সাড়ম্বরে নববর্ষ পালিত হল উত্তরবঙ্গে, উপচে পড়া ভিড় মদনমোহন মন্দিরে

জলপাইগুড়ি জেলায়  এইদিন গণেশ পুজোর আরাধনায় মেতে ওঠে বাঙালিরা। এর পাশাপাশি বনদেবীর আরাধনায় মেতে ওঠেন ভক্তরা।

পয়লা বৈশাখ অর্থাৎ বাংলা পঞ্জিকার ( Bengali Ponjika) প্রথম মাস বৈশাখ মাসের ১ তারিখ, বঙ্গাব্দের প্রথমদিন তথা বাংলা নববর্ষ( Bengali New Year)। দিনটি সমস্ত বাঙালির ঐতিহ্যবাহী বর্ষবরণের( Bengali New Year) দিন। বাঙালির সহস্র বছরের ইতিহাস, ঐতিহ্য, রীতি নীতি, প্রথা,আচার অনুষ্ঠান ও সংস্কৃতির ধারক ও বাহক। পয়লা বৈশাখ বাঙালির সার্বজনীন উৎসব এইদিন পুরনো বছরের ব্যর্থতা, নৈরাশ্য, গ্লানি ভুলে গিয়ে নতুন বছরকে মহানন্দে বরণ করে নেয় সমৃদ্ধি, সুখ-প্রাপ্তির আশায়। জেলায় জেলায় আপামর বাঙালি নববর্ষ পালন করে তাঁদের নিজেদের মতন করে।

নতুন বছরকে স্বাগত জানিয়ে মন্দিরে মন্দিরে উপচে পড়া ভিড়, উৎসবের মেজাজে রাজ্যবাসী

জলপাইগুড়ি জেলায়  এইদিন গণেশ পুজোর আরাধনায় মেতে ওঠে বাঙালিরা। এর পাশাপাশি বনদেবীর আরাধনায় মেতে ওঠেন ভক্তরা। ফুল, ফলে ভরা থালা নিয়ে দীর্ঘ লাইন পড়ে  ভক্তদের  জলপাইগুড়ি জেলার কালী মন্দিরগুলোয়। নতুন বছরকে স্বাগত জানাতে সবার মঙ্গল কামনায় ভীড় করে ভক্তরা।

কোচবিহার জেলায় নববর্ষের দিনে কোচবিহার মদনমোহন মন্দিরে (Madan Mohan Temple) পুজো দিতে ভিড় হয় ভক্তদের। প্রতিবছর এই দিনেই মনস্কামনা পূরণের উদ্দেশ্যে পুজো দেন ভক্তরা। সকলের বিশ্বাস মদনমোহন ঠাকুর সারা বছর সব বিপদ থেকে রক্ষা  করবেন তাঁদের। মদনমোহন ঠাকুর হলেন কোচবিহার মহারাজাদের কূলদেবতা। কোচবিহার রাজাদের রাজবাড়ি যেখানে সেখানে স্থানান্তরিত হয়েছে সবর্ত্র পূজিত হয়েছেন মদনমোহন। তবে ১৮৮৯ থেকে ১৮৯০ সালের মধ্যে কোচবিহারে মদনমোহন মন্দির প্রতিষ্ঠা করেছিলেন মহারাজা নৃপেন্দ্রনারায়ণ ভূপ বাহাদুর।  এরপর থেকেই বৈরাগী দিঘির পাড়ে স্থায়ী মন্দিরে পুজো হয় মদনমোহন ঠাকুরের। আর বছরের প্রথম দিন ভক্তরা ভিড় করেন মদনমোহন ঠাকুরের।

Previous articleনতুন বছরকে স্বাগত জানিয়ে মন্দিরে মন্দিরে উপচে পড়া ভিড়, উৎসবের মেজাজে রাজ্যবাসী
Next articleCorona update: করোনায় কাবু রাজধানী, সিবিএসই এর আগে বাড়ছে উদ্বেগ