প্রকাশ্যে জনসমক্ষে দাঁড়িয়ে মুসলিম মহিলাদের ধর্ষণের হুমকি দিলেন ধর্মগুরু। পাশপাশি কদর্য ভাষায় খুনের মতো হুঁশিয়ারি দিলেন গেরুয়া বসনধারী। বিজেপির প্ররোচনায় যোগী রাজ্যে হিন্দুদের দৌরাত্ম্য এতটাই চরমে পৌঁছেছে যে মুসলিমদের ধর্মস্থানের সামনে মহিলাদের ধর্ষণের মত হুমকি দিয়ে অনুগামীদের হাততালি কুড়োচ্ছেন হিন্দু ধর্মগুরুরা। সবটা জেনেও নীরব দর্শকের ভূমিকা পালন করছে পুলিশ। ভিডিও ভাইরাল হতেই নেটিজেনদের ক্ষোভের মুখে পড়েছে যোগী সরকার। নিন্দায় সরব হয়েছে দেশবাসী।
আরও পড়ুন:‘প্রতিবাদ করলেই অত্যাচার’, মধ্যপ্রদেশে থানায় সাংবাদিক হেনস্থায় সরব অভিষেক
সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হওয়া একটি ভিডিয়োতে দেখা গিয়েছে, গাড়ির ভিতর চালকের পাশের আসনে বসে মাইকে অনুগামীদের উদ্দেশে ভাষণ রাখছেন এক সাধু৷ মসজিদের সামনে দাঁড়িয়ে গেরুয়া বসন পরা ধর্মগুরু বলছেন, ‘হিন্দু মেয়েদের উত্যক্ত করা হলে তোমাদের ঘর থেকে মেয়ে-স্ত্রীদের বের করে এনে আমি ধর্ষণ করব৷ এই আমি খোলাখুলি বলে গেলাম’৷ সাধুর কথায় উল্লাসে ফেটে পড়ছেন তাঁর অনুরাগীরা৷ আর উঠছে ‘জয় শ্রীরাম’ স্লোগান।গরমগরম এই ভাষণে হাততালিও কুড়োচ্ছেন ধর্মগুরু। বিতর্ক আরও বেড়েছে কারণ ভাইরাল হওয়া এই ভিডিয়োতে দেখা যাচ্ছে, পুলিশের পোশাক পরা এক ব্যক্তি সেখানে উপস্থিত থাকলেও তিনিও এই কথায় চুপ রয়েছেন। যা নিয়ে তোলপাড় নেটদুনিয়া।
Here is the full video. It's been more than 5 days. No action against him by Police yet. pic.twitter.com/EP3kkOY6s5
— Mohammed Zubair (@zoo_bear) April 7, 2022
স্থানীয় সূত্রের খবরে জানা গিয়েছে, গত ২ এপ্রিল উত্তরপ্রদেশের খৈরাবাদ শহরে অনুগামীদের নিয়ে মিছিল বের করেছিলেন বজরং দাস মুনি৷মিছিল যখন একটি মসজিদের পাশ দিয়ে যাচ্ছিল তখনই ওই উস্কানিমূলক ভাষণ দেন হিন্দু ধর্মগুরু।ইতিমধ্যেই নেটাগরিকরা দেশের এই ন্যাক্কারজনক ঘটনাকে কেন্দ্র করে সাম্প্রদায়িক বিভাজনের প্রশ্ন তুলতে শুরু করেছেন। অভিযুক্তকে গ্রেফতারের দাবিতে সোচ্চার হয়েছেন অনেকেই৷