মেধা নয়, কোটাকে গুরুত্ব দিয়ে বিজেপিকে ডুবিয়েছেন, লকেটের বিদ্রোহ এড়াতে গরহাজির শুভেন্দু

এই বৈঠকে বক্তব্য রাখার কথা ছিল বিরোধী দলনেতার। আর তিনিই নেই! জোর জল্পনা গেরুয়া শিবিরে। জল্পনা রাজ্য রাজনৈতিক মহলে

একুশের বিধানসভা ভোট থেকে শুরু। মাঝে একাধিক উপনির্বাচন। পুরনিগম আর সর্বশেষ ১০৮ পৌরসভা ভোট। বঙ্গে বিজেপির রক্তক্ষরণ অব্যাহত। অতীত থেকে শিক্ষা নেয়নি গেরুয়া শিবির, বরং নিজেদের অপদার্থতা ঢাকতে গড্ডালিকা প্রবাহে গা ভাসিয়ে সেই পথেই এগিয়ে যাচ্ছে রাজ্য বিজেপির ক্ষমতাশীল গোষ্ঠী।

একের পর এক নির্বাচনে ভরাডুবির ময়নাতদন্তের জন্য শনিবার ন্যাশনাল লাইব্রেরিতে ছিল বঙ্গ বিজেপির এক বিশেষ বৈঠক। অথচ এমন গুরুত্বপূর্ণ বৈঠকে অনুপস্থিতি খোদ রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। এদিনের এই বৈঠকে বক্তব্য রাখার কথা ছিল বিরোধী দলনেতার। আর তিনিই নেই! জোর জল্পনা গেরুয়া শিবিরে। জল্পনা রাজ্য রাজনৈতিক মহলে!

বিধানসভা-সহ পুরভোটে বিজেপির ভোটব্যাঙ্কে যে ধস নেমেছে তা রুখতে দলের পরবর্তী পদক্ষেপ কী হবে, সেটাই ছিল এদিনের বৈঠকের অন্যতম এজেন্ডা। যে বৈঠকে সুকান্ত মজুমদার, অমিত মালব্য, রাহুল সিনহা, দিলীপ ঘোষ, অগ্নিমিত্রা পল, লকেট চট্টোপাধ্যায়, অর্জুন সিংরা ছিলেন, সেখানে কেন নেই শুভেন্দু? এনিয়ে জোর জল্পনা তৈরি হয় বৈঠকে। ন্যাশনাল লাইব্রেরিতে হওয়া ওই বৈঠকে একাধিক ইস্যু নিয়ে আলোচনা হয়েছে। যার মধ্যে মুখ্য বিষয় ছিল দলের মধ্য সমন্বর তৈরি করা, দলের কোন্দল ও দলীয় কর্মীদের মনোবল চাঙ্গা করে দলকে ঘুরে দাঁড় করানোর শপথ।

কিন্তু কেন নেই শুভেন্দু?

সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নে দু’বার ঢোক গিলে রাহুল সিনহার উত্তর, “ওনার আসার কথা ছিল। কিন্তু আচমকা একটি ব্যক্তিগত কাজ পড়ে যাওয়ায় তিনি আসতে পারেননি।” কিন্তু যে শুভেন্দু দল অন্ত প্রাণ, তিনি এলেন না আচমকা কাজ পড়ে যাওয়ায়! প্রশ্ন উঠছে দলের অন্দরেই। একই প্রশ্নের উত্তরে লকেট চট্টোপাধ্যায় মুখ গম্ভীর করে বলছেন, “উনি কেন এলেন না বলতে পারবো না, জানি না।”

তাহলে কি রাজ্য রাজনীতিতে “সেয়ানা” হিসেবে পরিচিত শুভেন্দু আগে থেকেই আঁচ করেছিলেন, দলের লাগাতার ব্যর্থতায় তাঁর উপর প্রবল আক্রমণ ও সমালোচনা ধেয়ে আসছে পারে তাঁর দিকে? সেটা এড়িয়ে যেতেই কি এমন এক গুরুত্বপূর্ণ বৈঠক এড়িয়ে গেলেন একের পর এক ভোটে বিজেপির প্রচারের মুখ “গাঁয়ে মানে না আপনি মোড়ল” শুভেন্দু? প্রশ্ন উঠছে বঙ্গে বিজেপির অন্দরেই। এই শুভেন্দুর বিরুদ্ধেই দলের একটি বড় অংশের অভিযোগ, মেধা নয়, কোটাকে গুরুত্ব দিয়ে বিজেপিকে ডুবিয়েছেন তিনি। তাই কি লকেটের বিদ্রোহ ও প্রশ্নবাণে জর্জরিত হওয়ার আশঙ্কা থেকেই বৈঠকে গরহাজির শুভেন্দু?

অন্যদিকে, শুভেন্দু না থাকলেও দলের অধিকাংশ নেতাই ছিলেন দলের আজকের বৈঠকে। এছাডা়ও পুরভোটে যেসব বিজেপি প্রার্থীরা জয়ী হয়েছেন তাঁরাও ছিলেন ওই বৈঠকে। শুরুতেই তাঁদের এদিন সংবর্ধনা দেওয়া হয়। তবে সংবর্ধনা মুখ্য নয়, উদ্দেশে যে গুটিকয়েক প্রার্থী জিতে কাউন্সিলর হয়েছেন, তাঁদের ধরে রাখার জন্যই একটু দলীয় সম্মান প্রদর্শন। তবে সবকিছুর পরেও শুভেন্দুর গরহাজির ছিল চর্চার কেন্দ্রে!

আরও পড়ুন- মাধ্যমিক পরীক্ষার্থীদের শুভেচ্ছা মুখ্যমন্ত্রীর, পড়ুয়াদের হাতে পৌঁছচ্ছে পেন, জ্যামিতি বাক্স, কার্ডবোর্ড

 

 

 

 

Previous articleSc EastBengal: আইএসএলের শেষ ম‍্যাচেও হারের মুখ দেখল এসসি ইস্টবেঙ্গল
Next articleব্রেকফাস্ট নিউজ: Breakfast News