“রাজ্যপাল কি ফোন করে? কাজ করতে সমস্যা হলে জানাবে”, SP-কে নির্দেশ মুখ্যমন্ত্রীর

বৃহস্পতিবার নেতাজি ইন্ডোর স্টেডিয়ামে প্রশাসনিক বৈঠকে পূর্ব মেদিনীপুরের পুলিশ সুপার কে অমরনাথকে প্রকাশ্যেই জেলার আইনশৃঙ্খলা ব্যবস্থা নিয়ে সতর্ক করেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়(Mamata Banerjee)। “রাজনৈতিক চাপ হোক” কিংবা “রাজ্যপালের ফোন”, কারও দ্বারা প্রভাবিত না হয়ে যেন নিরপেক্ষ ভূমিকা পালন করেন পুলিশ সুপার(SP)। প্রয়োজনে সরাসরি যেন তাঁকে জানানো হয়, এমনই নির্দেশ অমরনাথকে(Amarnath) দিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।

এদিন প্রশাসনিক বৈঠক থেকে পূর্ব মেদিনীপুরের পুলিশ সুপারকে(SP) রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়(Mamata Banerjee) বলেন, “আপনার জেলা সম্পর্কে আমি কিছু অভিযোগ পেয়েছি। কাউকে সাজিয়ে দাঙ্গা লাগানোর চেষ্টা চলছে। পরিকল্পিতভাবে সবটা হচ্ছে। অনেকদিন ধরেই আপনাদের জানানো হয়েছে বিষয়টি। তারপর আমাকে জানানো হয়েছে। এবং আমি হস্তক্ষেপ করেছি।” এর পাশাপাশি তিনি প্রশ্ন করেন, “রাজ্যপাল কি ফোন করছেন? রাজনৈতিক চাপ তৈরি করছেন?”

আরও পড়ুন: আরটিআই করলেই জানা যাবে রাজভবনে কি ফাইল রয়েছে রাজ্যপালকে তোপ স্পিকারের

এদিন প্রশাসনিক বৈঠকে মুখ্যমন্ত্রীর প্রশ্নের মুখে পড়ে পুলিশ সুপার অমরনাথ বলেন, “আমরা তদন্ত করে অ্যাকশন নিয়েছি ম্যাডাম। অতিরিক্ত বাহিনী মোতায়েন করেছি।” এরপর মুখ্যমন্ত্রী আরো বলেন, “যারা দাঙ্গা করে তারা হিন্দু বা মুসলিম কোনও ধর্মেরই নয়। কোনও কোনও পলিটিক্যাল লিডার পিছন থেকে ইন্ধন দেয়, তাই দাঙ্গা হয়। সুতরাং এটা তোমাকে কড়া ভাবে দেখতে হবে।” এখানেই না থেমে সরাসরি ওই পুলিশ আধিকারিককে তিনি জিজ্ঞাসা করেন, “তোমার কি ওখানে কাজ করতে ভয় করছে? তোমাকে কি রাজ্যপাল ফোন করেন? এটা করবে না, ওটা করবে না, সেটা করবে না…। তোমার ও সব দেখার দরকার নেই। মনে রেখো, তুমি রাজ্য সরকারের কাজ করছ। যদি মনে হয় ওখানে কাজ করতে গিয়ে কোনও রকম রাজনৈতিক চাপের মুখে পড়তে হচ্ছে আমাকে সরাসরি জানাতে পারো।”

পূর্ব মেদিনীপুরের পাশাপাশি এদিন আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ে ব্যারাকপুর কমিশনারেটকেও কড়া বার্তা দেন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। গত কয়েকদিনে ইছাপুর এক তৃণমূল নেতা খুন ও হালিশহরে বোমা বিস্ফোরণে মৃত্যুর ঘটনা ঘটেছে। এই সকল ঘটনা প্রসঙ্গ তুলে ব্যারাকপুর কমিশনারেটকে উদ্দেশ্য করে তিনি বলেন, “বাইরে থেকে ক্রিমিনালরা ঢুকছে৷ ২-৩টে পরিকল্পিত ঘটনা ঘটেছে৷ দরকারে এসটিএফ ও কলকাতা পুলিসের সাহায্য নিন৷”

Previous articleSurajit Sengupta: ভেন্টিলেশনেই রয়েছেন প্রাক্তন ফুটবলার সুরজিৎ সেনগুপ্ত
Next articleদারিদ্রসীমার নীচে ১৪ কোটি মানুষ, মোদি সরকারের ‘আচ্ছে দিন’কে কটাক্ষ জহরের