তৃণমূল উদ্বাস্তু সেলের কর্মিসভায় বিজেপি-শুভেন্দুকে নিশানা কুণালের

এদিন শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত তাঁর বক্তব্যে বিজেপিকে নিশানা করেন কুণাল। অসমের ডিটেনশন ক্যাম্প থেকে বিজেপির বঙ্গভঙ্গ চক্রান্তের বিরুদ্ধে তিনি সরব হয়েছেন

মহাজাতি সদনে তৃণমূলের এক উদ্বাস্তু সেলের এক কর্মিসভায় যোগ দিয়ে বিজেপিকে একহাত নিলেন তৃণমূলের রাজ্য সাধারণ সম্পাদক কুণাল ঘোষ। এদিন শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত তাঁর বক্তব্যে বিজেপিকে নিশানা করেন কুণাল। অসমের ডিটেনশন ক্যাম্প থেকে বিজেপির বঙ্গভঙ্গ চক্রান্তের বিরুদ্ধে তিনি সরব হয়েছেন।

কুণাল বলেন, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নেতৃত্বে, “অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় সেনাপতিত্বে মানুষের মানুষের কল্যাণে এগিয়ে চলেছে তৃণমূল কংগ্রেস। এ রাজ্যের মানুষ সরকারি প্রকল্পের সুবিধার জন্য পাচ্ছে। কোনও দল না দেখে সকলকে প্রকল্পের সুবিধা দিচ্ছে রাজ্য সরকার। সমাজের সব বয়সের সব পেশার মানুষের পাশে তৃণমূল। তাই তো তৃণমূলকে একের পর নির্বাচনে সমর্থন করছে। আর অন্যদিকে, বিজেপি জাতপাত নিয়ে রাজনীতি করে মানুষের থেকে আজ বিচ্ছিন্ন।”

বিজেপি বরাবরই বঙ্গভঙ্গের পক্ষে। নতুন করে সেই বাংলা ভাগের উস্কানি দিচ্ছেন শিলিগুড়ির বিধায়ককে শংকর ঘোষ। শঙ্করের মন্তব্য করা সমর্থন করছেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী।

আরও পড়ুন:রাজ্য সরকারের স্কুলশিক্ষা বিশেষজ্ঞ কমিটিতে রদবদল করলেন শিক্ষামন্ত্রী 

উদ্বাস্তু সেলের কর্মিসভায় তাই সকলকে সতর্ক করে কুণাল ঘোষ বলেন, ”বৃহত্তর আন্দোলনের সময় এসেছে। ভাঙা কি জিনিস সেটা আপনাদের থেকে কেউ বেশি বোঝে না। বিজেপি রোজ ভাঙতে চাইছে। যে যন্ত্রনা আপনাদের পূর্ব পুরুষ দেখে এসেছে, তা হতে দেবেন না। ডিটেনশন ক্যাম্পের নামে ওরা মানুষের থেকে মানুষকে বিচ্ছিন্ন করতে চাইছে। তাই বঙ্গভঙ্গের চক্রান্তকারী বিজেপির কালো হাত ভেঙে দিতে হবে, গুড়িতে দিতে হবে।”

এরপরই শংকর ঘোষকে কটাক্ষ করে কুণাল বলেন, “শংকর ঘোষ সিপিএম থেকে বিজেপিতে গিয়ে বাংলা ভাগ চাইছেন। দুদিন পরে এই শংকর ঘোষ তৃণমূলে যোগ দেওয়ার জন্য লাইন দেবেন। শিলিগুড়িতে বঙ্গভঙ্গের বিরুদ্ধে তৃণমূলের উদ্বাস্তু সেল সমাবেশ করবে। ভালো উদ্যোগ। সকলকে নিয়ে আন্দোলন গড়ে তুলতে হবে।”

শুভেন্দু অধিকারীকে কটাক্ষ করে কুণাল বলেন, “বিধানসভা ভোটের ইস্তাহারে বিজেপি বলেনি কেন বাংলা ভাগের কথা। শুভেন্দু তো গোটা রাজ্যের বিরোধী দলনেতা, নাকি শুধু দক্ষিণবঙ্গের বিরোধী দলনেতা? শুভেন্দুর উচিত আগে মানুষের কাছে ক্ষমা চাওয়া।”

এদিনের কর্মীসভায় উদ্বাস্তু সেলকে একগুচ্ছ পরামর্শও দেন তৃণমূলের রাজ্য সাধারণ সম্পাদক। তিনি বলেন, “উদ্বাস্তু সেলকে রাজ্যের জেলায় জেলায় সংগঠন বাড়াতে হবে। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়, অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় চান আপনারা আরও সক্রিয়ভাবে, দৃঢ়ভাবে পার্টির কাজে আসুন। জেলা থেকে মহকুমা, ব্লক থেকে বুথে বুথে কমিটি, সংগঠন তৈরি করতে হবে। হোয়াটসআপ গ্রুপ করুন। মূল দলের সঙ্গে নিয়মিত যোগাযোগ করুন।”

এদিন মহাজাতি সদনে তৃণমূলের উদ্বাস্তু সেলের এই কর্মিসভায় কুণাল ঘোষ ছাড়াও বক্তা হিসেবে উপস্থিত ছিলেন আলোক দাস। নেতৃত্বে ছিলেন সংগঠনের সভাপতি
মুকুলচন্দ্র বৈরাগ্য, রাজু ঘোষ, বিট্টু সিং, টিঙ্কু মজুমদার, বরুণ দত্ত-সহ অন্যান্যরা। বিভিন্ন জেলা থেকে এই অনুষ্ঠানে মানুষের যোগদান ছিল চোখে পড়ার মতো।




Previous article৮২-র আল পাচিনোর নতুন প্রেমিকা! কাকে মন দিলেন তিনি?
Next articleকেন্দ্রের বিরুদ্ধে সরব ‘বাগী’ অর্জুনকে দিল্লি তলব, বাংলার বঞ্চনা বুঝছেন বিজেপি সাংসদও: কুণাল