নিজের জমিকে ভাগাড় বানিয়ে শকুনদের আশ্রয় দিচ্ছেন আব্দুল

শহরের আশেপাশে, ভাগাড়ে, জলাজমিতে দিব্যি দেখা মিলত তাদের। কিন্তু এখন আর সেভাবে দেখা যায়না তাদের। ব্যাপক হারে কমে গেছে শকুনের সংখ্যা। এতটাই যে, এই মুহূর্তে শকুন বিলুপ্ত প্রজাতির প্রাণীর ঠিক আগের ধাপটায় রয়েছে, যাকে পরিভাষায় বলে ‘ক্রিটিকালি এনডেনজার্ড’। সেই বিলুপ্তর পথে যাওয়া শকুনদের বাঁচানোর লড়াইয়ে নেমেছেন ফুববাড়ির ইন্দো-বাংলা সীমান্তের জটিয়াকালী এলাকার বাসিন্দা আব্দুল সুভান। প্রসঙ্গত, ১৯৯২ থেকে ২০০৭ সাল— মাত্র পনেরো বছরে ভারতে শকুনের অত্যন্ত সাধারণ তিনটি প্রজাতির ৯৭ থেকে ৯৯.৯ শতাংশই গেছে হারিয়ে।

এ এক অন্যরকম শখ। নেশাও বলা যেতে পারে। নিজের জমিকেই ভাগাড় বানিয়ে চলছে শকুনদের অস্তিত্ব টিকিয়ে রাখার লড়াই। শিলিগুড়ি শহরের অদূরে গড়ে ওঠা ওই ভাগাড়ে ২০০৭ সাল থেকে শকুনদের আশ্রয় দিচ্ছেন তিনি। ইতিমধ্যেই হিমালয়ান গ্রিফ্ন ভালচার প্রজাতির জমজমাট কলোনি গড়ে উঠেছে সেখানে। টানা ১২ বছর ধরে শকুনদের পরিচর্চা করছেন আব্দুল। জায়গা না পেয়ে নিজের জমিকেই গড়ে তুলেছেন ভাগাড়। শহর থেকে মৃত গবাদি পশুদের এনে শকুনদের খাবারের যোগানও দেয় আব্দুল। আব্দুলের এই উদ্যোদে সাহায্য করতে এগিয়ে এসেছে শিলিগুড়ি পুরসভা। পাশাপাশি বন্যপ্রাণ সংরক্ষণ সংগঠন ওয়াইল্ডলাইফ ট্রাস্ট অফ ইন্ডিয়া (ডব্লিউটিআই), সোসাইটি ফর নেচার অ্যান্ড অ্যানিম্যাল ফাউন্ডেশন (স্ন্যাপ) থেকেও মেলে সাহায্য। গ্রামবাসীদেরও শকুন সংরক্ষণে উৎসাহী করে তুলতে নিরন্তর চেষ্টা চালান আব্দুল।

আরও পড়ুন- ফের রাজ্যের সঙ্গে সংঘাতের পথে রাজ্যপাল, দোলাচলে বাবুলের শপথ

Previous articleফের রাজ্যের সঙ্গে সংঘাতের পথে রাজ্যপাল, দোলাচলে বাবুলের শপথ
Next articleরাজ্য পুলিশে ব্যাপক রদবদল: রুটিন বদলি, বলছে নবান্ন