সুমন করাতি

দূরে দাঁড়িয়ে আছে ট্রেন(Train), একটু হাঁটলেই পৌঁছে যাওয়া যাবে।কিন্তু কাছে গেলে শোনা যায় শিশুদের কলতান। আসলে ট্রেনের আদলে তৈরি হয়েছে অঙ্গানওয়ারী স্কুল(Anganwari School), এই ছবি সিঙ্গুরের(Singur)। বেড়াবেড়ি গ্রামপঞ্চায়েতের মধুসূদনপুর গ্রামে (Madhusudanpur Villege) তৈরি হয়েছে সুসংহত শিশু বিকাশ কেন্দ্র। কচিকাঁচাদের স্কুলে টানতে এবার একটু অন্যরকমের উদ্যোগ।

মহাত্মা গান্ধী জাতীয় গ্রামীণ কর্মসংস্থান গ্যারান্টি স্কীম এর আওতায় আট লক্ষ নব্বই হাজার টাকা ব্যায়ে সৌরশক্তিচালিত ২৪৪ নং সেন্টার তৈরি হয়েছে। স্কুলে বিদ্যুৎ খরচ সাশ্রয় করা হয়েছে সৌরশক্তির মাধ্যমে। মোট ৪০ জন কচিকাঁচা পড়াশোনা করে। বিনা টিকিটের ট্রেন যাত্রা ও ট্রেনের বগিতে বসে পড়াশোনা, খেলা ও মিড ডে মিল খাওয়া উপভোগ করছে কচিকাঁচারা, খুশি অবিভাবকরাও। সবুজ পতাকা নাড়িয়ে ট্রেন চালু করার আনন্দ পড়ুয়াদের। দূর থেকে দেখলে মনে হবে স্টেশনে দাঁড়িয়ে রয়েছে সাজানো গোছানো আস্ত একটা ট্রেন।

বিদ্যালয়ের প্রতি ছাত্রদের আকর্ষণ তৈরি করার জন্য এই ট্রেন মডেল আকৃষ্ট করেছে পড়ুয়াদের বলে দাবি অভিভাবকদের।এই উদ্যোগ শিশুদের মনে পড়াশোনা সম্পর্কে এক নব দিগন্ত দেখা দেবে বলে জানিয়েছে অঙ্গনওয়াড়ীর কর্মী থেকে সিঙ্গুর পঞ্চায়েত সমিতির শিক্ষা কর্মাধক্ষ প্রত্যেকেই। নতুন এক ধারণা, নতুন এক আঙ্গিক, যদি শৈশবকে একটু অন্য ভাবে পড়াশোনার বন্ধনে আবদ্ধ করা যায় তাহলে বিদ্যালয়ের সাথে পড়ুয়াদের প্রেমের বন্ধন মজবুত হয়।

Marrige at old age: বৃদ্ধাশ্রম প্রেম, ৬০ পেরিয়ে নতুন পথ চলা শুরু বৃদ্ধ বৃদ্ধার
