নতুন তৃণমূল ভবনের গৃহপ্রবেশের অনুষ্ঠানে অভিষেক-সহ শীর্ষ নেতৃত্ব, পুরোহিত শোভনদেব

এখন থেকে আগামী কয়েক বছরের জন্য বদলে গেল তৃণমূল ভবনের ঠিকানা। ৩৬জি তপসিয়া রোড থেকে ভবন সরে এল মেট্রোপলিটনের এ/পি-১/এ ক্যানাল সাউথ রোডে

বাংলার শাসক দল(TMC)। রাজ্যের সবচেয়ে বড় রাজনৈতিক দল। নেতা-মন্ত্রী-বিধায়ক-সাংসদ থেকে শুরু করে স্থানীয়স্তরে কয়েক হাজার জনপ্রতিনিধি। সর্বোপরি লক্ষ লক্ষ সমর্থক। অথচ, বেশ কয়েক মাস যাবৎ কার্যত সদর দফতরহীন হয়ে ছিল তৃণমূল(TMC)। তপসিয়ার প্রধান তৃণমূল ভবন সংস্কারের কাজে পুরোপুরি ভেঙে ফেলার পর কখনও কালীঘাটে দলনেত্রীর আবার কখনও ভাঙা মূল ভবনের পাশে একচিলতে ক্যাম্প অফিস থেকে দলের কাজ চালাচ্ছিলেন নেতারা।

তবে এখন থেকে আগামী কয়েক বছরের জন্য বদলে গেল তৃণমূল ভবনের ঠিকানা। ৩৬জি তপসিয়া রোড থেকে ভবন সরে এল মেট্রোপলিটনের এ/পি-১/এ ক্যানাল সাউথ রোডে। মূল ভবন সংস্কার না হওয়া পর্যন্ত এটাই তৃণমূলের নয়া ভবন (TMC New Office)। আপাতত এখান থেকেই দলের সমস্ত কাজকর্ম পরিচালিত হবে।

আজ পবিত্র ঈদ ও অক্ষয় তৃতীয়ার শুভলগ্নে ঝাঁ চকচকে এই ভবনের গৃহপ্রবেশ হল। পুজো করলেন দলের বর্ষীয়ান নেতা তথা রাজ্যের মন্ত্রী শোভনদেব চট্টোপাধ্যায়(Sovondeb Chattopadhyay)। মাস কয়েক আগে দলীয় দফতর হিসেবে মুখ্যমন্ত্রী নিজেই এই বাড়িটি পছন্দ করেছিলেন। তৃণমূল সূত্রে খবর, তিনলায় মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের জন্য পৃথক কক্ষ থাকছে। এছাড়াও দলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় সহ দলের শীর্ষ পদাধিকারীদের জন্যও পৃথক ঘর করা হয়েছে। শাখা সংগঠনের শীর্ষ নেতা-নেত্রীদের জন্য পৃথক ঘর করা হয়েছে।

নতুন এই দলীয় দফতরে ভবনে দলনেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের (Mamata Banerjee)নিজের হাতে আঁকা ১৩’টি ছবি বিভিন্ন ফ্লোরে শোভা পাচ্ছে। একতলা থেকে পাঁচতলা পর্যন্ত সিঁড়ির প্রতিটি ধাপেই রয়েছে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের আঁকা ছবিগুলি। কালীঘাটের কালীপ্রতিমার একটি ছবি রাখা হয়েছে একতলায় রাজ্য সভাপতি সুব্রত বক্সির(Subrata Bakshi)কক্ষে।

আগামী বছর থেকে দু-দফায়  উচ্চমাধ্যমিক! পরিকল্পনায় শিক্ষা সংসদ ও স্কুল শিক্ষা দফতর

এছাড়া এই নয়া অস্থায়ী ভবনের একতলার ডানদিকে রিসেপশন৷ প্রতিটি ফ্লোরে রয়েছে একাধিক ঘর, কনফারেন্স রুম, মিটিং রুম। দোতলায় কর্পোরেট ধাঁচে করা হয়েছে মিডিয়া সেন্টার।

 

এদিন দুপুর দু’টো নাগাদ নয়া ভবনে আসেন তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়(Abhishek Bandopadhyay)। তিনি গোটা ভবন ঘুরে দেখেন। এছাড়াও ছিলেন মহাসচিব পার্থ চট্টোপাধ্যায়(Partha Chattapadhyay), সুব্রত বক্সী, অরুপ বিশ্বাস(Arup Biswas), চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য, মালা রায়, শান্তনু সেন, জয়প্রকাশ মজুমদার, বৈশ্বানর চট্টোপাধ্যায়, সায়নী ঘোষ, অনন্য বন্দ্যোপাধ্যায়, তৃনাঙ্কুর ভট্টাচার্য প্রমুখ। এই নয়া ভবনেই আগামী ৫ তারিখ রাজ্য কমিটির বৈঠক করবেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।

Previous articleআগামী বছর থেকে দু-দফায়  উচ্চমাধ্যমিক! পরিকল্পনায় শিক্ষা সংসদ ও স্কুল শিক্ষা দফতর
Next articleশিক্ষা দফতরের সঙ্গে কথা বলে উপায় বের করব: চাকরিপ্রার্থীদের আশ্বাস মুখ্যমন্ত্রীর