চোখের সামনে গজগামিনী স্টাইলে ক্ষেতের ফসল (crop) নষ্ট করছে তারা, মাথায় হাত মাঠের চাষীদের (farmers)। আবারও সেই হাতির (Elephant) দাপট। সূত্রের শাবক হাতি (Elephant) সহ পাঁচটি হাতির (Elephant) দল আবারও বাঁকুড়ার (Bankura) জয়পুর জঙ্গলে প্রবেশ করেছে। নষ্ট হয়েছে ফল- আনাজ ভর্তি ফসল (crop) । চিন্তার ভাঁজ চাষীদের (farmers) কপালে।

আরও পড়ুনঃ High Court: SSC-নিয়োগের দুটি মামলায় CBI তদন্তের নির্দেশ হাইকোর্টের

বারবার গজরাজের (Elephant) আক্রমণে আতঙ্কে দুচোখের পাতা এক করতে পারছেন না জয়পুর, নতুনগ্রাম সহ বাঁকুড়ার (Bankura) বিস্তীর্ণ এলাকার মানুষ। প্রাকৃতিক দূর্যোগকে সামলে অতিকষ্টে নিজেদের সর্বস্ব দিয়ে ক্ষেতে আলু, পেঁয়াজ, লঙ্কা, টোমেটো, ইত্যাদি ফসল (crop) ফলিয়েছেন চাষীরা। সেই ফসল যদি আবারও হাতির দাপটে নষ্ট হয়ে যায় তাহলে চরম সমস্যায় পড়বেন তাঁরা। চাষীরা বলছেন, এমনিতেই বছরে চার-পাঁচবার হাতির (Elephant) দল হানা দেয় এলাকায়। যার জেরে বারবার ফসলের (crop) ক্ষতি হয়। আবার সেই একই ঘটনার পুনরাবৃত্তি হতে চলেছে বলেই আশঙ্কা তাঁদের।

আরও পড়ুনঃ Suresh Raina: রায়না আইপিএলে দল না পাওয়ায় অবাক গাভাস্কর, না নেওয়ার কারণ ব্যাখ্যা সিএসকের কর্তার

প্রাকৃতিক বিপর্যয়ের কারণে নানা সমস্যার সম্মুখীন হতে হয়েছে চাষীদের। ফের আশায় বুক বেঁধে মহাজনের কাছ থেকে ঋণ নিয়ে আলু চাষ করেছেন তাঁরা। এখন আলু তোলার সময় যদি ওই হাতির দাপটে সবটা নষ্ট হয়ে যায়, তাহলে কীভাবে চলবে সংসার ? শুধু ক্ষেতের ফসলই নয়। ঘরবাড়িও ভাঙচুর হাতির দল। তাই আতঙ্কে রাত জেগে কড়া পাহারা দিচ্ছেন তাঁরা, যাতে নিজেদের পরিশ্রমের ফসলটুকু বাঁচিয়ে রাখা যায়। বনদপ্তরের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, হাতিগুলোর দিকে নজর রাখা হয়েছে। পরবর্তীতে জঙ্গলের ভেতরে প্রবেশ করিয়ে গড়বেতার দিকে পাঠানোর চেষ্টা করা হবে।