গেরুয়া বিদ্রোহ : ধান্দাবাজরা দলের কমিটিতে, সুকান্তকে কাঠগড়ায় তুলে পদ ছাড়লেন মুর্শিদাবাদের বিজেপি বিধায়ক

বিজেপিতে বিদ্রোহ। গোষ্ঠীবাজি, আর লবিবাজিতে ভারাক্রান্ত হয়ে ক্ষোভে-বিক্ষোভে বিজেপি রাজ্য কমিটির সম্পাদকের পদ ছাড়লেন মুর্শিদাবাদের বিধায়ক গৌরী শঙ্কর ঘোষ (BJP MLA Gouri Shankar Ghosh)। গৌরীর তোপ সরাসরি রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদারের বিরুদ্ধে। সুকান্তের স্বজন পোষণের প্রবল সমালোচনা করে গৌরী বলেন, নিজের ইচ্ছে মতো কমিটিতে লোক ঢুকিয়ে দলের বারোটা বাজানো হচ্ছে। দলের বিধায়কের তোপে বেকায়দায় সুকান্ত কী করবেন ভেবে না পেয়ে বলেছেন, দেখা যাক কী করা যায়। সব মিলিয়ে দলের বিধায়ক ও রাজ্য কমিটির সম্পাদকের পদত্যাগে মুখ পুড়েছে বিজেপির।

আরও পড়ুন: বগটুইকাণ্ড : আধিকারিক সহ ৫ দমকলকর্মীকে ডেকে পাঠাল সিবিআই

গৌরীর (Gouri Shankar Ghosh) অভিযোগ কী? মুর্শিদাবাদের বিধায়কের অভিযোগ, দলের গঠনতন্ত্র মেনে যেভাবে কমিটি তৈরি করার কথা, তা করা হয়নি গোটা রাজ্য, এমনকী তাঁর জেলা দক্ষিণ মুর্শিদাবাদেও। অযোগ্য, অদক্ষ, দুর্বল, চাটুকারদের ঢুকিয়ে দেওয়া হয়েছে। যাতে সুবিধা পাচ্ছে শাসক দল। ২০২১-এর ভোটের পর তাই টানা হার চলছে উপনির্বাচনে। কমিটি থেকে আরও কয়েকজন পদত্যাগ করেছেন। বিদ্রোহ নদিয়া বিজেপিতেও।

পুরভোটে প্রার্থী দেওয়া নিয়ে সুকান্তকে সরাসরি তোপ দেগেছেন গৌরী। তাঁর অভিযোগে প্রছন্নভাবে টাকা লেনদেনের অভিযোগও রয়েছে। জেলার দুই পুরসভার ৩৩ আসনের মধ্যে সর্বসম্মত প্রার্থী ছিল ১৪জন। বাকি ১৯ আসনে রাজ্য সভাপতি ইচ্ছেমতো যাকে খুশি তাকে প্রার্থী করেছেন। ফলে একটিও আসন জেতেনি বিজেপি। জিয়াগঞ্জ-আজিমগঞ্জ পুরসভাতেও আসন মেলেনি। একই হাল জেলার অন্য পুরসভাগুলিতেও।গৌরী চটেছেন ৫ এপ্রিল মণ্ডল সভাপতি নির্বাচন নিয়ে। ৫১টি মণ্ডল সভাপতি নির্বাচনে জেলার নেতাদের কথা না শুনে ৭০% পদে সুকান্ত যাদের বসিয়েছেন, তাদের জন্যই বিজেপির বদনাম হচ্ছে। জেলা সভাপতি থেকে রাজ্য নেতৃত্বকে এ নিয়ে বারবার বলা সত্ত্বেও লাভ না হওয়ায় পদত্যাগ করেন গৌরী শঙ্কর। বিপাকে বিজেপি।





Previous articleআগামী সপ্তাহেই ভারতে আসছেন ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী, মূল লক্ষ্য কর্মসংস্থান
Next articleখিচুড়িতে নুন বেশি, স্ত্রীকে চরম শাস্তি স্বামীর