ্যশালী প্যারেড।
- প্যারেড অনুষ্ঠান শুরু হওয়ার সঙ্গে সঙ্গেই সেনাবাহিনীর চার এমআই-১৭ এবং একটি বি-৫ হেলিকপ্টার ভারতের পতাকা এবং তিন সেনা বাহিনীর পতাকার সঙ্গে আকাশ থেকে রাজপথে ফুলবর্ষণ করে।
- পতাকা উত্তোলন অনুষ্ঠানের পর জম্মু-কাশ্মীর পুলিশের শহিদ এএসআই বাবুরামকে মরণোত্তর অশোক চক্রে সম্মানিত করা হয়।
- রাজপথে এদিন দেখা যায় নারীশক্তির ঝলকও। রাফাল যুদ্ধবিমানের একমাত্র মহিলা ফাইটার পাইলট শিবাঙ্গী সিং স্যালুট জানান রাষ্ট্রপতি রামনাথ কোবিন্দকে। পাশাপাশি দিল্লির রাজপথে প্রদর্শন করা হয় কেন্দ্রীয় সরকার ও বিভিন্ন রাজ্যের ট্যাবলো।
- দেশব্যাপী নৃত্য প্রতিযোগীতার মাধ্যমে বেছে নেওয়া প্রায় ৮০ জন নৃত্য পরিবেশন করেন প্যারেডের অনুষ্ঠানে।
- উল্লেখ্য, চলতি বছরের সাধারণতন্ত্র দিবসের অনুষ্ঠান এবার ৩০ মিনিট দেরি করে শুরু করা হয় ১০:৩০ থেকে, চলে ১২টা পর্যন্ত। অর্থাৎ ৯০ মিনিট। করোনা পরিস্থিতির জেরে রাজপথে প্যারেডের সময়ের পাশাপাশি তার দৈর্ঘ্যও ছোট করা হয়।
- কেন্দ্রীয় সূত্রে জানা গিয়েছে ২৯ জানুয়ারি বিজয় চকে ‘বিটিং রিট্রিট’ অনুষ্ঠানের জন্য একটি ড্রোন শো করার পরিকল্পনা করা হয়েছে যাতে এক হাজার দেশীয় ড্রোন অন্তর্ভুক্ত থাকবে।