কেন্দ্র শাসিত দিল্লির জাহাঙ্গিরপুরীর পর এবার যোগী রাজ্য উত্তর প্রদেশের প্রয়াগরাজ। ফের ভিন রাজ্যে হিংসার প্রকৃত কারণ তুলে ধরতে ফ্যাক্ট ফাইন্ডিং টিম পাঠাচ্ছে তৃণমূল কংগ্রেস। ঘাসফুল শিবিরের এই সত্য অনুসন্ধানী দলটি রবিবার যাচ্ছে প্রয়াগের ঘটনাস্থলে। পাঁচ সদস্যের এই দলে রয়েছেন, সাংসদ দোলা সেন, মমতাবালা ঠাকুর, সাকেত গোখলে, উমা সোরন এবং ললিতেশ ত্রিপাঠি। পাঁচ সদস্যের এই দলটি প্রয়াগরাজের ঘটনাস্থল ঘুরে দেখার পাশাপাশি এলাকার মানুষ এবং হতাহতদের পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে কথা বলবেন। তারপর সেই রিপোর্ট দোলনেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে দেবে তৃণমূলের ফ্যাক্ট ফাইন্ডিং টিম।

We condemn the #Prayagraj incident where 5 innocent people were BRUTALLY MURDERED!
A 5-member FACT FINDING delegation of @AITCofficial comprising Dola Sen, Mamata Bala Thakur, Saket Gokhale, Uma Soren and Lalitesh Tripathi will visit #Prayagraj tomorrow.
LET JUSTICE PREVAIL!
— All India Trinamool Congress (@AITCofficial) April 23, 2022
প্রয়াগরাজে একই পরিবারের পাঁচ জনকে খুনের পর বাড়িতে আগুন লাগিয়ে দেওয়ার ঘটনায় তপ্ত দেশের রাজনীতি ৷ মর্মান্তিক ওই ঘটনায় মৃত্যু হয়েছে দু’বছরের এক শিশুর ৷ এই হত্যাকাণ্ড ঘিরে তোলপাড় পড়ে গিয়েছে উত্তরপ্রদেশে ৷ প্রয়াগরাজের হত্যাকাণ্ডকে তুলে ধরে বিজেপিকে তুলোধনা করেছে বাংলার শাসক দল তৃণমূল ৷ দলের

প্রসঙ্গত, ধর্ষণে বাধা দেওয়ায় জন্য একই পরিবারের ৫ জনকে নৃশংসভাবে খুন হতে হয়েছে যোগী রাজ্যে। এবং প্রমাণ লোপাটের জন্য ঘরে আগুন লাগিয়ে দেওয়া হয়েছে। আর এই গণহত্যা নিয়েই সুর চড়িয়েছে তৃণমূল। এবার তৃণমূলের নেতা-নেত্রীরা অভিযোগ করে বলেন, যাঁরা কথায় কথায় বাংলায় ৩৫৬ ধারা জারির কথা বলে, তারা একবার বিজেপি শাসিত রাজ্য উত্তরপ্রদেশের আইনশৃঙ্খলার দিকে তাকান ৷

অভিযোগ, ২ বছরের শিশু-সহ একই পরিবারের ৫ জনকে থেতলে খুন করা হয়েছে। প্রয়াগরাজের থরভই থানা এলাকার খেবরাজপুর গ্রামের এই ঘটনায় জ্বালিয়ে দেওয়া হয় বাড়ি। ঘরের বাইরে বিবস্ত্র অবস্থায় পড়েছিল পরিবারের বিশেষভাবে সক্ষম মেয়ে ও পুত্রবধূর মৃতদেহ। ধর্ষণে বাধা দেওয়ায় গোটা পরিবারকে নৃশংসভাবে খুন, সন্দেহ পুলিশের।
উল্লেখ্য, গত শনিবারই এই প্রয়াগরাজের নবাবগঞ্জ থানার অন্তর্গত খাগলপুর গ্রামে স্বামী-স্ত্রী এবং তাঁদের তিন কন্যা সন্তানের রহস্যমৃত্যু নিয়ে তীব্র চাঞ্চল্যক ছড়িয়ে ছিল। সেই ঘটনায় গৃহকর্তার ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার হয় বারান্দা থেকে। আর ঘরের ভিতরে পড়েছিল তাঁর স্ত্রী ও ১৪, ১০ ও ৮ বছরের তিন নাবালিকা মেয়ের নলিকাটা দেহ।

এই ঘটনার জট খোলার আগেই ফের প্রয়াগরাজে একই পরিবারের পাঁচজনের রহস্যমৃত্যুর ঘটনায় নতুন করে রহস্য দানা বেঁধেছে। পুলিশের খতিয়ে দেখছে দুটি ঘটনার মধ্যে কোনও যোগসাজশ আছে কি-না। অন্যদিকে, একের পর এক ঘটনায় আইন-শৃঙ্খলা নিয়ে যোগী রাজ্যের পুলিশ প্রশাসনের উপর আঙুল তুলতে শুরু করেছে বিরোধীরা।

আরও পড়ুন- ‘ঐতিহ্য’ বাঁচাতে উদ্যোগী সরকার: পুজোর আগে আরও ২টি রুটে ট্রাম পরিষেবা
