Saturday, December 6, 2025

Antara Reaction: “সলিলদার গান আমার মতো ভালো কেউ গাইতে পারবে না” মজা করে বলেছিলেন লতাজি

Date:

Share post:

অন্তরা চৌধুরী, সঙ্গীতশিল্পী

বাবা বলতেন, লতা মঙ্গেশকর হলেন মা সরস্বতী। আর অদ্ভূত সমাপতন হল এই যে, সরস্বতীপুজোর বিসর্জনের দিনই উনি চলে গেলেন। খুবই কষ্টের একটা দিন। তবে, লতা মঙ্গেশকর (Lata Mangeshkar) একজন কিংবদন্তি। আমার মতে, কিংবদন্তির মৃত্যু হয় না। উনি আমারও সঙ্গীতগুরু ছিলেন। ওঁর গান শুনেই বড় হয়েছি।

তাঁর কাজের ভিতর দিয়ে তিনি সব সময় আমাদের মধ্যে থাকবেন। তাঁর গান অবিস্মরনীয়। বিশেষ করে আমার বাবা সলিল চৌধুরীর (Salil Chowdhuri) সঙ্গে লতাজির যুগলবন্দি এক একটা মুক্তোর মতো। এসব গান কি কখনও পূরণ হবে! আমার তো মনে হয় শুধু আমি কেন, সমস্ত সঙ্গীতপ্রেমী মানুষের মনেই আজীবন বেঁচে থাকবেন লতা মঙ্গেশকর।

লতাজির নিজের শিল্পের উপর অত্যন্ত দখল ছিল। একবার মনে আছে, 2013 সালে ‘সলিল রচনা সংগ্রহ’ নামে একটি বই প্রকাশ করেছিলাম আমরা। সেই বইয়ের মুখবন্ধ লিখে দিয়েছিলেন লতা মঙ্গেশকর। সেই সময় যখন তাঁর সঙ্গে দেখা করি, তিনি হাসতে হাসতে বলেছিলেন, “তোমার বাবার গান আমি যত ভালো গাই আর কেউ সেটা গাইতে পারবে না, আমি চ্যালেঞ্জ করে বলছি।” মজা করেই বলেছিলেন। কিন্তু এটাও ঠিক সলিল চৌধুরীর কম্পোজিশনে লতা মঙ্গেশকরের গান উচ্চতার শিখর ছুঁয়েছিল।

লতা মঙ্গেশকর যে একজন কিংবদন্তী গায়িকা ছিলেন তাই নয়, ওঁর আর একটা গুণ ছিল, উনি যে কোনও গান খুব মন দিয়ে শুনতেন। দূরদর্শনে একবার দেশ রাগের উপর আমার একটি গান শুনে খুব প্রশংসা করেছিলেন লতাজি। পরে দেখা হলে অনেক আশীর্বাদও করেছিলেন, যা আজীবন আমার সঙ্গে থাকবে। অত্যন্ত ভালো মনের মানুষ ছিলেন। খুবই সরল জীবনযাপন। “আজ তবে এইটুকু থাক, বাকি কথা পরে হবে”, “কী যে করি দূরে যেতে হয়, সুরে সুরে কাছে যেতে চাই”, “আজ নয় গুনগুন গুঞ্জন প্রেমের… পৃথিবী তোমারে চায়” আজ ঘুরে ফিরে এই গানগুলির কথাই মনে পড়ছে।

 

 

spot_img

Related articles

বাংলাই দেখায় পথ: BLO মৃত্যুতে ক্ষতিপূরণের সিদ্ধান্তে বাধ্য হল কমিশন

বাংলায় মৃত্যু চার বিএলও-র। অসুস্থ হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন অন্তত ১৫ জন। গোটা দেশে ডবল ইঞ্জিন রাজ্যগুলিতে বিএলও...

চিহ্নিত ‘অযোগ্য’দের তালিকা, আদালতের নির্দেশে প্রকাশ এসএসসি-র

কলকাতা হাই কোর্টের নির্দেশে ফের এক তালিকা প্রকাশ এসএসসি-র। ২০১৬ এসএসসি নিয়োগ প্রক্রিয়ায় এসএলএসটি চাকরিপ্রার্থীদের মধ্যে ‘অযোগ্য’ চিহ্নিতদের...

কাজ করার সময়ই অসুস্থ BLO: হাসপাতালে ভর্তির সংখ্যা আরও বাড়ল

এসআইআর-এর সময় সীমা বাড়ানো হোক। এই দাবিতে রাজ্যের সিইও দফতরের সামনে লাগাতার আন্দোলনে বিএলও অধিকার রক্ষা মঞ্চ। যেভাবে...

বাংলা-বিরোধিতায় বিদ্যুৎ-বরাদ্দ কমে ১২ ভাগের ১ ভাগ! অভিষেকের প্রশ্নের নির্লজ্জ উত্তর কেন্দ্রের

পরিকাঠামো। স্বাস্থ্য। একশো দিনের কাজ। শিক্ষা। সব ক্ষেত্রের পরে এবার কোপ বিদ্যুতে! শুধুমাত্র বাংলার প্রতি বিমাতৃসুলভ আচরণে বিদ্যুতের...