ক্লাসরুমে ফিরতে পেরে মুখ্যমন্ত্রীকে ধন্যবাদ জ্ঞাপন পড়ুয়াদের

আহা কি আনন্দ! বছর দুই পর ক্লাসরুমে ফিরতে পেরে খুশি পড়ুয়ারা (Schools reopen in Bengal for primary, upper-primary students)। ক্লাসরুম থেকে রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে (CM Mamata Banerjee) ধন্যবাদ জ্ঞাপন পড়ুয়াদের। চেনা ক্লাসরুম ফিরে পেয়ে ছাত্রীদের উচ্ছ্বাস নজরে পড়ার মতো।

গত বৃহস্পতিবার নেতাজি ইন্ডোর স্টেডিয়ামে মুখ্যমন্ত্রী বলেন ছোটদের স্কুল খোলা নিয়ে চিন্তাভাবনা করছে রাজ্য সরকার। তারপরই আজ, বুধবার থেকে প্রথম থেকে দ্বাদশ শ্রেণী পর্যন্ত রাজ্যের সরকারি ও সরকার পোষিত সব বিদ্যালয়ে ক্লাস শুরু হল। প্রায় দু’বছর পর ছাত্র-ছাত্রীরা নিজেদের ক্লাসরুম ফিরে পেল (Schools reopen in Bengal for primary, upper-primary students)। পাড়ায় শিক্ষালয় শুরু হলেও ছোটদের ক্লাসরুমের ভেতর পঠন পাঠন হত না। কিন্তু এবার তা অবশেষে হল।

আরও পড়ুন: IFA: প্রাক্তন ফুটবলারদের পেনশন দিতে চলেছে রাজ‍্য সরকার, বৈঠক আইএফএতে

দিনহাটা মিশন গার্লস হাইস্কুলে এদিন ছাত্রীদের উৎসাহ ছিল চোখে পড়ার মতো। করোনা-বিধি মেনে স্কুলের মধ্যে ছাত্রীদের প্রবেশ করানো হয়েছে। দিনহাটা মিশন গার্লস হাইস্কুল গেট ও চত্বর বিভিন্ন রঙিন বেলুন দিয়ে সাজানো হয়েছিল এদিন। এছাড়া ক্লাসরুমে ঢোকার সময় ছাত্রীদের অভিনবভাবে অভ্যর্থনা করা হয়েছে। চন্দনের ফোঁটা, পুষ্প বৃষ্টি ও চকলেট দিয়ে ছাত্রীদের ক্লাসরুমে স্বাগত জানানো হয়েছে। ছাত্রীরা মুখ্যমন্ত্রীকে ধন্যবাদ জানিয়ে ব্যানারে লিখেছে “আহা কি আনন্দ ও আমরা আজ ক্লাসরুম ফিরে পেয়ে ভীষণ খুশি”।

এক ছাত্রী বলেন “আমরা এই দিনটার জন্য অধীর আগ্রহে ছিলাম। আজ সহপাঠীদের ক্লাসরুমে পেয়ে আলাদা অনুভূতি হচ্ছে। এবার প্রত্যেকদিন স্কুলে আসবো”।

স্কুলের এনএসকিউএফ বৃত্তিমূলক বিভাগের শিক্ষক শুভদীপ ভৌমিক বলেন “মাঠে পঠন পাঠন খুব অসুবিধে হতো। ক্লাসরুম মন্দির।  মন্দিরে এতদিন ভগবানের জায়গা ফাঁকা ছিলো। কচি কাঁচারা আবার সেই মন্দিরে ফিরে এসেছে। এবার আরো উজ্জ্বল হয়ে উঠবে শিক্ষার আলয়। প্রার্থনা হবে, ঘণ্টা বাজবে। উফ! কি যে আনন্দ, বিদ্যালয় প্রাণ ফিরে পেলো।” স্কুলের প্রধান শিক্ষিকা সুরাইয়া বেগম এহেন উদ্যোগকে প্রশংসা জানিয়েছেন।

 

Previous articleSandhya Mukhopadhyay: ‘কিছুক্ষন আরও না হয় রহিতে কাছে ‘ – শেষ শ্রদ্ধা ‘গীতশ্রী’কে 
Next articleBappi lahiri : বিদেশ থেকে ছেলে ফিরেই বাপ্পি লাহিড়ীর শেষকৃত্য নিয়ে সিদ্ধান্ত নেবেন