জামিন পেয়েও জেলবন্দি জিগনেশ মেবানি! অপরাধ কী? স্পষ্ট করে জানে না পুলিশও

প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির প্রতিহিংসার রাজনীতি নিয়ে সমালোচনা করে একটি টুইট করেছিলেন। তাতেই বিপত্তি ঘটে। সমালোচনার জেরে গুজরাটের বিধায়ক জিগনেশ মেবানি জেলবন্দি হয়েছিলেন । জামিনের পর ছাড়া পেলেও এখনও কারাবন্দি তিনি। যদিও জামিন পাওয়ার পরেও কেন ফের তাঁকে গ্রেফতার করা হল,  সে সম্পর্কে স্পষ্ট করে জানা হয়নি।

আরও পড়ুন:Heat Wave:গরমের দাপট থেকে বাঁচতে ‘মর্নিং স্কুল’ চালুর নির্দেশ শিক্ষা দফতরের

সম্প্রতি  প্রাক্তন ছাত্রনেতা জিগনেশ মেবানি লিখেছিলেন, প্রধানমন্ত্রী প্রতিহিংসার রাজনীতি করছেন। তার পরই আসাম  পুলিশ গুজরাট থেকে তাঁকে গ্রেফতার করে। তিনদিন জেলবন্দি থাকার পর সোমবার জামিনও পান গুজরাটের বিধায়ক জিগনেশ মেবানি। কিন্তু তবুও জেলবন্দি।  কারামুক্ত হওয়ার আগেই ফের আসামের বরপেটা থানার পুলিশের হাতে গ্রেফতার তরুণ তুর্কি এই নেতা। কিন্তু কেন? সেনিয়ে উঠেছে প্রশ্ন।

এবিষয়ে জিগনেশ সাফ জানান, “এটা বিজেপি-আরএসএসের যৌথ ষড়যন্ত্র। ওরা আমার ভাবমূর্তি নষ্ট করার চেষ্টা চলছে। পরিকল্পনা করে তারা এই ঘটনা ঘটাচ্ছে। এটা ওরা রোহিত ভেমুল্লার সঙ্গে করেছে, চন্দ্রশেখর আজাদের সঙ্গে করেছে। এবার আমাকে টার্গেট করছে।”

এর আগেও গেরুয়া শিবিরের বিরুদ্ধে একাধিকবার সরব হয়েছেন। সোশ্যাল মিডিয়ায় বিজেপির প্রতিহিংসার রাজনীতি নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন। বিভিন্ন সময় কেন্দ্রীয় সরকার, রাষ্ট্রীয় স্বয়ংসেবক সংঘ-সহ একাধিক ধর্মীয় কট্টরপন্থী সংগঠনের বিরুদ্ধেও সরব হন। অভিযোগ, সাম্প্রদায়িক উসকানিমূলক একাধিক টুইট করেছিলেন জিগনেশ। অভিযোগ পেয়ে তাঁর সেই সমস্ত টুইট মুছেও দেয় টুইটার কর্তৃপক্ষ। রাজনীতিমহলের অবশ্য দাবি বিজেপি বিরোধীদের বাকরুদ্ধ করতে চায়। তাই এক্ষেত্রেই তাই হয়েছে। সেকারণেই জিগনেশকে কারারুদ্ধ করে রাখতে চাইছে তারা।

প্রসঙ্গত,  দিল্লির জেএনইউর ‘আজাদি’ বিতর্কের সময় কানহাইয়া কুমার, উমর খালিদের সঙ্গে শিরোনামে এসেছিলেন জিগনেশ মেবানিও।প্রাক্তন সাংবাদিক জিগনেশ পরবর্তী সময়ে রাষ্ট্রীয় দলিত অধিকার মঞ্চের আহ্বায়ক হন। এরপর নির্দল হিসেবে ভোটে লড়াই করে গুজরাটের বিধায়কও হন তিনি। ২০২১ সালে কানহাইয়া কুমারের সঙ্গে একইমঞ্চ থেকে কংগ্রেসকে সমর্থনের ঘোষণা করেন এই তরুণ তুর্কি নেতা।