আর্থিক সঙ্কট চরমে, ভারতের অর্থসাহায্যে ৪০ হাজার টন ডিজেল পৌঁছল শ্রীলঙ্কায়

খাদ্য নেই, জ্বালানি নেই, দিনে গড়ে টানা ১৮ ঘণ্টা বিদ্যুৎ নেই। অসুস্থ হয়ে পড়লে মিলছে না ওষুধ। বাচ্চারা দুধ পাচ্ছে না। কাগজ- কালি নেই, তাই প্রশ্নপত্র ছাপা যাচ্ছে না। সব পরীক্ষা স্থগিত। বিপন্ন হাজার হাজার পড়ুয়ার ভবিষ্যৎ। বন্ধ গণপরিবহন। এই পরিস্থিতিতে শ্রীলঙ্কায় (Sri Lanka) ভারতের আর্থিক সাহায্যে জ্বালানি তেল (40,000 tonnes of Diesel) আনা হয়েছে।

চরম আর্থিক সঙ্কটে থাকা শ্রীলঙ্কায় ভারতের আর্থিক সাহায্যে জ্বালানি তেল আনা হয়েছে। রাজাপক্ষে সরকার জানিয়েছে, একটি জাহাজে ৪০ হাজার টন ডিজেল (40,000 tonnes of Diesel) এসে পৌঁছেছে কলম্বো উপকূলে। গত সপ্তাহে মঙ্গলবার বিমস্টেক সম্মেলনে যোগ দিতে কলম্বো গিয়ে বিদেশমন্ত্রী এস জয়শঙ্কর জানান, শ্রীলঙ্কাকে কম সুদে প্রায় ৭,৬০০ কোটি টাকা ঋণ দেওয়া হবে। সেই সাহায্যে আপাতত জ্বালানি সঙ্কট কিছুটা সামাল দেওয়া হচ্ছে।

আরও পড়ুন-ফারুখাবাদ বদলে হোক পাঞ্চাল নগর: নামবদলের দাবিতে যোগীকে চিঠি BJP সাংসদের

এদিকে গতকাল চরম অর্থনৈতিক বিপর্যয়ের মুখে প্রেসিডেন্টের পদত্যাগের দাবিতে উত্তাল হয় প্রতিবেশী দ্বীপরাষ্ট্র শ্রীলঙ্কা। শ্রীলঙ্কার অর্থনীতিবিদরা বলছেন, সরকার কোনও চিন্তাভাবনা না-করেই শুধু বাহবা পেতে রাজস্ব ও ভ্যাট কমিয়েছিল। যার জেরে সরকারের কোষাগার খালি। সেই অভাব ঢাকতে দেদার টাকা ছাপানো হয়েছে। নিট ফল, চরম মুদ্রাস্ফীতি। শ্রীলঙ্কার বৈদেশিক মুদ্রার মজুতও তলানিতে। বর্তমানে মাত্র ২৩০ কোটি ডলার রিজার্ভ আছে। অথচ উন্নয়নী প্রকল্পের জন্য নেওয়া বিদেশি ঋণের খাতে এ বছর কিস্তি দিতে হবে ৮৯০ কোটি ডলার। দেশ ঋণ পরিশোধ করবে, নাকি নিত্যপণ্য আমদানি করবে? ফলে ভয়াবহ সংকট। খাদ্যপণ্যের দাম ২৫ শতাংশ বেড়ে গেছে। দেশের কেন্দ্রীয় ব্যাঙ্ক বলেছে, ২০০ শ্রীলঙ্কান রুপির বিনিময়ে এখন ১ মার্কিন ডলার পাওয়া যাবে। কিন্তু বাস্তব হল, এই দামেও ডলার মিলছে না। কালোবাজারে ২৫০ থেকে ২৬০ রুপিতে মিলছে ১ ডলার। এই অন্ধকার কীভাবে কাটবে, তার কোনও সদুত্তর এখনই মিলছে না। ফলে সোনার লঙ্কা আপাতত জ্বলছে অশান্তির আগুনে। ভারতের এই প্রতিবেশী দেশে এখন চরম দুর্দশায় জনগণ।



Previous articleফারুখাবাদ বদলে হোক পাঞ্চাল নগর: নামবদলের দাবিতে যোগীকে চিঠি BJP সাংসদের
Next articleCorona Update: একলাফে বাড়ল সুস্থতার হার! তবু চিন্তা মৃত্যু নিয়ে