তৃতীয় তৃণমূল সরকারের বর্ষপূর্তির দিনই রাজ্যে এসে প্রশাসন তথা শাসকদলকে নিশানা করেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ (Amit Shah)। এর প্রেক্ষিতে পরপর বক্তব্য থেকে তাঁকে নিশানা করলেন তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee)। বৃহস্পতিবার, নেতাজি ইন্ডোর স্টেডিয়ামের অনুষ্ঠানের মঞ্চের পরে মেট্রোপলিটনের তৃণমূলে অস্থায়ী নতুন কার্যালয়ে সাংবাদিক বৈঠক থেকেও অমিত শাহর বিরুদ্ধে তোপ দাগেন তৃণমূল নেত্রী। সরাসরি বলেন, ”২০২৪-এ কিছুতেই ক্ষমতায় আসবে না বিজেপি।” কাটমানি নিয়ে তৃণমূলকে নিশানা করেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী। তার পাল্টা তীব্র আক্রমণ করে মমতা। বলেন, ”কাটমানির সংজ্ঞা কী? নানা ছুতোয় পাবলিকের পকেট থেকে যে টাকাটা কাটা হচ্ছে, ১৭ লক্ষ কোটি টাকা।সেটা কী? ছাঁটমানি? পকেট কাটা নয় সেটা?” কেন্দ্রে দ্রব্যমূল্য বৃদ্ধি, পেট্রোপণ্যের মূল্যবৃদ্ধি নিয়ে তুমুল খোঁচা দেন তৃণমূল সুপ্রিমো।
রোজকার মিথ্যে কথা আসলে ভ্রষ্টাচার- বিজেপির বিরুদ্ধে তীব্র আক্রমণ করে বলেন মমতা। একই সঙ্গে বিজেপি ও সিপিআইএম-কে নিশানা করেন তৃণমূল নেত্রী। বলেন, সিপিএম-এর বি টিম বিজেপি। আর বিজেপির লিঙ্ক ম্যান সিপিএম।
উত্তরবঙ্গে দাঁড়িয়ে অমিত শাহের মন্তব্য করোনাকাল শেষ হলেই বাংলায় চালু হবে CAA। এর পাল্টা তোপ দাগেন মমতা। প্রশ্ন তোলেন, যদি নাগরিক না হয়, তাহলে ভোট দিয়ে প্রধানমন্ত্রী-স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী নির্বাচিত করলেন কী করে? কটাক্ষ করে তৃণমূল সুপ্রিমো বলেন, “সিএ মানে আমি চার্টাড অ্যাকাউন্ট বুঝি। দেশে চার্টাড অ্যাকাউন্টের দরকার আছে।“ এর পর অমিত শাহের নাম না করে বলেন, “বার বার এসে একই মিথ্যে কথা বলে। NRC, CAA কোনওদিনও বাংলায় চালু হবে না।“
এদিন, বাংলায় ৩৫৬ ধারা প্রয়োগের দাবি নিয়ে সরব হন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী। তাঁকে পাল্টা হুঁশিয়ারি দিয়ে মমতা বলেন, “মিস্টার শাহ, হোম মিনিস্টার হিসেবে আমি আপনাকে সম্মান করি। আপনিও নাগরিক, আমিও নাগরিক। সেই হিসেবে সম্মান করি। কিন্তু আগুন নিয়ে খেলবেন না। আগে নিজে দিল্লি সামলান পরে বাংলায় নজর দেবেন। বাংলায় বিএসএফ রাজ চালাবেন না।’’
আরও পড়ুন- পরিবর্তন হননি অমিত শাহ: CAA-এর নামে নয়া “জুমলা”, ফের বাংলায় এসে কুৎসা