চারাপোনা-মাগুর থেকে কচিপাঁঠা! প্রচারে বেরিয়ে বাজারে গিয়ে ষোলোআনা বাঙালিয়ানা সায়নী

যখন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি অন্য রাজ্যের প্রচারে গিয়ে বলছেন, যাঁরা মাছ খায়, তাঁরা হিন্দু হতে পারে না! ঠিক সেই জায়গায় দাঁড়িয়ে একেবারে ‘মাছে-ভাতে বাঙালি’ যাদবপুরের তৃণমূল প্রার্থী সায়নী ঘোষ৷ আজ, শনিবার প্রচারে বেরিয়ে একেবারে ষোলআনা বাঙালিয়ানা!

তীব্র তাপপ্রবাহকে উপেক্ষা করতে এদিন সকাল সকাল প্রচারে বেরিয়ে পড়েন সায়নী। এদিন তাঁর গন্তব্য ছিল বারুইপুর কাছারি বাজার এবং পুরাতন বাজার৷ দুই বাজার থেকে থলে ভরতি করে বাজার করলেন সায়নী৷ সকাল সকাল এদিন তাঁর প্রচারসঙ্গী ছিলেন বিধানসভার অধ্যক্ষ তথা বারুইপুর পশ্চিমের বিধায়ক বিমান বন্দ্যোপাধ্যায় ৷

কাছারি বাজার থেকে ট্যাংরা, ভেটকি, চিংড়ি, কচি পাঁঠার মাংস কেনেন যাদবপুরে তৃণমূলের তারকা প্রার্থী ৷ এরপর বারুইপুর পুরতন বাজার থেকেও মাগুর, ভেটকি-সহ বিভিন্ন মাছ এবং শাকসবজি কেনেন সায়নী ৷ সায়নীর জানান, বাড়িতে বাবাকে তিনি জানিয়েই এসেছেন, প্রচার থেকে বাজার করেই ফিরবেন তিনি।

অন্যদিকে, প্রচারের ফাঁকে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে তাঁর অন্যতম প্রতিদ্বন্দ্বী সিপিএম প্রার্থী সৃজন ভট্টাচার্যকে খোঁচা দিতে ছাড়লেন না সায়নী। সম্প্রতি, সৃজন প্রচারের বেরিয়ে দাবি করেছিলেন, লোকসভা নির্বাচনের পর যাদবপুর লালে লাল হয়ে যাবে ৷ সেই প্রেক্ষিতেই সায়নী এদিন বলেন, “৩৪ বছরে সিপিএম এমন কাজ করেছে, লাল কাপড়টা এখন বিরিয়ানি হাঁড়িতেই বেশি দেখা যায়। এখন বাজারে এসেছি আনন্দ করতে, যাদবপুর লাল হবে, নীল হবে নাকি সবুজ হবে, সে সব পরে দেখা যাবে। গণতান্ত্রিক পরিসরে মানুষের উপরের তা ছেড়ে দেওয়া হোক!”

আরও পড়ুন- আগামী এক সপ্তাহ আর খাবেন না কামিন্স, কি হল হায়দরাবাদ অধিনায়কের

এর আগে সৃজন সম্পর্কে তাঁর মন্তব্য ছিল, “সিপিএম কিংবা সৃজনকে এখনও দেখা যাচ্ছে সেটাই তো বড় কথা। কাজেই আমি কীভাবে দেখছি সেটা গুরুত্বপূর্ণ নয়, পশ্চিমবঙ্গের মানুষ তাঁদেরকে কীভাবে দেখছেন সেটাই বড় কথা । আর সৃজনকে মনে হয় না চোখে পড়ার মতো বা চোখ ধাঁধানোর মতো কোনও প্রার্থী ৷”

Previous articleআগামী এক সপ্তাহ আর খাবেন না কামিন্স, কি হল হায়দরাবাদ অধিনায়কের
Next articleরবিবার রাজ্যে জয়েন্ট এন্ট্রান্স পরীক্ষা, পরীক্ষার্থীদের জন্য বিশেষ ব্যবস্থা বোর্ডের