বারুইপুরে সামগ্রিক উন্নয়নের বার্তা নিয়ে ১৭-০ করার লক্ষ্যে তৃণমূল

আসন্ন পৌরসভা নির্বাচনে দক্ষিণ ২৪ পরগনার বারুইপুরে হয়ে গেল তৃণমূলের কর্মিসভা। যেখানে উপস্থিত ছিলেন জেলার কো-অর্ডিনেটর তৃণমূলের রাজ্য সাধারণ সম্পাদক কুণাল ঘোষ, দক্ষিণ ২৪ পরগনা তৃণমূলের জেলা সভাপতি শুভাশিস চক্রবর্তী, বিধায়ক শওকত মোল্লা, বিধানসভার অধ্যক্ষ তথা বারুইপুর পশ্চিমের বিধায়ক বিমান বন্দোপাধ্যায়, জেলা তৃণমূলের শ্রমিক নেতা শক্তি মণ্ডল, বিদায়ী চেয়ারম্যান শক্তি রায়চৌধুরী, বিদায়ী ভাইস-চেয়ারম্যান গৌতম দাস, বারুইপুর টাউন তৃণমূলের প্রেসিডেন্ট সুভাষ রায়চৌধুরি, স্বপন মণ্ডল, দক্ষিণ ২৪ পরগনা জেলা পরিষদের উপাধ্যক্ষ জয়ন্ত ভদ্র সহ প্রতিটি ওয়ার্ডের দলীয় প্রার্থীরা।

আগামী ২৭ ফেব্রুয়ারি বারুইপুর পৌরসভা ভোট উপলক্ষ্যে বুধবার পদ্মপুকুর সোনারতরী কমপ্লেক্সে
১৭টি ওয়ার্ডের প্রার্থী, স্থানীয় নেতৃত্ব এবং দলীয় কর্মী-সমর্থকদের প্রয়োজনীয় নির্দেশ এবং উপদেশ দিলেন দলের এই কো-অর্ডিনেটরা। সামগ্রিকভাবে রাজ্য সরকারের এবং গত ৫ বছর পৌরসভার পুরপরিষেবা ক্ষেত্রে উন্নয়নের বার্তা নিয়ে মানুষের কাছে ভোটের আবেদন করতে হবে বলে জানালেন কো-অর্ডিনেটররা।

জেলা সভাপতি শুভাশিস চক্রবর্তী বলেন, “সম্প্রতি, প্রগতি, একতা, আমাদের নেত্রীর নাম মমতা। সবাইকে ঐক্যবদ্ধ হয়ে লড়তে হবে। ডোর টু ডোর প্রচারে জোর দিতে হবে। সবাইকে সংঘবদ্ধ হয়ে কাঁধে কাঁধ রেখে লড়াই করতে হবে। জোর দিতে হবে ডিজিটাল প্রচারে।”

আরও পড়ুন:মৃত্যুর দিনেও রাজনীতি! সন্ধ্যার ‘পদ্মশ্রী’ নিয়ে দিলীপকে কড়া জবাব ফিরহাদের

রাজ্য সাধারণ সম্পাদক কুণাল ঘোষ কর্মিসভায় বলেন, “বারুইপুরের সামগ্রিক উন্নয়নের কথা তুলে ধরে মানুষের বাড়ি বাড়ি পৌঁছে যেতে হবে। প্রয়োজনে তিনবার করে যেতে হবে মানুষের বাড়ি বাড়ি। যাঁরা বিভ্রান্ত হয়ে আগে অন্য দলকে ভোট দিয়েছেন, তাঁদের কাছে গিয়ে আন্তরিকতার সঙ্গে নিজেদের দিকে টানতে হবে।”

তিনি আরও বলেন, “মাথার উপর বিমান বন্দ্যোপাধ্যায় রয়েছেন। তাঁর হাত ধরে বারুইপুরের উন্নয়ন, বিগত দিনে কাউন্সিলরদের পুর পরিষেবার খতিয়ান তুলে ধরতে হবে মানুষের কাছে। একইসঙ্গে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের উন্নয়ন এবং কেন্দ্রীয় সরকারের জনবিরোধী নীতির নেতিবাচক বিষয়গুলি মানুষের সামনে তুলে ধরতে হবে। একই সঙ্গে রাজ্য সরকারের জনমুখী প্রকল্প, পুর পরিষেবার দিকগুলিও মানুষের বাড়ি বাড়ি গিয়ে প্রচার করতে হবে। বারুইপুরের মানুষ যে পুরপরিষেবা পেয়েছে, সেখান থেকে মানুষের ভোটে ১৭-০ করাই আমাদের লক্ষ্য হবে।”

বিধানসভার অধ্যক্ষ বিমান বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, ২০১১ সালে রাজ্যে রাজনৈতিক পরিবর্তনের পর থেকে গোটা রাজ্যের মত বারুইপুর শহর জুড়ে যে উন্নয়নের জোয়ার বইছে, সেই প্রসঙ্গ তুলে ধরে দলীয় প্রার্থী ও কর্মিসমর্থকের মানুষের কাছে গিয়ে ভোট চাওয়ার আবেদন রাখার বার্তা দেন।