ধৃত গিয়াসউদ্দিন: আলিয়ায় উপাচার্য নিগ্রহ নিন্দনীয়, দল কোনও ভাবেই জড়িত নয়: মত কুণাল- তৃণাঙ্কুরের

আলিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের ঘটনার সঙ্গে তৃণমূলের কোনও যোগ নেই বলে জানাল শাসকদল।

আলিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের (Aliah University) উপাচার্যকে হুমকি দেওয়ায় ঘটনায় গ্রেফতার করা হয় অভিযুক্ত গিয়াসউদ্দিন মণ্ডলকে (Giyasuddin Mondal)। গ্রেফতার করে টেকনো সিটি থানার পুলিশ। উপাচার্যকে নিগ্রহের ঘটনা অত্যন্ত নিন্দনীয়। এর সঙ্গে তৃণমূলের (TMC) কোনও যোগ নেই। এই বিষয়ে উপাচার্যকে সব রকম সাহায্য করা হবে বলে জানিয়েছে শাসকদল। শনিবার, দুপুরের আলিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ে (Aliah University)উপাচার্যের ঘরে ঢুকে তাণ্ডব চালায় একদল দুষ্কৃতী। উপাচার্যকে অশ্লীল ভাষায় শাসায়। তাদের মধ্যে ছিল গিয়াসউদ্দিন মণ্ডল। বিশ্ববিদ্যালয় থেকে অভিযোগ পেয়ে তাকে প্রথমে আটক ও পরে গ্রেফতার করে টেকনো সিটি(Techno city) থানার পুলিশ।

তৃণমূল ছাত্র পরিষদের রাজ্য সভাপতি তৃণাঙ্কুর ভট্টাচার্যের (Trinankur Bhattacharya) দাবি, ২০১৮-এর পর থেকে দলের সঙ্গে কোনও যোগ নেই ওই অভিযুক্ত ছাত্রনেতার। এমনকী, সে কোনওদিন তৃণমূল (TMC) কংগ্রেসের ছাত্র ইউনিটের সভাপতি ছিল না। ঘটনার তীব্র নিন্দা করেছেন তৃণমূল মুখপাত্র কুণাল ঘোষ (Kunal Ghosh)।

আলিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের ভাইরাল হওয়া ভিডিওতে দেখা গিয়েছে জঘন্য ভাবে হেনস্থা করা হচ্ছে উপাচার্যকে। প্রকাশ্যে তাঁর উদ্দেশ্যে চূড়ান্ত অশ্লীল শব্দ ব্যবহার করে গিয়াসউদ্দিন-সহ তার সঙ্গীরা। গিয়াসউদ্দিন উপাচার্যকে বলছে, “টেনে চড় মারব।“ এই ঘটনার তীব্র নিন্দা করছে তৃণমূল। কুণাল ঘোষ জানান, আলিয়ার ঘটনায় যাকে তৃণমূল ছাত্র পরিষদের ইউনিট সভাপতি বলা হচ্ছে ৩ বছর আগেই তাকে অশ্লীল ও দলবিরোধী কাজ করার জন্য সরিয়ে দিয়েছে দল। দলের বদনাম করতেই এই কাণ্ড ঘটানো হয়েছে। ইচ্ছা করে সরকারের ও দলের ভাবমূর্তি নষ্ট করতে অশ্রাব্য গালিগালাজ দিয়ে ভিডিও রেকর্ড করা হয়েছে বলে অভিযোগ কুণালের৷ উপাচার্যকে ঘটনার পরে ঘেরাও মুক্ত করে তৃণমূল ছাত্র পরিষদ ইউনিট।

দিন কয়েক আগে উপাচার্য মহম্মদ আলির মেয়াদ বৃদ্ধি করা হয়েছে। সেই খবর পেয়েই তাঁকে শাসাতে আসে গিয়াসউদ্দিন ও তার সাঙ্গপাঙ্গরা। সূত্রের খবর, গিয়াসউদ্দিন মোল্লা আলিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের বহিষ্কৃত ছাত্র। বিশ্ববিদ্যালয় চত্বরে নিজের কীর্তির জন্য কুখ্যাত হয় সে। ২০১৮ -তে আলিয়া বিশ্ববিদ্যালয় চত্বরে তোলাবাজি, জুনিয়ার ছাত্রদেরকে পেটানো-সহ একাধিক অভিযোগ ওঠে। তাকে বহিষ্কার করা। এদিন সে তার দলবল নিয়ে আলিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যের ঘরে ঢুকে তাকে গালিগালাজ ও প্রাণনাশের হুমকি দেয়।

তৃণমূল ছাত্র পরিষদ সভাপতি তৃণাঙ্কুর ভট্টাচার্যের দাবি, তৃণমূল ছাত্র পরিষদের কেউ নয় অভিযুক্ত। এই ঘটনার তীব্র প্রতিবাদ করেন তৃণাঙ্কুর। “অভিযুক্ত কোনও দিনই আমাদের ইউনিট প্রেসিডেন্ট ছিল না। ২০১৫ সালে সাধারণ কর্মী হিসাবে যোগ দেয়। ২০১৮ সাল থেকে সব সম্পর্ক তার সঙ্গে ছিন্ন হয়েছে।” শিক্ষা ক্ষেত্রে নৈরাজ্য বরদাস্ত করা হবে না বলেও জানান টিএমসিপি-র তৃণমূল ছাত্র পরিষদ সভাপতি।

Previous articleCovaxin: বড় প্রশ্নের মুখে কোভ্যাক্সিন! সরবরাহে স্থগিতাদেশ জারি WHO এর
Next articleরাতের আকাশে আলোর ছটা, বিরল মহাজাগতিক দৃশ্যের সাক্ষী আংশিক দেশবাসী