পরিবর্তন হননি অমিত শাহ: CAA-এর নামে নয়া “জুমলা”, ফের বাংলায় এসে কুৎসা

একদিকে যখন তৃতীয় তৃণমূল কংগ্রেস সরকার গঠনের প্রথম বর্ষপূর্তি, অন্যদিকে বিজেপির গোহারের বর্ষপূরণে ফের রাজ্যে হাজির অমিত শাহ। আজ কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহের দুদিনের রাজ্য সফরের আজ, বৃহস্পতিবার প্রথম দিন ছিল বিতর্কে ভরপুর

একুশের বিধানসভা নির্বাচনের ভোট প্রচারে কার্যত ডেইলি প্যাসেঞ্জার হয়ে দিনের পর দিন তৃণমূল কংগ্রেস নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নামে কুৎসা করে গিয়েছেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। কিন্তু ফলাফল বেরোতে দেখা যায় ভোকাট্টা বিজেপি। তারপর থেকে আর বাংলামুখো হননি অমিত শাহ।

একদিকে আজ ৫ মে যখন তৃতীয় তৃণমূল কংগ্রেস সরকার গঠনের প্রথম বর্ষপূর্তি, আর অন্যদিকে বিজেপির গোহারের বর্ষপূরণ, ঠিক সেই আঙ্গিকে দাঁড়িয়ে ফের রাজ্যে হাজির অমিত শাহ। আর কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহের দু’দিনের রাজ্য সফরের আজ, বৃহস্পতিবার প্রথমদিন ছিল বিতর্কে ভরপুর।

এরই মাঝে একাধিক সরকারি কর্মসূচি ও বিএসএফের অনুষ্ঠানে নতুন বিতর্কের জন্ম দিয়ে বিকেলে শিলিগুড়িতে সভা করেন অমিত শাহ। সেই সভায় যেমন CAA নিয়ে ফের নতুন “জুমলা” প্রতিশ্রুতি দিলেন, একইভাবে কুৎসার রাজনীতি করলেন তিনি।

এদিন শিলিগুড়ির সভা থেকে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর ঘোষণা, “সিএএ লাগু হবেই, কেউ আটকাতে পারবে না। CAA নিয়ে তৃণমূল গুজব রটাচ্ছে। আমি আজ বলে যাচ্ছি করোনার ঢেউ শেষ হলেই, CAA লাগু হবে। মমতাদিদি আপনি তো চান অনুপ্রবেশ চলতে থাকুক। কিন্তু কান খুলে শুনে রাখুন শরণার্থীদের নাগরিকত্ব আমরা দেবই। আপনি কিচ্ছু করতে পারবেন না।”

যদিও পাল্টা দিয়ে তৃণমূল নেত্রী বলেন, “ওরা আমাকে কেন প্রশ্ন করছে? নিজেদের দলের লোকদের প্রশ্ন করুক, ওদের দলের লোকেরাই তো রোজ রোজ CAA নিয়ে সরব হচ্ছেন। এটা ওদের দলের অভ্যন্তরীন ব্যাপার।” এরপরই মুখ্যমন্ত্রী CAA ইস্যুতে অমিত শাহকে জবাব দিয়ে বলেন, “ওরা দেশের নাগরিক। নতুন করে নাগরিকত্বের দেওয়ার কী আছে। ওদের ভোটে জিতেই তো মোদি প্রধানমন্ত্রী, অমিত শাহ স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী হয়েছেন। আর দোষ চাপাচ্ছেন অন্য রাজনৈতিক দলের উপর। আর আমি বলে দিচ্ছি, ২০২৪-এ বিজেপি আর ফিরবে না।”

তবে অমিত শাহ শুধুমাত্র CAA নিয়ে জুমলাবাজি করেই থেমে থাকেননি। একুশের বিধানসভা ভোটের সময় যেরকম কুৎসা করে গিয়েছিলেন, এদিনও শিলিগুড়ির সভায় সেই একই পথে হাঁটলেন। বিধানসভা ভোটে হারের পর এই প্রথম রাজ্যে পা রাখলেন তিনি। কিন্তু অমিত শাহ আছেন অমিত শাহতেই! এতটুকু পরিবর্তন হয়নি তাঁর!

এদিনও একের পর এক প্রসঙ্গ টেনে এনে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এবং রাজ্য সরকারের বিরুদ্ধে কুৎসা করলেন অমিত শাহ। বগটুই-হাঁসখালি থেকে কাটমানি, তোলাবাজি, গুণ্ডামি কিংবা জ্বালানির মূল্যবৃদ্ধি, জিডিপি নিয়ে মিথ্যাচার করলেন। এমনকি, দার্জিলিং যখন শান্ত তখনই GTA নির্বাচন ইস্যুতে পাহাড়ের মানুষকে ভুল বার্তা দিতে কোনও কসুর করলেন না কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী।

আরও পড়ুন- জেলায় জেলায় ফের প্রশাসনিক বৈঠক শুরু মুখ্যমন্ত্রীর, একনজরে সফরসূচি

 

Previous articleবেঙ্গালুরুতে ভাতঘুমের স্বীকৃতি কর্মীদের, কারা দিচ্ছে সুযোগ?
Next article২০২৪-এ ক্ষমতায় আসবে না বিজেপি: তৃণমূল ভবন থেকে শাহকে তীব্র আক্রমণ মমতার