WB Municipal Election: আঁটেসাটো নিরাপত্তায় আজ ১০৮ পুরসভার ভোটগ্রহণ

আঁটোসাটো নিরাপত্তা ব্যবস্থার মধ্যে আজ, রবিবার ১০৮ পুরসভার ভোটগ্রহণ। রাজ্যের ১০৮টি পুরসভায় শান্তিপূর্ণভাবে নির্বাচন করতে তৈরি নির্বাচন কমিশন। কড়া নিরাপত্তার মধ্যে দিয়ে চলবে ভোটগ্রহণ। সকাল ৭টা থেকে বিকেল ৫টা পর্যন্ত ভোটগ্রহণ চলবে ।২ মার্চ পুরভোটের গণনা হবে বলে ঘোষণা করেছে রাজ্য নির্বাচন কমিশন। শনিবার সকাল থেকেই রাজ্য নির্বাচন কমিশনের দপ্তরে কন্ট্রোল রুম খোলা হয়েছে। ভোট পরিচালনার দায়িত্বে ৪৪ হাজার পুলিশকর্মী মোতায়েন করা হয়েছে। ১০৮ পুরসভায় মোট প্রার্থীর সংখ্যা ৮ হাজার ১৬০ জন। ভোটারের সংখ্যা ৯৫ লক্ষের বেশি।

আরও পড়ুন:আনিসকাণ্ডে নয়া মোড়! ক্ষমা চাইলেন আনিসের দাদাকে ফোনে হুমকি দেওয়া ব্যক্তি

রাজ্য পুলিশের উপর আস্থা রেখেই ১০৮ পুরসভার ভোট করানো হবে। ভোটে ১০ জন আইএএস অফিসারকে সিনিয়র বিশেষ পর্যবেক্ষক হিসেব নিয়োগ করল রাজ্য নির্বাচন কমিশন। সব মিলিয়ে পুরসভার ভোটে থাকছেন ১৩৫ জন পর্যবেক্ষক। রাজ্য নির্বাচন কমিশনের তরফে জানিয়ে দেওয়া হয়েছে, ১০৮ পুরভোটের নিরাপত্তায় ৪৪ হাজার পুলিশ কর্মী-আধিকারিক মোতায়েন করা হবে। পাশাপাশি ইএফআর, এসটিএফ, কমান্ডো ও র‍্যাফকেও নামানোর সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। কলকাতা হাইকোর্টের সিদ্ধান্তের পরই রাজ্যের প্রত্যেক জেলাশাসককে চিঠি পাঠিয়ে পুরভোটে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ করার নির্দেশ দিয়েছিল রাজ্য নির্বাচন কমিশন। পুরভোটের নিরাপত্তা নিয়ে রাজ্যের স্বরাষ্ট্র সচিব, রাজ্য পুলিশের সঙ্গে বৈঠকে বসেন নির্বাচন কমিশনের শীর্ষ আধিকারিকরা।শনিবার থেকেই ১০ কোম্পানি এসটিএফ (STF), EFR সহ রাজ্য পুলিশের বিশেষ দলের জওয়ানরা টহল দিতে শুরু করে। ১০৮ টি পুরসভার প্রতিটি ওয়ার্ডের বিভিন্ন এলাকায় থাকছে সেই পুলিশ।
• ১০৮টি পুরসভার নির্বাচনে মোট প্রার্থী সংখ্যা ৮ হাজার ১৬০ জন
• ভোটদাতা ৯৫ লক্ষ ৫৯ হাজার ৭৯০ জন
• যার মধ্যে মহিলা ভোটার ৪৭ লক্ষ ৫৯ হাজার ১২০ জন
• বুথের সংখ্যা ২ হাজার ২৭৬টি।

১০৮টি পুরসভার প্রতিটি বুথকেই স্পর্শ কাতর হিসেবে দেখছে রাজ্য নির্বাচন কমিশন। প্রতিটি বুথে থাকছে সশস্ত্র পুলিশ কর্মী। বিশেষ নজর দেওয়া হচ্ছে উত্তর ও দক্ষিণ ২৪ পরগনা, মেদিনীপুর, হুগলি ও বীরভূমে। ইতিমধ্যে সিল করে দেওয়া হয়েছে সীমান্ত এলাকাগুলি। বাড়ানো হয়েছে নাকা চেকিং, এছাড়াও প্রতিটি বুথে থাকছে সিসিটিভি, যা নজরদারি করা হচ্ছে শনিবার থেকেই। সেইসঙ্গে অভিযোগ জানানোর জন্য খোলা থাকছে রাজ্য নির্বাচন কমিশনের কন্ট্রোল রুম।

উল্লেখ্য, এদিকে রাজ্যের পুরভোট হওয়ার আগেই বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় একাধিক জায়গা দখল করেছে তৃণমূল কংগ্রেস। বসিরহাট মহাকুমার টাকি পৌরসভায় ছয়জন প্রার্থী  মনোনয়নপত্র প্রত্যাহার করেছে। বিজেপি সিপিএম কংগ্রেস থেকে প্রায় ৫০ জন তৃণমূল কংগ্রেসে যোগদান করেন। এরপরেই বিনা প্রতিদ্বন্দীতায় ছয় জন তৃণমূল প্রার্থী জয়ী হন।  বিনাপ্রতিদ্বন্দ্বিতায় ইসলামপুর পুরসভার ৮ নং ওয়ার্ডের তৃণমূল প্রার্থীও জয়ী হয়েছেন। শুধু তাই নয় বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় বজবজ, সাঁইথিয়া-সহ দিনহাটা পুরসভার ১৬ আসনের মধ্যে ইতিমধ্যে ৭ আসনই দখল করে নিয়েছে তৃণমূল।

Previous articleআনিসকাণ্ডে নয়া মোড়! ক্ষমা চাইলেন আনিসের দাদাকে ফোনে হুমকি দেওয়া ব্যক্তি
Next article