Thursday, December 4, 2025

জেলা কমিটিতে ভাই, এবার বিজেপিতে “অধিকারী পরিবারতন্ত্র” কায়েমের পথে শুভেন্দু

Date:

Share post:

স্বপ্ন দেখেছিলেন একুশের ভোটে বাংলায় ক্ষমতায় আসছে বিজেপি (BJP)। স্বপ্ন দেখেছিলেন বাংলায় প্রথম বিজেপি সরকারের প্রথম মুখ্যমন্ত্রী (CM) হওয়ায়। প্রলোভনে হোক, কিংবা অন্য কারণে তৃণমূল (TMC) ছেড়ে যোগ দিয়েছিলেন বিজেপিতে। তবে মমতা (Manata Banerjee) ও সবুজ ঝড়ে শুভেন্দু অধিকারীর (Subhendu Adhikary) সেই স্বপ্নভঙ্গ হয়েছে। ববিতর্কিত ফলাফলে নন্দীগ্রামে (Nandigram) বিধায়ক হয়ে শুভেন্দু এখন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা। বঙ্গ বিজেপি মহলে বলা হয়, শুভেন্দু বিধানসভা ও বিধায়ক সংক্রান্ত বিষয়টি দেখেন। সংগঠনে তাঁর বিশেষ ভূমিকা নেই। কিন্তু তলে তলে শুভেন্দু যে বিজেপির অন্দরে সেই পুরনো স্টাইলে “অধিকারী পরিবারতন্ত্র” কায়েম করতে চলেছেন, সেটা ধীরে ধীরে স্পষ্ট হচ্ছে।

বুধবার, বেশ কয়েকটি সাংগঠনিক জেলা কমিটি ঘোষণা করেছে বিজেপি। তার মধ্যে রয়েছে কাঁথি সাংগঠনিক জেলা কমিটি। যেখানে জ্বল জ্বল করেছে অধিকারী পরিবারের এক সদস্যের নাম। শুভেন্দুর ছোট ভাই সৌম্যেন্দু অধিকারীর হাত ধরে বিজেপির সাংগঠনিক স্তরে এবার ঢুকে পড়ল পূর্ব মেদিনীপুরের আধিকারী পরিবার। কাঁথি সাংগঠনিক জেলার সাধারণ সম্পাদক পদে বসানো হয়েছে সৌম্যেন্দু অধিকারীকে। নতুন জেলা কমিটিতে জায়গা পেয়েই সৌম্যেন্দুর প্রতিক্রিয়া বিধানসভা ভোটের আগে সে গেরুয়া শিবিরে যোগদান করেছিল বলেই নাকি কাঁথিতে বিজেপি ভাল ফল করেছে। তারই পুরস্কার স্বরূপ দলীয় নেতৃত্ব ভরসা রেখেছে। এদিকে শুভেন্দুর ভাই জেলা কমিটিতে ঢুকে পড়লেও, যাঁরা দলের আদি সৈনিক তাঁরাই এখন ব্রাত্য।

সৌম্যেন্দু বিজেপির জেলা কমিটিতে জায়গা পেতেই
তৃণমূলের পক্ষ থেকে কটাক্ষ করে বলা হয়, এটাই অধিকারী পরিবার। এরা যেখানেই যখন থাকে, সেখানে ধাপে ধাপে ক্ষমতার কেন্দ্রে জায়গা করে নেন। বিজেপি দলেও এবার অধিকারী পরিবারতন্ত্র কায়েম হবে। তবে এতে তৃণমূলের কোনও ক্ষতি হবে না। বরং, অধিকারীদের জন্য বিজেপি আরও শেষ হয় যাবে।

উল্লেখ্য, পূর্ব মেদিনীপুর জেলা তৃণমূলে এক সময় কাঁথির অধিকারী পরিবার কার্যত কর্তৃত্ব কায়েম ছিল। শুভেন্দুর এই ছোট ভাই সৌম্যেন্দু ছিলেন কাঁথি পুরসভার প্রাক্তন চেয়ারম্যান এবং প্রশাসক। শুভেন্দু ছিলেন রাজ্যের মন্ত্রী। বাবা শিশির অধিকারী এখনও খাতায়কলমে কাঁথির সাংসদ। আরেক ভাই দিব্যেন্দু অধিকারীও তমলুকের সাংসদ। নিজেকে এখনও তৃণমূলী বলে দাবিও করেন।

আরও পড়ুন- জিতেন তিওয়ারিকে “মোষ” বলে কটাক্ষ অনুব্রতর! কিন্তু কেন?

 

spot_img

Related articles

কমিশনের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন! দ্রুত কমছে এসআইআর-এ ভোটারহীন বুথ 

এসআইআর-এর ভোটারহীন বা ‘শুষ’ বুথগুলির সংখ্যা দ্রুত কমতে শুরু করেছে। মাত্র ৪৮ ঘণ্টার ব্যবধানে যে সংখ্যা ছিল ২২০৮,...

বহুতল সমস্যা সমাধানে সর্বদা পাশে রাজ্য সরকার: জানালেন মুখ্যমন্ত্রী

বহুতল সমস্যা সমাধানে রাজ্য সরকার তথা তৃণমূল কংগ্রেস পাশে থাকবে। আরও স্পষ্ট ভাবে জানিয়ে দিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। বুধবার...

রাজ্যের শিক্ষক-কর্মীদের জন্য সুখবর: এবার মিলবে অতিরিক্ত ১০% মহার্ঘ ভাতা

স্কুল শিক্ষা দফতরের পক্ষ থেকে ঘোষণা করা হল যে রাজ্যের সরকারি ও সরকারপোষিত স্কুল এবং সংস্কৃত টোলের শিক্ষক...

শিক্ষামন্ত্রী না থাকলে বিজয়ের গোড়ায় পৌঁছানো সম্ভব হত না: কৃতজ্ঞতা প্রকাশ পর্ষদ সভাপতির

রাজনৈতিক অভিসন্ধি থেকে যে ৩২ হাজার প্রাথমিক শিক্ষকের চাকরি বাতিলের নির্দেশ দিয়েছিলেন প্রাক্তন বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়, তা প্রমাণ...