অমিত শাহর কুৎসিত রাজনীতি, পাল্টা ধুয়ে দিলেন তৃণমূল নেতৃত্ব

"CBI-এর জুজু দেখিয়ে লাভ নেই। প্রত্যেক অন্যায়ের বিরুদ্ধে আমাদের নেত্রী লড়েছেন"- চন্দ্রিমা

“এক বছর পর বাংলায় হারের উদযাপন করতে মিথ্যে কথার ঝুড়ি নিয়ে এসেছেন। কুৎসিত রাজনীতি করতে এসেছেন।” কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহর সফরকে তীব্র ভাষায় আক্রমণ করলেন রাজ্যর মন্ত্রী চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য (Chandrima Bhattacharya)। অমিত শাহকে (Amit Shah)’রাজনৈতিক পর্যটক’ বলে কটাক্ষ করে চন্দ্রিমা বলেন, ২০২১-এর নির্বাচনের আগে বিজেপি বলেছিল, ‘ইসবার দোশো পার’। বাংলার মানুষ ওদের দিল্লির উসপার করে দিয়েছেন।

অমিত শাহর সফরের দ্বিতীয়দিনই কাশীপুরে বিজেপি (BJP)নেতার অস্বাভাবিক মৃত্যু নিয়ে উত্তেজনা ছড়ায়। ঘোলাজলে মাছ ধরতে নেমে পড়ে বিজেপি। এনিয়ে অমিত শাহকে ধুয়ে দেন চন্দ্রিমা। বলেন, “মৃত্যু নিয়ে জঘন্য রাজনীতি করেছেন। কী করে বুঝলেন এটা রাজনৈতিক খুন? উনি কি কোনও রাজনৈতিক জ্যোতিষী?”

চন্দ্রিমা তোপ দেগে বলেন, “অর্জুন চৌরাশিয়ার মৃত্যু হয়েছে। তদন্ত শুরু হয়েছে। আমাদের বিচার ব্যবস্থা উপর আস্থা আছে। অমিত শাহ বলে দিলেন রাজনৈতিক খুন, তাহলে তো তদন্তের প্রয়োজনই নেই।” স্বারাষ্ট্রমন্ত্রীর অভিযোগের পাল্টা চন্দ্রিমা প্রশ্ন তোলেন, কোর্টর নির্দেশে তদন্তে ওনাকে সাক্ষী দিতে বললে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী সাক্ষী দেবেন তো?”

তৃণমূলের অভিযোগ, রাজনৈতিক উদ্দেশ্যেই এই ঘটনা হয়েছে। এই ঘটনা সুপরিকল্পিত ও ষড়যন্ত্র হয়েছে। যে সব বিজেপি নেতারা এদিন কাশীপুরে গিয়েছিলেন, তাঁদের মানুষের পাশে দেখায় যায় না- কটাক্ষ তৃমমূল নেতৃত্বের।

বাংলার শান্তিপ্রিয় জায়গা। এখানে গণতন্ত্র আছে। বিজেপি কলুষিত করার চেষ্টা করছে বলে তীব্র আক্রমণ করেন চন্দ্রিমা। কাশীপুরের ঘটনারও CBI তদন্তের দাবি করেছে বিজেপি। একে কটাক্ষ করে চন্দ্রিমা বলে, CBI-এখন লোকাল থানা হয়ে গিয়েছে। “CBI-এর জুজু দেখিয়ে লাভ নেই। প্রত্যেক অন্যায়ের বিরুদ্ধে আমাদের নেত্রী লড়েছেন।”

অমিত শাহ যে ভাবে রাজনীতি করলেন তা অত্যন্ত কুৎসিত বলে মন্তব্য করে চন্দ্রিমা বলেন, মৃতদেহ কেউ ছিনিয়ে নেয়নি। ওরাই মৃত্যু নিয়ে জঘন্য রাজনীতি করেছে। চন্দ্রিমা প্রশ্ন তোলেন- সিঙ্গুর, নন্দীগ্রামের সময় কোথায় ছিলেন আপনি? CPIM-এর হাতে তামাক খাচ্ছিলেন নাকি? গুজরাট হিংসার কথা মনে পড়ছে না?

এর আগে এদিন সকালে তৃণমূল (TMC) মুখপাত্র কুণাল ঘোষ (Kunal Ghosh) প্রশ্ন তোলেন,  বিজেপির একজন বিক্ষুব্ধ নেতার সঙ্গে তাকে দেখা যেত। কীভাবে মৃত্যু হল, তা  পুলিশ তদন্ত করে দেখবে। মৃত্যু হলেই সেটা রাজনৈতিক মৃত্যু? তৃণমূলের দিকে আঙুল তুলে সকাল থেকে মৃতদেহ ঘিরে বিজেপির বহিরাগতরা  ওই এলাকায় ঢুকে যা করেছে তাতে সেখানে হাতের ছাপ থেকে তথ্যপ্রমাণ নষ্ট থেকে অনেক কিছু হতে পারে। তোপ দেগে তিনি বলেন,  বিজেপির বড় নেতা এখানে এসেছেন। তাঁর কাছে নম্বর বাড়ানোর জন্য বিক্ষুব্ধ গোষ্ঠীর নেতাকে বলি দিয়ে নেতার নাটকের মঞ্চ তৈরি হচ্ছে কী না কে বলবে।

আরও পড়ুন- 356-CBI দিয়ে হবে না, মমতাকে দেখে লড়াই শিখুন! রাজ্য নেতৃত্বকে পরামর্শ অমিত শাহের

Previous articleকেন তৃণমূলকে ভোট, একশো শতাংশ মানুষকে গিয়ে বোঝান : কুণাল
Next articleBratya Basu: রাজ্যের স্কুল শিক্ষার সিলেবাস বদলে নয়া ভাবনা শিক্ষামন্ত্রীর