চেনা ছবিতে কলকাতা ময়দান, বার পুজোতে ব‍্যস্ত ইস্টবেঙ্গল-মোহনবাগান

করোনার কারণে গত দু'বছর বন্ধ ছিল বার পুজো। কিন্তু করোনার চোখ রাঙানি কাটতেই চেনা মেজাজে কলকাতা ময়দান।

পয়লা বৈশাখের দিন ময়দানে ফিরল চেনা ছবি। বার পুজোতে ব‍্যস্ত কলকাতার দুই বড় প্রধান থেকে ছোট ক্লাব। করোনার কারণে গত দু’বছর বন্ধ ছিল বার পুজো। কিন্তু করোনার চোখ রাঙানি কাটতেই চেনা মেজাজে কলকাতা ময়দান।

করোনার কারণে গত দু’বছর বন্ধ দরজার পিছনে বার পুজো সেরেছে মোহনবাগান ( Mohunbagan)। কিন্তু চলতি বছর সদস্য, সমর্থকদের নিয়ে মহা সমারোহে সবুজ-মেরুন ক্লাবে অনুষ্ঠিত হল বার পুজো। মোহনবাগান তাঁবুতে এ দিন এসেছিলেন বাগান সচিব দেবাশিস দত্ত, মোহনবাগান সহ সভাপতি কুণাল ঘোষ। উপস্থিত ছিলেন এটিকে মোহনবাগান কোচ জুয়ান ফেরান্ডো, সহকারী কোচ বাস্তব রায়। ফুটবলারদের মধ্যে এসেছিলেন প্রীতম কোটাল, শুভাশিস বসু, লিস্টন কোলাসো, সুব্রত পাল, কিয়ান নাসিরি, প্রবীর দাস, শেখ সাহিলরা। এসেছিলেন মন্ত্রী অরূপ বিশ্বাস। প্রাক্তন ফুটবলারদের মধ্যে ছিলেন মানস ভট্টাচার্য, প্রসূন বন্দ্যোপাধ্যায়, সত্যজিৎ চট্টোপাধ্যায়।

প্রথমবার বার পুজোতে এসে উচ্ছসিত বাগান কোচ ফেরান্ডো থেকে লিস্টোন কোলাসোরা। মাঠের মধ‍্যেই কোচকে বার পুজোর মহাত্ম বোঝালেন সচিব দেবাশিস দত্ত। এই অনুষ্ঠানে এসে বাগান কোচ বলেন,”নতুন অভিজ্ঞতা হল। অসাধারণ।”

এদিন মোহনবাগান ক্লাবে আসেন সহ সভাপতি কুণাল ঘোষ। বার পুজোতে এসে কুণাল ঘোষ বলেন,” দেশের ফুটবল মানে মোহনবাগান। মোহনবাগান শুধু বাংলা নয় ভারতবর্ষের সঙ্গে যুক্ত। এই ক্লাবে নববর্ষের দিন সমর্থকেরা আসবে এটাই স্বাভাবিক। এটাই চেনা ছবি। মোহনবাগান ছাড়া বাংলার স্রোতটাই অসম্পূর্ণ।”

 

বার পুজোর পর এদিন কোচ, ফুটবলারদের ক্লাবের পক্ষ থেকে স‌ংবর্ধনা জানানো হয়। তুলে দেওয়া হয় উপহার। বাংলা নববর্ষে ক্লাবে এসে আগামী দিনে আরও ভালো পারফরম্যান্স করার কথাই বললেন প্রীতম কোটাল, সুভাশিস বোসরা।

একই ছবি ধরা পড়ল পাশের ক্লাব ইস্টবেঙ্গলেও। তরুণ ফুটবলারদের পাশে রেখে আগামীর মুরশুমের শুভ সূচনা করলেন লাল-হলুদ কর্তা দেবব্রত সরকার। উপস্থিত ছিলেন লাল-হলুদ সহ সচিব রূপক সাহা, ফুটবল সচিব সৈকত গাঙ্গুলি। প্রাক্তন ফুটবলারদের মধ‍্যে উপস্থিত ছিলেন প্রশান্ত বন্দ‍্যোপাধ‍্যায়,ভাস্কর গঙ্গোপাধ্যায়,বিকাশ পাঁজি, মিহির বসু, তরুণ দে, অলোক মুখোপাধ‍্যায়, বিশ্বজিৎ  ভট্টাচার্য, শঙ্করলাল চক্রবর্তী, রঞ্জন চৌধুরী, সাদিক, রহিম নবি, ফাল্গুনী দত্ত, মেহতাব  হোসেন, দেবজিৎ ঘোষ-সহ অনেকে। নতুন বছরের সাফল্য কামনা করে পুজোর সংকল্প করেন ক্লাব সহ সচিব রূপক সাহা ও ফুটবল সচিব সৈকত গাঙ্গুলি। স্পোর্টিং রাইটস ফিরিয়ে দিয়েছে শ্রী সিমেন্ট। নতুন বিনিয়োগকারী নিয়ে আশাবাদী লাল-হলুদ শীর্ষ কর্তা দেবব্রত সরকার। তিনি বলেন,” আমরা একটা ভালো বিনিয়োগকারী খুঁজছি। সমর্থকদের মুখে হাসি ফোঁটানোই লক্ষ‍্য আমাদের। আমরা আশা করি পারব।”

আরও পড়ুন:সাড়ম্বরে নববর্ষ পালিত হল উত্তরবঙ্গে, উপচে পড়া ভিড় মদনমোহন মন্দিরে

Previous articleCorona update: করোনায় কাবু রাজধানী, সিবিএসই এর আগে বাড়ছে উদ্বেগ
Next articleপ্রয়াত দেশের প্রথম টেস্ট টিউব বেবির জন্মদাতা চিকিৎসক বৈদ্যনাথ চক্রবর্তী