Thursday, August 28, 2025

হয়রানি রুখতে কড়া দাওয়াই: পরিষেবা না দিলে এবার সরকারি কর্মীর ১০ হাজার টাকা জরিমানা

Date:

সরকারি কর্মীদের(Govt employee) কাজে ফাঁকি আটকাতে এবার কঠোর হচ্ছে রাজ্য সরকারে(State govt)। সাধারণ মানুষকে তার প্রাপ্য পরিষেবা না দিয়ে যদি বঞ্চিত করা হয় সে ক্ষেত্রে সেই সরকারি কর্মীকে দিতে হবে ১০ হাজার টাকা জরিমানা। সম্প্রতি এমনই উদ্যোগ নিচ্ছে নবান্ন(Nabanna)। এক্ষেত্রে ‘পশ্চিমবঙ্গ জন পরিষেবা অধিকার আইন, ২০১৩’-তে বদল আনতে চলেছে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের(Mamata Banerjee) সরকার। ইতিমধ্যেই এই সংক্রান্ত আইনের খসড়া জমা পড়েছে রাজ্য আইন দপ্তরে। সমস্ত দিক বিবেচনা করে তারপর তাতে প্রাথমিক ছাড়পত্র দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। অপেক্ষা শুধু মুখ্যমন্ত্রীর সম্মতির। অনুমতি পেয়ে গেলেই আইন পরিবর্তনের চূড়ান্ত প্রস্তুতি শুরু হয়ে যাবে।

পশ্চিমবঙ্গের একটা সময় ছিল যখন সরকারি কর্মীদের মানসিকতা পৌঁছে গিয়েছিল ‘আসি যাই মাইনে পাই’। তবে তৃণমূল সরকার ক্ষমতায় আসার পর ভয়াবহ এই সংস্কৃতি ভাঙার উদ্যোগ নেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। ২০১৩ সালে বিধানসভায় পাশ হয় ‘জন পরিষেবা অধিকার আইন’। উদ্দেশ্য একটাই, সরকারি দপ্তরে এসে সাধারণ মানুষ যাতে হয়রানির শিকার না হন। প্রায় সবক’টি দপ্তরকেই আনা হয় ওই আইনের আওতায়। সরাসরি মানুষের স্বার্থ জড়িত রয়েছে এই ধরনের দপ্তর গুলিতে দেওয়া হয় বাড়তি গুরুত্ব। যেকোনো পরিষেবা দিতে সর্বোচ্চ কত সময় লাগবে তার হিসেব চাওয়া হয় আধিকারিক ও কর্মীদের কাছে। সেই অনুযায়ী নির্দিষ্ট সময়সীমার বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করে দফ্তরগুলি। পুরসভা ও গ্রাম পঞ্চায়েতকেও আনা হয় এর আওতায়।

আরও পড়ুন:West Bengal: কাঁথি পুরভোটে বিজেপির টিকিট পেলেন না অধিকারী পরিবারের কোনও সদস্য

২০১৩ সালের সেই আইন অনুযায়ী নির্ধারিত দিনের মধ্যে পরিষেবা না পেলে অভিযোগ জানাতে পারবেন যে কেউ। কার কাছে নালিশ করতে হবে সে কথাও উল্লেখ করা হয় বিজ্ঞপ্তিতে। সুরাহা না পেলে উচ্চ পদাধিকারীরা কাছেও আবেদন জানানো যাবে যদি গাফিলতি প্রমাণিত হয় সে ক্ষেত্রে সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিকে ১০০০ টাকা পর্যন্ত জরিমানা। গোটা বিষয়টি দেখভালের জন্য গড়া হয় ‘রাইট টু পাবলিক সার্ভিস কমিশন’। যদিও তাতেও পরিস্থিতি স্বাভাবিক হয়নি। কিছু ক্ষেত্রে এখনো গাফিলতি রয়ে গিয়েছে বলে মনে করা হচ্ছে। এই অবস্থায় আইন পরিবর্তনের উদ্যোগী হয়েছে রাজ্য সংশ্লিষ্ট আইনে মূলত দু’টি বদল চাওয়া হয়েছে। প্রথমত, জরিমানার অঙ্ক এক হাজার থেকে বাড়িয়ে ১০ হাজার টাকা করা। দ্বিতীয়ত, কমিশনের দায়িত্ব ও অধিকার আরও বাড়ানোর আর্জি। কেমন অধিকার? যদি কোনও নাগরিক অভিযোগ জানিয়েও সুরাহা না পান, সেক্ষেত্রে যাতে কমিশন হস্তক্ষেপ করতে পারে। জানা গিয়েছে, প্রাথমিকভাবে এই প্রস্তাবে আপত্তি নেই আইন দপ্তরের। তবে চূড়ান্ত অনুমোদন দেবেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ই।

Related articles

সাত লুকের ‘বহুরূপ’ সোহমের, চ্যালেঞ্জ নিয়ে চমকে দিলেন অভিনেতা

যা কখনও হয়নি তা এখন হবে, এবার হবে। সেলিব্রেটিদের রিল - রিয়েলের আলাদা রূপ আর লুক নিয়ে কম...

উন্মুক্ত শৌচমুক্ত ৯৪ পুরসভা, স্বচ্ছতার শংসাপত্র বাংলাকে

শহরাঞ্চলে আর খোলা শৌচের দৃশ্য নেই। পুরসভাগুলির উদ্যোগ এবং পুর দফতরের তদারকিতে উন্মুক্ত শৌচমুক্ত হয়েছে কলকাতা সহ রাজ্যের...

ফাঁকা কেন্দ্রগুলিতে দ্রুত ইআরও–এইআরও নিয়োগের নির্দেশ কমিশনের 

ফাঁকা পড়ে থাকা একাধিক বিধানসভা কেন্দ্রে দ্রুত ইলেক্টোরাল রেজিস্ট্রেশন আধিকারিক (ইআরও) এবং অ্যাসিসটেন্ট ইলেক্টোরাল রেজিস্ট্রেশন আধিকারিক (এইআরও) নিয়োগের...

নথিভুক্ত অথচ নিষ্ক্রিয় রাজনৈতিক দলগুলিকে শুনানিতে তলব করল কমিশন 

নির্বাচন কমিশনের নির্দেশে ফের সক্রিয় হল রাজ্যের মুখ্য নির্বাচনী আধিকারিকের দফতর। নথিভুক্ত হলেও কার্যত নিষ্ক্রিয় রাজনৈতিক দলগুলিকে শুনানিতে...
Exit mobile version