হুমায়ুন আজাদ মৃত্যু মামলায় ৪ জঙ্গির ফাঁসির আদেশ!

বাবার খুনের বিচার চেয়ে আদালতে সাক্ষ্য দেন হুমায়ুন আজাদের মেয়ে মৌলি আজাদ।

১৮ বছর আগের সেই ঘটনা, বইমেলা থেকে ফেরার পথে বাংলা অ্যাকাডেমির (Bangla Academy)উলটো দিকের ফুটপাথে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (Dhaka University)অধ্যাপক হুমায়ুন আজাদের (Humayun Azad)উপর হামলা। অভিযোগের আঙ্গুল ওঠে পাঁচজনের দিকে। মিজানুর রহমান ওরফে মিনহাজ, আনোয়ারুল আলম ওরফে ভাগ্নে শহিদ, সালেহিন ওরফে সালাহউদ্দিন ও নূর মোহাম্মদ ওরফে শামিম এবং হাফিজ মাহমুদ। প্রত্যেকেই জামাত-উল-মুজাহিদিন বাংলাদেশের (JMB)সদস্য।এর মধ্যে হাফিজ আর বেঁচে নেই। এবার সেই মামলায় রায় দিল আদালত। অভিযুক্ত ৪ জনকেই মৃত্যুদণ্ডের আদেশ দিল ঢাকা আদালত (Dhaka Highcourt)।

 

ধর্ষণের প্রতিবাদীরা ‘নপুংসক’: ফের বিতর্কিত মন্তব্য কবীর সুমনের

অধ্যাপক হুমায়ুন আজাদ (Humayun Azad)বরাবরই তাঁর লেখার জন্য হুমকি পেতেন বলে জানা যায়। ২০০৪ সালে তাঁর লেখা উপন্যাস ‘পাক সার জমিন সাদ বাদ’ অমর একুশে বইমেলায় প্রকাশিত হয়। তারপর থেকেই জেএমবির(JMB) রোষানলে পড়েন তিনি। জেএমবি শীর্ষ নেতা শায়খ আবদুর রহমান ও সিদ্দিকুল ইসলাম ওরফে বাংলা ভাইয়ের নির্দেশেই আক্রান্ত হন হুমায়ুন আজাদ। ধারালো অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে তাঁকে জখম করা হয় বলে জানা যায়। কয়েক মাস চিকিৎসার পর আগস্টে গবেষণার জন্য জার্মানিতে যান তিনি। ওই বছরেরই ১২ আগস্ট মিউনিখে নিজের ফ্ল্যাট থেকে তার মৃতদেহ উদ্ধার করা হয়। এরপর মামলাটি হত্যা মামলা হিসেবে দায়ের হয়।

২০০৯ সালের ৭ অক্টোবর আসামিদের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠনের মধ্যে দিয়ে মামলার বিচার শুরু হয়। বাবার খুনের বিচার চেয়ে আদালতে সাক্ষ্য দেন হুমায়ুন আজাদের মেয়ে মৌলি আজাদ। তিনি আদালতকে বলেন, যে তাঁর বাবা একজন প্রথাবিরোধী লেখক। তিনি অসাম্প্রদায়িক চেতনা ও মুক্তিবুদ্ধিসম্পন্ন মানুষ ছিলেন। তিনি কোনও দলাদলিতে ছিলেন না। তিনি অনেক উপন্যাস-প্রবন্ধ লেখেন, যা মৌলবাদীরা না পড়ে বিরোধিতা করতেন। তবে আদালত সাজা ঘোষণা করলেও সালেহিন ওরফে সালাহউদ্দিন ও নূর মোহাম্মদ ওরফে শামিম এখনও পলাতক।

Previous articleHanskhali : হাঁসখালি যাচ্ছে বিজেপির কেন্দ্রীয় দল
Next articleহিন্দি নিয়ে অমিত শাহর সঙ্গে প্রকাশ্য বিরোধিতায় তামিল বিজেপি সভাপতি