বিজেপি ঘোলা জলে মাছ ধরার চেষ্টা করেছে: আনিস ইস্যুতে বললেন কুণাল

আনিসের(Anis Khan) রহস্য মৃত্যুর ঘটনায় উত্তাল গোটা রাজ্য। ইতিমধ্যেই এই ঘটনায় সিট গঠন করে তদন্ত শুরু করেছে সরকার। গ্রেফতার হয়েছেন ২ পুলিশকর্মী। যদিও শুরু থেকেই এই মৃত্যুর ঘটনায় দ্বিধাবিভক্ত অবস্থা বিজেপির। এই প্রসঙ্গ তুলে ধরেই এদিন কুণাল ঘোষ(Kunal Ghosh) জানালেন, “আনিসের মৃত্যু দুর্ভাগ্যজনক। টিমসি দোষীদের শাস্তি চায়। বামেদের সন্ত্রাসের সময়ে টিএমসি লড়েছে। এখন ন্যায় বিচারের জন্যে লড়ছে। SIT তদন্ত শুরু করেছে। কিন্তু বিজেপি ও বিরোধী দল ঘোলা জলে মাছ ধরার চেষ্টা করেছে। এটা রাজনীতির বিষয় নয়, সময়ও নয়। হত্যাকারীদের শাস্তি দেওয়ার সময়।”

এদিন সাংবাদিক বৈঠক করে বিজেপি তথা শুভেন্দুকে তোপ দেগে তৃণমূল(TMC) মুখপাত্র কুণাল ঘোষ বলেন, “বিজেপি বিভক্ত। আগের দিন মোমবাতি মিছিল করল না। এমন কথা বলল যাতে অশ্রদ্ধা প্রকাশ পায়। এটা কোন বিজেপি? শুভেন্দু এক আর দল এক। কেন মিছিল করল না? শুভেন্দু সহায়তা দেবে বলছে। আসলে বিজেপির দেউলিয়া রাজনীতির নগ্ন ছবি বেরোচ্ছে। হোয়াটসঅ্যাপ, ফেসটাইম কল না করে প্রকাশ্যে মিছিল করল না কেন? আগে ওর মিছিলে যাওয়া উচিত ছিল। একটা ছেলে মারা গিয়েছে সে এন আর সি ও সিএএ বিরুদ্ধে আন্দোলন করেছে বলে তার হয়ে মিছিল করবে না। এটা হাস্যকর বিষয়। তিনি কোন রাজনৈতিক আদর্শে বিশ্বাসী ছিলেন এটা বড় কথা নয়। সিট হয়েছে। রাজনৈতিক অবস্থান জনিত মূল্যায়ন করা উচিত নয়।”

আরও পড়ুন:আনিস কাণ্ডে গ্রেফতার তিন পুলিশ কর্মী, সাংবাদিক বৈঠকে জানালেন রাজ্য পুলিশের ডিজি

এছাড়াও আসন্ন পুরোভোটে বিজেপি তথা দিলীপ ঘোষের কেন্দ্রীয় বাহিনীর দাবি প্রসঙ্গে কুণাল ঘোষ বলেন, “কেন্দ্রীয় বাহিনী শব্দ আসলে নিজেদের ছেলেদের ভুলানোর জন্য ব্যবহার করেন। বিধানসভায় দেখেছি কেন্দ্রীয় বাহিনী নিয়ে বিজেপি ভোট করিয়েছিল। গোহারা হেরেছে। আসলে নিজেদের নেতাদের গ্রহণযোগ্যতা নেই। বাঁশ নিয়ে যা বলেছেন তা প্ররোচনামূলক। প্রার্থী পান না, বুথ এজেন্ট পান না। মানসিক হতাশা থেকে বলছেন।”

পাশাপাশি শুভেন্দুকে চাঁচাছোলা ভাষায় আক্রমণ শানিয়ে কুণাল ঘোষ বলেন, “কাঁথিতে পা রাখলে ওর বুক কাঁপছে। আমার বাবা আমাকে ত্যাজ্যপুত্র করেছে সেটা আমি জানি না, ও জানে। আদালতের নোটিশ পাঠাচ্ছি। সেখানে দেখা হবে। ও এসে প্রমাণ করুক। সবাই বলছে জল পড়ে পাতা নড়ে, পাগলা শুভ মাথা নাড়ে, সবাই তাই বলছে। আসলে ওর নিয়ন্ত্রণ নেই নিজের প্রতি।” পাশাপাশি মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের প্রতি শুভেন্দুর আক্রমণ প্রসঙ্গে কুণাল বলেন, “শুভেন্দু অধিকারী সোনামণি আমার কচি খোকা। যখন দিদিমণি বলেছে সাংসদ, মন্ত্রী হও তখন দিদি ভালো। আর এখন খারাপ।”

এছাড়াও এদিন রাজ্যপালের বিরুদ্ধে সরব হয়ে কুণাল ঘোষ বলেন, “রাজ্যপাল বিজেপির হয়ে কাজ করছে। নানা ভাবে অকারণ জটিলতা তৈরি করা। মনে রাখা উচিত উনি মনোনীত রাজ্যপাল আর এটা নির্বাচিত সরকার। আসলে বিজেপির কথামতো যাতে সরকার মসৃণ ভাবে না চলে সেটা করছেন উনি। তিনি তার এক্তিয়ার থেকে বেরিয়ে গিয়েছেন।

Previous articleতিন ফরম্যাটের নেতৃত্ব, বিরাট সম্মান, দুর্দান্ত অনুভূতি: রোহিত
Next articleKolkata: রাজ্যের প্রথম এবং দেশের দ্বিতীয় ‘এয়ারক্র্যাফট মিউজিয়াম’ এবার কলকাতার নিউটাউনে