খায়রুল আলম, ঢাকা
দুই দেশেই করোনা সংক্রমণ কমায় স্বাভাবিক হচ্ছে রেল পরিষেবা। ফলে আবারও চালু হতে যাচ্ছে বাংলাদেশ-ভারত যাত্রীবাহী ট্রেন চলাচল। সবকিছু ঠিক থাকলে আগামী ২৬ মার্চ থেকে দুই দেশের মধ্যে যাত্রীবাহী ট্রেন পরিষেবা শুরু হওয়ার কথা রয়েছে। টানা ২৫ মাস বন্ধ থাকার পর দুই দেশের মধ্যে যাত্রীবাহী ট্রেন চালু হওয়ার খবরে যারপরনাই খুশি ভ্রমণপ্রেমীরা।
তবে রেল ভ্রমণের সময়সূচি ও ভাড়ায় এসেছে বেশি কিছু পরিবর্তন।
ঢাকা-কলকাতা এবং কলকাতা-ঢাকার মধ্যে চলাচলকারী আন্তঃদেশীয় মৈত্রী এক্সপ্রেস সপ্তাহে ৫ দিন চলাচল করে।
ঢাকা থেকে প্রতি শুক্র, শনি, রবি, মঙ্গলবার ও বুধবার ট্রেন ছাড়বে।
কলকাতা থেকে প্রতি শুক্র, শনি, সোম, মঙ্গল ও বুধবার ট্রেন যাবে ঢাকায়।
তবে বৃহস্পতিবার মৈত্রী এক্সপ্রেস বন্ধ থাকবে।
ঢাকা-কলকাতার দূরত্ব ৩৭৫ কিলোমিটার। এ রুটের যাত্রী প্রতি ট্রেন ভাড়া ট্রাভেল ট্যাক্সসহ (৫০০ টাকা) । এসি ৩,৫০৫ টাকা ( ৩০ ডলার ) ও এসি চেয়ার কার ২,৫০৫ টাকা।
মৈত্রী এক্সপ্রেস ট্রেনের অগ্রিম টিকিট যাত্রার ২৯ দিন আগে থেকে দেওয়া হয়। এছাড়াও রিটার্ন/ফেরত টিকিট যাত্রার ৪ দিন আগে উভয় ষ্টেশন থেকে পাওয়া যাবে।
*ঢাকা থেকে কলকাতা ট্রেনের টিকিট* :
দুই দেশ থেকেই ট্রেনের টিকিট কাটা যাবে। বাংলাদেশ থেকে কমলাপুর রেলওয়ে স্টেশন এবং চট্টগ্রাম রেলওয়ে স্টেশন থেকে ঢাকা থেকে কলকাতা ট্রেনের টিকিট কাটা যাবে। প্রতিদিন সকাল ৯ টা থেকে সন্ধ্যা ৭ পর্যন্ত টিকিট কাটা যাবে।
অপরদিকে ফেয়ারলি প্লেস, ডালহৌসি স্কয়ার, কোলকাতা রেলওয়ে স্টেশন থেকে কলকাতা-ঢাকা ট্রেনের টিকিট কাটা যাবে। স্থানীয় সময় সকাল ১০ থেকে বিকাল ৫ পর্যন্ত প্রতিদিন টিকিট কাটা যাবে।