চেরনোবিলে ২০ গুণ বেশি ছড়াচ্ছে তেজস্ক্রিয় গামা রশ্মি, আতঙ্কে বিশ্ব

A picture taken on April 13, 2021 shows the giant protective dome built over the sarcophagus covering the destroyed fourth reactor of the Chernobyl Nuclear Power Plant ahead of the upcoming 35th anniversary of the Chernobyl nuclear disaster. (Photo by Sergei SUPINSKY / AFP) (Photo by SERGEI SUPINSKY/AFP via Getty Images)

চেরনোবিলের ভয়াবহ সেই স্মৃতি আজও ভোলেনি বিশ্ব। রাশিয়া-ইউক্রেন(Russia-Ukraine) যুদ্ধে অতীতের সেই দুঃস্বপ্ন আজ ফের নতুন করে টাটকা হয়ে উঠেছে। যার জেরে রীতিমত আতঙ্কিত গোটা বিশ্ব। জানা যাচ্ছে, রাশিয়া চেরনোবিল(Chernobyl) দখল করার পর পারমাণবিক কেন্দ্রের আশেপাশের এলাকায় ব্যাপকভাবে বাড়তে শুরু করেছে তেজস্ক্রিয় গামা রশ্মি। যার জেরে নতুন করে আতঙ্কিত ইউরোপ। পরিস্থিতি আরও ভয়াবহ হয়ে উঠতে পারে বলে অনুমান করছেন বিশেষজ্ঞরা।

ইউক্রেনের তরফে দাবি করা হয়েছে, পারমাণবিক শক্তি উৎপাদন কেন্দ্র ও তার বাইরে লাগোয়া এলাকাগুলিতে তেজস্ক্রিয় গামা রশ্মির বিকিরণের মাত্রা ২০ গুণ বেড়ে গিয়েছে। তবে এই মুহূর্তে বিকিরণ চেরনোবিলের আশেপাশের এক্সক্লুসন জোনেই সীমাবদ্ধ। কিন্তু যেভাবে তা বেড়ে চলেছে তাতে বিকিরণ এক্সক্লুসন জোনের বাইরে চলে যাবে। আর তা যদি হয় সেক্ষেত্রে কত বড় বিপদ উপস্থিত হবে তা বলার অপেক্ষা রাখে না। যদি এই বিকিরণ লোকালয়ের বাইরে চলে আসে সেক্ষেত্রে প্রচুর মানুষের প্রাণহানি ও পঙ্গু হয়ে যাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। জানা গিয়েছে, কিয়েভের খুব কাছে থাকা এই শহর ইতিমধ্যেই দখল করেছে রাশিয়া। তবে তাদের দাবি, তারা এখনও পরমাণু উৎপাদন কেন্দ্রে হাত দেয়নি। তবে মাঝে মধ্যেই এক্সক্লুসন জোনে এসে পড়ছে গোলা-বারুদ। যার জেরেই বেড়ে গিয়েছে এক্সক্লুসন জোনের গামা রশ্মির বিকিরণ। এর পাশাপাশি আরও একটি সম্ভাবনার কথা উঠে এসেছে তা হল, রাশিয়া চেরনোবিল দখল করার পর ভয়ংকর তেজস্ক্রিয় বর্জ্য সঠিকভাবে ব্যবস্থাপনা করতে পারছে না। সেকারণেও বাড়তে পারে বিকিরণ।

আরও পড়ুন:ইউক্রেনে আটকে বাংলার পড়ুয়া: রাজ্যের খোলা কন্ট্রোলরুমে আসছে শয়ে শয়ে ফোন

উল্লেখ্য, ১৯৮৬ সালে দু’টি ভয়ঙ্কর বিস্ফোরণে কেঁপে ওঠে চেরনোবিল পারমাণবিক শক্তি কেন্দ্রের পরমাণু চুল্লি। যার জেরে চুল্লির উপরের প্রায় দু’হাজার টন ওজনের ধাতব ঢাকনাটি উড়ে যায় এক লহমায়। সেই বিকিরণ ছড়িয়ে পড়ে ১ হাজার বর্গ কিলোমিটার এলাকায়। হাজার হাজার মানুষ এতে প্রাণ হারান, ক্ষতিগ্রস্ত হন। ওই এলাকাকে আগামী কয়েক হাজার বছর বসবাসের উপযুক্ত করা যাবে না। সেকারণেই ওই এলাকাকে এক্সক্লুসন জোন হিসাবে ঘোষণা করা হয়েছিল। আপাতত ওই এক্সক্লুসন জোনে তেজস্ক্রিয় বিকিরণ বৃদ্ধি পেয়েছে।

Previous articleআগামিকাল পঞ্চম দফায় ভোট উত্তরপ্রদেশে, ভাগ্য নির্ধারণ হবে ৬৯২ প্রার্থীর
Next articleকাঁথিতে ছেলে শুভেন্দুর কথায় ভোটারদের প্রভাবিত করছেন শিশির, ফাঁস অডিও টেপ