বদলেছে রাজনীতির ধরন, সময়ের সঙ্গে পরিবর্তনে আসে সাফল্য, বাম-কংগ্রেসকে বার্তা অভিষেকের

যুগের সঙ্গে পরিবর্তিত হয়েছে রাজনীতি। সময়ের সঙ্গে বদলানোটাই বাস্তবতা। যারা সময়ের সঙ্গে নিজেকে বদলাতে পারে না ব্যর্থতাইয সঙ্গী হয় তাদের। সিপিএম-কংগ্রেসকে নাম ধরে এমনই বার্তা দিলেন তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়।

অভিষেকের কথায়, “সত্তর ও আশির দশকে যখন ভোটযুদ্ধ হত সেই সময় ভাবনা আর এখনকার ভাবনায় বদল অনেক এসেছে। এখন প্রচারের ধরন পরিবর্তন হয়েছে। এবারে তো আমরা বাংলার মেয়েকে মুখ করেই প্রচার করলাম। বাংলা নিজের মেয়েকে চায় এটাই ছিল এবারের ভাবনা।”

বিজেপি বিরোধী বলে নিজেদের প্রচার করা সিপিএম ও কংগ্রেস সম্পর্কে অভিষেকের মূল্যায়ন, “সিপিএম-কংগ্রেস সময়ের সঙ্গে নিজেকে বদলায়নি, বিজেপি বদলেছে। তাদের বিরুদ্ধে লড়াই করতে হলে নিজেদের বদল দরকার। যেটা সিপিএম-কংগ্রেস করেনি। আমরা কংগ্রেসের সঙ্গে পথ চলতে চেয়েছিলাম, কিন্তু অনন্তকাল অপেক্ষা করা সম্ভব নয়। কংগ্রেসের উপর ভরসা রাখলে আদপে বিজেপির শক্তি বাড়বে। তাই সোশ্যাল মিডিয়া নয়, মানুষের দাবি নিয়ে রাস্তাঘাটে, মাঠে-ময়দানে পড়ে থাকতে হবে। এবং যেটা তৃণমূল করছে গোটা দেশজুড়ে। ত্রিপুরা, গোয়া হোক কিংবা মেঘালয়, প্রকৃত বিরোধীর ভূমিকা পালন করছে একমাত্র তৃণমূল।”

অভিষেককে এটাও বলতে শোনা যায়, ২০১৯-এর লোকসভা ভোটের ফলাফল থেকে তৃণমূল শিক্ষা নিয়েছে। এবং এখন সঠিক পথেই এগোচ্ছে। বিজেপির বিরুদ্ধে লড়াই তো তৃণমূল করছে, অন্যরা ভুল বোঝাচ্ছে। মানুষ সঠিক বিচার করবে কে প্রকৃত বিজেপি বিরোধী। কে প্রকৃত অর্থে কেন্দ্রের বিরুদ্ধে লড়াই করছে।

খুব স্বাভাবিকভাবেই প্রশ্ন উঠে, বিজেপির বিরুদ্ধে লড়াই করে তাহলে কংগ্রেস ভাঙাচ্ছে কেন তৃণমূল? অভিষেকের সোজাসাপ্টা উত্তর, গোয়া হোক ত্রিপুরা কিংবা মেঘালয়, যে সমস্ত নেতারা কংগ্রেস ছেড়ে তৃণমূলে যোগ দিয়েছেন তাঁরা যথেষ্ট পরিণত অভিজ্ঞতাসম্পন্ন। তাঁদেরকে অন্তত ভুল বুঝিয়ে দলে টানা যায় না। বিজেপি বিরোধী মনোভাব থেকে কংগ্রেসের ব্যস্ততার জন্যই তৃণমূলে যোগদান করছেন তারা।

আসন্ন উত্তর প্রদেশ বিধানসভা নির্বাচনেও তৃণমূল চায় না বিজেপি বিরোধী ভোট ভাগ হোক। যদি সমাজবাদী পার্টি সেখানে ব্যর্থ হয়, তারপরই উত্তরপ্রদেশের পা রাখবে তৃণমূল, স্পষ্ট করেছেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। তাঁর এই বক্তব্যের মধ্য দিয়েই পরিষ্কার বিজেপি বিরোধী শক্তিকে ভাগ করতে চায় না তৃণমূল। কিন্তু গত কয়েক বছরে দেখা গিয়েছে কংগ্রেস বিভিন্ন নির্বাচনে বিজেপির কাছে হেরেছে আর তৃণমূল বিজেপিকে হারিয়েছে। একইসঙ্গে দেশজুড়ে তৃণমূল কংগ্রেসই যে বিজেপির সবচেয়ে বড় রাজনৈতিক শত্রু, সেটা বোঝাতে অভিষেক বলেন, “আমি ভারতবর্ষের সম্ভবত একমাত্র লোক, যে অমিত শাহের বিরুদ্ধে ফৌজদারি মামলা করেছি।”

আরও পড়ুন- নেত্রীকেই শেষ কথা মানেন, তবু দ্বিমতের কারণ বোঝালেন অভিষেক

Previous articleVidyasagar Mela: মুখ্যমন্ত্রীর উদ্যোগেই বীরসিংহের ভোলবদল: ‘বিদ্যাসাগর মেলা’ উদ্বোধন করে মন্তব্য কুণালের
Next articleদল বাড়লে প্রত্যাশা বাড়ে, প্রার্থী তালিকা নিয়ে ক্ষোভকে স্বাভাবিক মনে করেন অভিষেক