Mamata: কোচবিহারের স্থানীয় ‘নারায়ণী সেনা’-দের চাকরির প্রস্তাব মুখ্যমন্ত্রীর, চিলা রায়ের গ্র্যান্ড মূর্তি স্থাপনের ঘোষণা

চিলা রায়ের ৫১২তম জন্মজয়ন্তীতে শ্রদ্ধা জ্ঞাপন মুখ্যমন্ত্রীর।

কোচবিহারের উন্নয়নের পাশাপাশি সেখানকার স্থানীয় বাহিনীকে রাজ্য পুলিশে সিভিক ভলেন্টিয়ারের চাকরির প্রস্তাব দিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Benarjee)। চিলা রায়ের ৫১২তম জন্মজয়ন্তী উপলক্ষ্যে আয়োজিত অনুষ্ঠানে মুখ্যমন্ত্রীকে আমন্ত্রণ জানানো হয়। সেই মতো বুধবার, সিদ্ধেশ্বরী গ্রামে পৌঁছন মুখ্যমন্ত্রী। প্রথমে চিলা রায়ের মূর্তিতে শ্রদ্ধা জ্ঞাপন করেন। মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে একমঞ্চে উপস্থিত ছিলেন ‘গ্রেটার কোচবিহার পিপলস অ্যাসোসিয়েশন (GSPA)’-এর অন্যতম নেতা অনন্ত রায়। মহারাজ বলেই তিনি স্থানীয়দের কাছে পরিচিত। চিলা রায়ে বীরত্বের কথা স্মরণ করেন মমতা। বলেন, চিলের মতো ক্ষিপ্র ভঙ্গিতে শত্রুর মোকাবিলা করতে পারতেন বলেই স্থানীয় মানুষ তাঁর নাম দিয়েছিলেন চিলা রায়। GSPA-এর নেতা অনন্ত রায়ের সঙ্গে মুখ্যমন্ত্রী এক মঞ্চে বসা যথেষ্ট তাৎপর্যপূর্ণ বলে মনে করছে রাজনৈতিক মহল।

মুখ্যমন্ত্রী জানান, তাঁর প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে ১৮লক্ষ টাকা খরচ করে বীর চিলা রায়ের মূর্তি তৈরি করবে রাজ্য সরকার। বাবুরহাটে বসানো হবে সেই গ্র্যান্ড স্ট্যাচু (Grand Statue)। এর পাশাপাশি, বীর চিলা রায়ের নামে রাস্তার নামকরণ, কোচবিহার দু’নম্বরে ৭৫ লক্ষ টাকা খরচ করে কমিউনিটি হল তৈরি হবে বলেও জানান মমতা।

চিলা রায়ের প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে রাজ্য পুলিশে (Police) নারায়ণী সেনা ব্যাটালিয়ান তৈরি করেছে রাজ্য সরকার। মুখ্যমন্ত্রী বলেন, তিনি অনুষ্ঠানস্থলে আসার সময় দেখেন রাস্তায় ৭০০-৮০০ মানুষ সাদা পোশাক করে দাঁড়িয়ে আছে। মুখ্যমন্ত্রী জানতে পারেন তাঁরা স্থানীয় নারায়ণী সেনা। তাঁদের রাজ্য পুলিশে সিভিক ভলেন্টিয়ার চাকরির প্রস্তাব দেন মমতা। বলেন, তাঁরা যদি চান তাহলে পুলিশে যোগ দিয়ে সামাজিক কাজে অংশগ্রহণ করতে পারেন।

পাশাপাশি মুখ্যমন্ত্রী জানান, কোচবিহারকে (Coochbehar) হেরিটেজ টাউন তৈরি করা হবে। “বিশ্বের সবাই এই জায়গার নাম জানবে”

স্থানীয়দের কাছে অত্যন্ত শ্রদ্ধার জায়গা শিবচণ্ডী মন্দির। মুখ্যমন্ত্রী বলেন, স্থানীয় মানুষ শিবচণ্ডী নামে জয়ধ্বনি দেন। সেই মন্দিরের সংস্কারে ১কোটি টাকা দিচ্ছে রাজ্য সরকার-ঘোষণা মমতার।

ঠাকুর পঞ্চানন বর্মার সম্মানে বিশ্ববিদ্যালয় করেছে রাজ্য সরকার। মমতা জানান, “রাজবংশী ভাষাকে আমরা স্বীকৃতি দিয়েছি”। পঞ্চানন বর্মার বাড়ি সংস্কার করা হবে, তৈরি হবে কামতাপুরী ভাষার উন্নয়নে বোর্ড। কোচবিহারের উন্নয়নে মুখ্যমন্ত্রীর ঘোষণায় আপ্লুত স্থানীয়রা।

আরও পড়ুন:Bappi Lahiri:মুম্বইয়ে হরেকরকম মাছ পাওয়া যায় না বলে দুঃখ করতেন কিংবদন্তী সঙ্গীতশিল্পী বাপি লাহিড়ি