হাইভোল্টেজ বালিগঞ্জ বিধানসভা উপনির্বাচনে কেন্দ্রে তৃণমূল প্রার্থী বাবুল সুপ্রিয় জয়ী হলেও প্রধান বিরোধী দল বিজেপিকে পিছনে ফেলে বামেরা পেয়েছে দ্বিতীয় স্থান। সিপিএম প্রার্থী সায়রা শাহ হালিম জিততে না পারলেও গণনার একটি সময় তৃণমূল প্রার্থীকে কড়া চ্যালেঞ্জের মুখে ফেলে দিয়েছিলেন। বালিগঞ্জ বিধানসভার অন্তর্গত ১১টি ওয়ার্ডের মধ্যে দুটি ওয়ার্ডে তিনি লিডও নিয়েছেন।

মাত্র এক বছর আগে একুশের বিধানসভা নির্বাচনে সিপিএম প্রার্থী পেয়েছিলেন ৮ হাজারের কিছু বেশি ভোট। জামানত বাজেয়াপ্ত হয়েছিল তাঁর। মাত্র কয়েক মাসের ব্যবধানে সেই জায়গা থেকে উপনির্বাচনে প্রায় ২৫ শতাংশ ভোট বেড়েছে সিপিএমের। সায়রা শাহ হালিমের কথায়, ”আমাদের নৈতিক জয় হয়েছে। কারণ আমাদের জনসমর্থন ব্যাপকভাবে বেড়েছে। আমাদের ভোট শেয়ার অনেক বেড়েছে। আর যেমনটা লোকমুখে প্রচার করা হচ্ছিল তৃণমূলের বিকল্প বিজেপিই, সেটা আমরা সম্পূর্ণরূপে ভাঙতে পেরেছি। ভোটারদের প্রতি আমি কৃতজ্ঞ। তাঁরা রমজানের মাসে এসে ভোট দিয়েছেন, সভ্য সমাজের পক্ষে ভোট দিয়েছেন। যাঁরা বাম কর্মী রয়েছেন তাঁরাও আমার হয়ে প্রচার করেছেন। মাটির সঙ্গে জড়িয়ে যেসব কমরেডরা রয়েছেন তাঁদেরও শুভেচ্ছা। আমরা কঠিন প্রতিযোগিতা দিয়েছি। গোটা রাজ্য সরকার তৃণমূলের পক্ষে থাকা সত্ত্বেও আমরা বেশ টক্করের লড়াই দিয়েছি। ফলে সকল সহযোগীর কাছে আমার আন্তরিক ধন্যবাদ।”

তবে জিততে না পারলেও, শূন্য থেকে শুরু করা সায়রা থেমে থাকতে চান না। আবার ধীরে ধীরে বামপন্থীদের প্রতি মানুষের ভরসা ,আস্থা, বিশ্বাস ফিরছে বলেই দাবি করেন বালিগঞ্জের সিপিএম প্রার্থী। তাই হারলেও বালিগঞ্জবাসীকে কৃতজ্ঞতা জানাতে চায় বামেরা। বালিগঞ্জ বিধানসভার অন্তর্গত নির্বাচকমণ্ডলীকে অভিনন্দন ও কৃতজ্ঞতা জানিয়ে রবিবার বালিগঞ্জ ফাঁড়ি থেকে রিপন স্ট্রিট পর্যন্ত একটি “কৃতজ্ঞতা” মিছিল করবে সিপিএম।

আরও পড়ুন- দিদিকে বালিগঞ্জের জয় উৎসর্গ, আসানসোলে কুৎসার সমুচিত জবাব দিয়েছে মানুষ: বাবুল সুপ্রিয়