দলকে চাঙ্গা করতে এসেও ব্যর্থ!শাহের সফরের মাঝেই পদ্মে ভাঙন অব্যাহত

bjp

বঙ্গসফরে এসেছেন বিজেপির শীর্ষ নেতৃত্ব। কিন্তু তাতেও দলের গোষ্ঠী কোন্দল থামছে না। গেরুয়া শিবিরের অন্তঃকলহ যেন আরও বেশি করে প্রকাশ্যে আসছে। তাই অমিত শাহের সফরের মাঝেও গেরুয়া শিবিরে ফের দলত্যাগের হিড়িক। বৃহস্পতিবার বিজেপির ঝাড়গ্রাম জেলা কমিটির ১৬ জন সদস্য-সহ জেলার প্রায় ১৮টি মণ্ডল, নগর মণ্ডল, শক্তিকেন্দ্র প্রমুখ-সহ বুথ স্তরের সভাপতি, সহ-সভাপতি, সম্পাদক, সদস্যরা দলের পদ ছাড়তে চেয়ে গণস্বাক্ষর করেছেন। তাঁদের অভিযোগ নতুন জেলা কমিটির সদস্যরা অযোগ্য । তাঁরা দলের একনিষ্ঠ কর্মীদের সম্মানও দেন না। যার জেরে এই গণইস্তফা দিতে বাধ্য হয়েছেন তাঁরা বলে অভিযোগ।



আরও পড়ুন:বাংলায় ঘৃণা-কুৎসা-মিথ্যাচারের স্থান নেই, এবারও ভাঙা হৃদয়ে ফিরতে হবে! শাহকে জবাব তৃণমূলের


বিধানসভা ভোটের পর থেকেই বিজেপিতে ভাঙন শুরু হয়েছে। তাবড় তাবড় নেতা থেকে দলের সাধারণ কর্মীরাও দলের সঙ্গে দূরত্ব বাড়িয়েছেন। যোগ দিয়েছেন অন্য দলে। শাহের বঙ্গে সফরের আগেই বিজেপির বারাসত সাংগঠনিক জেলার ১৫ জন গণইস্তফা দেন। এবার শাহের সফরের মাঝেই ঝাড়গ্রামে জেলা কমিটি থেকে শুরু করে বিভিন্ন মণ্ডলে গণইস্তফার হিড়িকে বেশ অস্বস্তিতে বঙ্গ বিজেপি। জেলা কমিটিকে তুলোধোনা করে, অযোগ্য বলে লেখা একটি চিঠি নিয়ে জেলার দলীয় কার্যালয়ে উপস্থিত হয়েছিলেন পদত্যাগীরা। কিন্তু অফিসে কোনও জেলা নেতৃত্ব না থাকায় দীর্ঘ অপেক্ষার পর ফিরে যান তাঁরা। এ নিয়ে তাঁরা সাফ জানিয়েছেন, এই ইস্তফাপত্র  জেলা সভাপতির কাছে পাঠিয়ে দেওয়া হবে।


জেলা মণ্ডল সভাপতিতে কোনও রকম আলোচনা ছাড়াই চন্দ্রশেখর প্রতিহারকে সদস্য করায় তিনি একপ্রকার বিজেপি জেলা নেতৃত্বের কাছে ক্ষুব্ধ। তিনি বলেন, ‘কোনও আলাপ- আলোচনা ছাড়াই আমায় জেলা সদস্য করা হয়েছে। আমি এই নেতৃত্বের সঙ্গে কাজ করতে পারব না।’ শালবনির মণ্ডল সভাপতি পূর্ণচন্দ্র মাহাতোকেও জেলা কমিটিতে আনা হয়েছে। পূর্ণচন্দ্রবাবুর বক্তব্য, ‘জেলা কমিটির বিরুদ্ধেই আমাদের ক্ষোভ। কর্মীদের সঙ্গে এদের কোনও যোগাযোগ নেই। কর্মীদের কোনও সম্মান জানায় না এরা। তাই জেলা কমিটির পদ থেকে ইস্তফা দিয়েছি।’

Previous articleবাংলায় ঘৃণা-কুৎসা-মিথ্যাচারের স্থান নেই, এবারও ভাঙা হৃদয়ে ফিরতে হবে! শাহকে জবাব তৃণমূলের
Next articleচিকেন শাওয়ারমা খেয়ে কেরলে মর্মান্তিক মৃত্যু কিশোরীর, অসুস্থ ৩০