তৃণমূল কর্মীর ফোনের ওপার থেকে ভেসে এলো “অভিষেক ব্যানার্জি বলছি”! তারপর…

অভিষেকের সঙ্গে ফোনালাপ নিয়ে দীপঙ্কর ষণ্ণিগ্রাহী খোলসা করে কিছু না বললেও, স্থানীয় তৃণমূলস্তরে জোরচর্চা শুরু হয়েছে

মোবাইলে একটি অচেনা নম্বর থেকে রিং। রিসিভ করতেই ফোনের ওপার থেকে ভেসে এলো, “আমি অভিষেক ব্যানার্জি বলছি”! দিনকয়েক আগে হঠাৎ ফোনটা পেয়ে শুরুতে ঘাবড়ে গিয়েছিলেন। বিস্মিত হয়ে কয়েক সেকেন্ড বাকরুদ্ধ ছিলেন মেদিনীপুরের এক তৃণমূলকর্মী। বিশ্বাসই করতে পারেননি তাঁরই দলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক তথা সাংসদ অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় নিজে তাঁকে ফোন করেছেন।

আরও পড়ুন: অর্থনীতি-জাতীয় নিরাপত্তায় ডাহা ফেল প্রধানমন্ত্রী, ফের মোদিকে তোপ প্রবীণ বিজেপি সাংসদের

সম্ভবত অভিষেক নিজেও বুঝতে পেরেছিলেন অস্বস্তি বোধ করছেন ওই তৃণমূল কর্মী। তাই ওই তৃণমূল কর্মীকে কোনওরকম দ্বিধা না করে মন খুলে কথা বলতে বলেন। এরপর নিজেকে কিছুটা সামলে নিয়ে বেশ কয়েক মিনিট দলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদকের সঙ্গে কথা বলেন মেদিনীপুর শহরের ১০ নম্বর ওয়ার্ডের তৃণমূল সভাপতি দীপঙ্কর ষণ্ণিগ্রাহী।

দীপঙ্করবাবু মেদিনীপুর কলেজিয়েট স্কুল ফর বয়েজে শিক্ষকতা করেন। অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের মিটিং-মিছিলে যোগ দিয়েও এতদিন দূর থেকেই দেখেছেন, তাঁর কথা শুনেছেন। সেই অভিষেক স্বয়ং কিনা তাঁকে ফোন করেছেন!

জানা গিয়েছে, অভিষেক মেদিনীপুর শহরে দলের সাংগঠনিক পরিস্থিতির খোঁজখবর নিতেই এই ফোন করেছিলেন দীপঙ্কর ষণ্ণিগ্রাহীকে। তবে ফোনে ঠিক কী কথা হয়েছিল বিস্তারিতভাবে তা বলেননি দীপঙ্করবাবু। তাঁর কথায়, ‘‘অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় আমার কাছে বেশকিছু বিষয় নিয়ে জানতে চেয়েছিলেন, তাঁকে সবই জানিয়েছি। ফোনের শুরুতেই আমি যে অস্বস্তি বোধ করছিলাম, সেটা অভিষেকবাবু বুঝতে পারেন। তখন নিজে থেকেই বললেন, নির্দ্বিধায় কথা বলুন।’’

অভিষেকের সঙ্গে ফোনালাপ নিয়ে দীপঙ্কর ষণ্ণিগ্রাহী খোলসা করে কিছু না বললেও, স্থানীয় তৃণমূলস্তরে জোরচর্চা শুরু হয়েছে। মেদিনীপুরে ২৫টি ওয়ার্ড। দীপঙ্করবাবুর ১০ নম্বর ওয়ার্ড থেকে এবার পুরসভা নির্বাচনে জিতেছে সিপিএম। এখানে প্রার্থী তালিকা নিয়েও সমস্যা হয়েছিল। তৃণমূল কংগ্রেসের জেলা থেকে যাঁকে প্রার্থী করার কথা বলা হয়েছিল, শেষপর্যন্ত সেটা করা হয়নি। এবং ভোটে হার তৃণমূলের। তাই সংগঠনের মধ্যে কোনও চোরাস্রোত বইছে কিনা জানার চেষ্টা করেছেন অভিষেক, এমনটাই ধারণা করছেন অনেকে। যদিও একজন একনিষ্ঠ কর্মী হিসেবে দীপঙ্করবাবুর স্পষ্ট কথা, ‘‘আমরা দলের অনুগত কর্মী। দলের বিষয়ে কিছু বলার থাকলে দলের মধ্যেই বলি। বাইরে নয়। অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় যা যা জানতে চেয়েছিলেন, তাঁকে সব জানিয়েছে। এর বাইরে আর কিছু বলবো না।”

Previous articleঅর্থনীতি-জাতীয় নিরাপত্তায় ডাহা ফেল প্রধানমন্ত্রী, ফের মোদিকে তোপ প্রবীণ বিজেপি সাংসদের
Next articleCorona update: চওড়া হচ্ছে করোনার থাবা, সংক্রমণ বাড়ল ৬৫%!