চব্বিশের ভোটে খেলা ঘোরাবেন জানদার, শানদার, দমদার নেত্রী মমতাই: জয়ের পর শত্রুঘ্ন

উপনির্বাচনে (By Poll) আসানসোলে (Asansol) ৩ লক্ষেরও বেশি ভোটের ব্যবধানে জয়ী হয়েছেন তৃণমূল কংগ্রেস প্রার্থী শত্রুঘ্ন সিনহা (Shatrughan Sinha)। ঠিক ভোটের ফল প্রকাশের পরই মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের (Mamata Banerjee) প্রশংসায় পঞ্চমুখ তিনি। শত্রুঘ্ন বলেন, “দেশের সবথেকে জানদার, শানদার, দমদার নেত্রী হলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।”

১৯৫৭ থেকে ২০২২ সাল। আসানসোল লোকসভা আসনে নির্বাচন হয়েছে ১৮ বার। এর মধ্যে ২০০৫ ও ২০২২ দু’বার উপনির্বাচন হয়েছে। আর এই প্রথমবার আসানসোল লোকসভা কেন্দ্রের উপনির্বাচনে (By Poll) তৃণমূল কংগ্রেস জয়ী হয়েছে। সংবাদমাধ্যমের মুখোমুখি হয়ে এদিন শত্রুঘ্ন (Shatrughan Sinha) বলেন, “মমতাদি আমাকে বলেছিলেন, আসানসোল তোমার অপেক্ষা করছে। আমি মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে (Mamata Banerjee) বলেছিলাম, আপনার ইচ্ছা আমার কাছে নির্দেশ। আমার এখানে আসা ঐতিহাসিক। মানুষের ভালোবাসা, গ্রহণযোগ্যতা দেখেছি, তা ঐতিহাসিক। জনতা জনার্দনের জয়। মানুষের মধ্যে উন্মাদনা দেখেছি। ইতিহাস তৈরি করতে পারব।” শত্রুঘ্ন আরও বলেন, ২০২৪-এর নির্বাচনে খেলা ঘুরিয়ে দেবেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।

আরও পড়ুন: দেশজুড়ে সাম্প্রদায়িক হিংসা: প্রধানমন্ত্রীর নীরবতা নিয়ে প্রশ্ন তুললেন মমতা-সোনিয়ারা

আটের দশকে প্রথমে বিজেপিতে যোগ দেন বলিউড অভিনেতা শত্রুঘ্ন সিনহা। ১৯৯২ সালে রাজধানী দিল্লির একটি আসন থেকে সুপারস্টার রাজেশ খান্নার বিরুদ্ধে বিজেপির টিকিটে লড়াইও করেন তিনি। কিন্তু হেরে যান তিনি। এরপর ১৯৯৬ সালে প্রথমবার রাজ্যসভার সাংসদ হন তিনি। ফের ২০০২ সালেও রাজ্যসভায় তাঁকে নির্বাচিত করে ভারতীয় জনতা পার্টি। পাশাপাশি বাজপেয়ী জমানায় স্বাস্থ্য ও পরিবারকল্যাণ এবং জাহাজ মন্ত্রকও সামলেছেন শত্রুঘ্ন। তারপরই বিজেপির টিকিটেই লোকসভায় ২০০৯ এবং ২০১৪ সালে বিহারের পাটনা সাহিব কেন্দ্র থেকে জয়ী হন তিনি। কিন্তু মোদির মন্ত্রিসভায় জায়গা মেলেনি। সেই সময় থেকেই মোদি-শাহদের বিরুদ্ধে বিদ্রোহ শুরু হয় শত্রুঘ্নর। ২০১৯ লোকসভা নির্বাচনের আগেই দলবদল করেন তিনি। যোগ দেন কংগ্রেসে। কিন্তু কংগ্রেসের টিকিটে সেই পাটনা সাহিব কেন্দ্র থেকে আর জিততে পারেননি তিনি। অবশেষে এবারে আসানসোলের উপনির্বাচনে তৃণমূলের টিকিটে জিতে ফের সংসদে শত্রুঘ্ন।