রাশিয়া-ইউক্রেন(Russia-Ukraine) যুদ্ধের জেরে দেশে ফিরতে মরিয়া ইউক্রেনে আটকে থাকা ভারতীয়রা। প্রাণ বাঁচাতে রোমানিয়া, হাঙ্গেরি, পোল্যান্ড ও স্লোভাকিয়া সীমান্তের উদ্দেশ্যে রওনা দিয়েছে অন্যান্য দেশের বাসিন্দা সহ হাজার হাজার ভারতীয়(India)। তবে সেখানে বেছে বেছে ভারতীয়দের আটকে দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে। এর জেরে স্বাভাবিকভাবেই আতঙ্কিত সেখানে থাকা ভারতীয়রা। এই ঘটনায় কারণ হিসাবে রাষ্ট্রসঙ্ঘে(United Nation) ভারতের অবস্থানকে দায়ি করছে বিশেষজ্ঞ মহল।

যুদ্ধের জেরে বর্তমানে বন্ধ রয়েছে ইউক্রেনের আকাশসীমা। এই অবস্থায় সেখানে আটকে থাকা পড়ুয়াদের ফেরাতে ‘অপারেশন গঙ্গা’ শুরু করে মোদি সরকার। ভারতীয়দের বের করে আনতে রোমানিয়া, হাঙ্গেরি, পোল্যান্ড ও স্লোভাকিয়াতে বিমান পাঠাচ্ছে ভারত। ইউক্রেন সীমান্ত পেরিয়ে কোনওমতে পোল্যান্ড সীমান্তে জড়ো হয়েছেন বহু ভারতীয়। তবে বেশিরভাগকেই সীমান্ত পার করতে দিচ্ছে না ইউক্রেনের সেনাবাহিনী। সীমান্ত থেকে ঠেলে ইউক্রেনের দিকে পাঠিয়ে দেওয়া হচ্ছে ভারতীয়দের। সোশ্যাল মিডিয়ায় পড়ুয়ারা জানিয়েছেন, আতঙ্ক ছড়াতে বার বার শূন্যে গুলি ছোঁড়া হচ্ছে। প্রায় ৩৬ ঘণ্টা লাইনে দাঁড়িয়ে থাকার পরেও ভিসার লাইন থেকে টেনে টেনে ভারতীয়দের বার করার অভিযোগও রয়েছে। এমনকি ভারতীয়দের জমায়েত লক্ষ্য করে গাড়ি ছুটিয়ে এগিয়ে আসার অভিযোগও উঠেছে সেনার বিরুদ্ধে। মারধর এবং লাথিও নাকি চলেছে মুহুর্মুহু। রোমানিয়া সীমান্তের পরিস্থিতিও প্রায় এক। সেখানেও ভিড় বাড়ছে ভারতীয়দের। শুধু সেনা নয় সাধারণ ইউক্রেনীয়রাও ভারতীয়দের প্রতি ক্ষুব্ধ।
আরও পড়ুন:Ukraine Russia: উৎকণ্ঠা কাটিয়ে ২৪৯ জন ভারতীয়দের নিয়ে দেশে ফিরল বিশেষ বিমান

এই ঘটনার কারণ হিসেবে রাষ্ট্রসঙ্ঘে ভারতের অবস্থানকে দায়ি করছেন আন্তর্জাতিক বিশেষজ্ঞরা। দাবি করা হচ্ছে, ভারতের অবস্থানের কারণে ইউক্রেনে সমস্যার মুখে পড়ছেন ভারতীয়রা। উল্লেখ্য, গত শুক্রবার রাষ্ট্রসঙ্ঘের নিরাপত্তা পরিষদে ইউক্রেন নিয়ে রাশিয়ার বিরুদ্ধে নিন্দা প্রস্তাব পেশ করে আমেরিকা। তবে সেখানে ভোট না দিয়ে কারযত রাশিয়ার পাশেই দাঁড়ায় ভারত। পাশাপাশি যখন ন্যাটো ও মস্কোর হুঙ্কারে পরিস্থিতি ক্রমে পারমাণবিক সংঘাতের দিকে এগোচ্ছে। এহেন পরিস্থিতিতে রাষ্ট্রসংঘের সাধারণ সভার একটি বিশেষ অধিবেশন ডাকার জন্য প্রস্তাব পেশ হয় নিরাপত্তা পরিষদের বৈঠকে। সেই প্রস্তাবের পক্ষে ভোট পড়ে ১১টি। বিপক্ষে ভোট দেয় রাশিয়া। ভোটদানে বিরত থাকে ভারত, চিন ও সংযুক্ত আরব আমিরশাহী। যুদ্ধ বিধ্বস্ত অবস্থায় বারবার নিরব থেকে ভারতের কার্যত রাশিয়াকে সমর্থন মোটেই ভালো চোখে নিচ্ছে না কিয়েভ। তারই ফল ভুগতে হচ্ছে সেখানে থাকা ভারতীয়দের।
