রাজ্যে অস্ত্র-বোমা মুক্ত করতে কড়া নির্দেশ দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। আর তারপরই নড়েচড়ে বসেছে রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্তের পুলিশ। সপ্তাহের শুরুতেই উদ্ধার হল ৩৫টি তাজা বোমা। গোপন সূত্রে খবর পেতেই দুবরাজপুর থানার সেকেন্দরপুরের শাল নদীর পাশে একটি পরিত্যক্ত বাড়িতে তল্লাশি চালায় পুলিশ। এরপর ৩৫টি তাজা বোমা সমেত ৩ কেজি বোমা তৈরির মশলাও উদ্ধার করে দুবরাজপুর থানার পুলিশ। পরে বম্ব স্কোয়াড এসে বোমাগুলিকে নিষ্ক্রিয় করে।
এর আগে বীরভূমের মারগ্রামে পুলিশি অভিযান শুরু হয়। মালদার ইংরেজবাজার ও হরিশ্চন্দ্রপুরে বাজেয়াপ্ত হয় আগ্নেয়াস্ত্র। পূর্ব বর্ধমানের মেমারিতেও অস্ত্র উদ্ধারের ঘটনা ঘটে। শুক্রবার বীরভূমের মারগ্রাম থেকে উদ্ধার হয় ৬০টি তাজা বোমা। বৃহস্পতিবার আসানসোলে বেআইনি অস্ত্র কারখানার হদিশ মেলে।এর আগে কুলটি, হীরাপুর, ডিসেরগড়ের পর বারাবনি বিধানসভার সালানপুরে অস্ত্র কারখানা উদ্ধার করে পুলিশ। কারখানা থেকে তিনজনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।
আরও পড়ুন:Petrol Diesel: মধ্যবিত্তর পকেটে টান! ফের দাম বাড়ল পেট্রোল-ডিজেলের
বৃহস্পতিবার রামপুরহাটের বগটুই গ্রামে নিহতদের পরিবারের সঙ্গে কথা বলতে যান মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সেখানেই নিহতদের পরিবারের সঙ্গে একান্তে কথা বলে রাজধর্ম পালন করেন তিনি। যা সত্যিই নজিরবিহীন। প্রতিশ্রুতিমত তৃণমূলের ব্লক সভাপতিকে গ্রেফতারের নির্দেশ দেন। সেইসঙ্গে নিহতদের পরিবারকে চাকরি ও অর্থ সাহায্য নিজের হাতে তুলে দেন। পাশাপাশি রাজ্যে যাতে কোনওভাবে হিংসা ছড়াতে না পারে সে ব্যাপারে পুলিশকে রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্তে বেআইনি অস্ত্র ও বোমামুক্ত করতে কড়া নির্দেশ দেন তিনি। তাঁর সুস্পষ্ট নির্দেশ, সারা বাংলায় তল্লাশি চালিয়ে যেখানে যত বোমা, যন্ত্রপাতি রয়েছে, তা উদ্ধার করতে হবে। পুলিশকে এজন্য কঠোর হতে হবে। কাউকে রেয়াত করলে চলবে না।
মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশের পরই শুরু হয়েছে পুলিশি তৎপরতা। রাজ্য পুলিশের ডিজি অমিত মালব্য আগামী দশদিন রাজ্যজুড়ে বেআইনি অস্ত্রশস্ত্রের সন্ধানে বিশেষ অভিযানের নির্দেশ দিয়েছেন। অভিযান চালিয়ে রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্তে বেআইনি অস্ত্র ও বোমা বাজেয়াপ্ত করা হবে বলে জানা গেছে।
