শেষ মুহূর্তের গোলে হার বাঁচাল মারিও রিভেরার দল

এসসি ইস্টবেঙ্গল ২
চেন্নাইয়িন এফসি ২

চেন্নাইয়িন এফসির বিরুদ্ধে দু’গোলে পিছিয়ে পড়েও ম্যাচ ড্র রাখতে সক্ষম হল এসসি ইস্টবেঙ্গল। খেলার ফল ২-২। ড্যারেন ও হামতের গোলে হার বাঁচাল মারিও রিভেরার দল। তবে ড্র করে এক পয়েন্ট পেয়ে শেষ স্থান থেকে উঠে লিগের দশ নম্বরে উঠল লাল-হলুদ। চেন্নাইয়িন এফসি উঠল ছয় নম্বরে।

ডার্বি হার ভুলে চেন্নাইয়িন এফসি-র বিরুদ্ধে ঘুরে দাঁড়াতে মরিয়া ছিল ইস্টবেঙ্গল। কিন্তু ম্যাচ শুরুর ১৫ মিনিটের মধ্যে রক্ষণের ভুলে দু’গোল হজম করে বসে লাল-হলুদ। গোটা লিগে লাল-হলুদ রক্ষণকে নির্ভরতা দেওয়া লেফট ব্যাক হীরা মণ্ডলের ভুলে শুরুতেই ০-২ গোলে পিছিয়ে পড়ে ইস্টবেঙ্গল। দু’টি গোলই হীরার ভুলে।

খেলার ২ মিনিটের মাথায় হীরা আত্মঘাতী গোল করে বসেন। ধাক্কা সামলে ওঠার আগেই ফের হীরার একটি মিস পাস থেকে বল ধরে লাল-হলুদ রক্ষণকে পরাস্ত করে গোল করে যান চেন্নাইয়িনের মণিপুরী উইঙ্গার নানথই মিতাই। শেষ পর্যন্ত চেন্নাইয়িনের অনুকূলে ২-০ স্কোরলাইনেই শেষ হয় প্রথমার্ধের খেলা।

বিরতির পর গোল শোধের চেষ্টায় নতুন উদ্যমে শুরু করে ইস্টবেঙ্গল। ৬১ মিনিটে প্রথম একটি গোল শোধ করে লাল-হলুদ। ফ্রি-কিক থেকে অসাধারণ গোল করেন ড্যারেন সিডওয়েল। এদিন দুর্দান্ত ফুটবল খেললেন ডাচ মিডফিল্ডার। চেন্নাইয়িনের গোলকিপার দেবজিত মজুমদারকে কোনও সুযোগই দেননি ড্যারেন। গোল পেয়ে সমতা ফেরানোর জন্য মরিয়া হয় ইস্টবেঙ্গল। হাই প্রেসিং ফুটবল খেলে মারিও রিভেরার দল। এই সময় কয়েকটি পরিবর্তন করেন ইস্টবেঙ্গল কোচ। চোটের জন্য হীরাকে তুলে নেন রিভেরা। আদিল, পেরোসেভিচ, সৌরভ দাসদের তুলে নামান ফ্রান সোতা, রফিক, হামতে, রাজু গায়কোয়াড়কে। ইনজুরি টাইমের প্রথম মিনিটেই গোল শোধ করে ইস্টবেঙ্গল। আঙ্গুসানার কর্নার থেকে দুরন্ত হেডে বল জালে জড়িয়ে দেন হামতে।

Previous articleKCR: ‘ভোটের জন্য বাংলায় রবীন্দ্রনাথ সাজেন, দক্ষিণে লুঙ্গি পরেন’‌, মোদিকে কটাক্ষ কেসিআরের
Next articleCricket: বড় ধাক্কা রোহিতদের, করোনা-আক্রান্ত শ্রেয়স, ধবন, ঋতুরাজ -সহ ৮