অ-বিজেপি জোটই লক্ষ্য? উদ্ধব ঠাকরের সঙ্গে বৈঠক তেলেঙ্গানার মুখ্যমন্ত্রীর

বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের (CM Mamata Banerjee) দেখানো পথেই মোদি বিরোধিতায় নতুন করে গুটি সাজাচ্ছেন তেলেঙ্গানার মুখ্যমন্ত্রী কে চন্দ্রশেখর রাও (Telengana CM K Chandrashekhar Rao)। তৃণমূল কংগ্রেসের সর্বভারতীয় সভানেত্রীর প্রস্তাবিত জোটের সম্ভাবনা আরও উসকে গেল রবিবার তেলেঙ্গানার মুখ্যমন্ত্রী এবং মহারাষ্ট্রের মুখ্যমন্ত্রী উদ্ধব ঠাকরের (Maharashtra CM Uddhav Thackeray) বৈঠকে।

বিজেপি বিরোধিতার মঞ্চ আরও শক্ত করতে এদিন চন্দ্রশেখর (K Chandrashekhar Rao) প্রথমে মহারাষ্ট্রের মুখ্যমন্ত্রী তথা শিব সেনা সুপ্রিমোর (Uddhav Thackeray) সঙ্গে বৈঠক করেন। উদ্ধবের বাংলো ‘বর্ষা’য় যান কে রাও। বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন শিব সেনার মুখপাত্র তথা দলের অন্যতম শীর্ষনেতা সঞ্জয় রাউত, উদ্ধব ঠাকরের ছোট ছেলে তেজাস ঠাকরে এবং অভিনেতা প্রকাশ রাজও। এদিন তেলেঙ্গানার মুখ্যমন্ত্রীর সফরের আগে থেকেই মুম্বইয়ের আনাচে কানাচে বিজেপি বিরোধী ব্যানার-পোস্টারে ছেয়ে গিয়েছিল। কে রাও মহারাষ্ট্রের মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে বৈঠক সেরে পরে এনসিপি প্রধান শরদ পাওয়ারের সঙ্গে বৈঠকে বসেন।

আরও পড়ুন: পাঞ্জাবে ভোটের দিন ঘরবন্দি সোনু সুদ! কী নির্দেশ ছিল নির্বাচন কমিশনের

মহারাষ্ট্রের মুখ্যমন্ত্রী এবং তেলেঙ্গানার মুখ্যমন্ত্রীর এই বৈঠকের পর নতুন প্রশ্ন ঘুরপাক খাচ্ছে রাজনৈতিক মহলে। কে রাও ঘোষিত তৃতীয় ফ্রন্ট পন্থী। বিজেপির মতো কংগ্রেসের থেকেও সমান দূরত্ব বজায় রাখার পক্ষে চন্দ্রশেখর। আবার শিব সেনা কংগ্রেসের জোটসঙ্গী। তাঁরা কংগ্রেসকে সঙ্গে নিয়েই জোট করার পক্ষে। সেক্ষেত্রে এই দুই দলের মধ্যে কোনও সমীকরণ আদৌ তৈরি হওয়া সম্ভব কিনা, তা নিয়ে রয়েছে সংশয়।

অন্যদিকে, দেশের প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী তথা জনতা দলের প্রধান এইচ ডি দেবগৌড়া কয়েক দিন আগে তেলেঙ্গানার মুখ্যমন্ত্রীকে ডেকেছিলেন। আগামী সময়ে বিজেপি বিরোধী লড়াইয়ে তাঁকে সমর্থন জানিয়েছেন বলেও জানা গিয়েছে৷ মহারাষ্ট্র যাওয়ার আগেই তেলাঙ্গানার মুখ্যমন্ত্রী জানিয়েছিলেন যে তিনি শীঘ্রই মহারাষ্ট্র এবং পশ্চিমবঙ্গের বিজেপি বিরোধী শক্তি উদ্ধব ঠাকরে এবং মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে দেখা করে যথাক্রমে কেন্দ্রে প্রধানমন্ত্রী মোদির নেতৃত্বাধীন সরকারের বিরুদ্ধে বিভিন্ন রাজনৈতিক দলকে একত্রিত করার চেষ্টা করবেন৷

 

Previous articleAlorani: ফের বিতর্কিত মন্তব্য তৃণমূলের বনগাঁর সাংগঠনিক সভাপতি আলোরানির!
Next article‘জয় বাংলা’ বাংলাদেশের জাতীয় স্লোগান