356-CBI দিয়ে হবে না, মমতাকে দেখে লড়াই শিখুন! রাজ্য নেতৃত্বকে পরামর্শ অমিত শাহের

ভোট প্রচারে বা রাজনৈতিক সমাবেশে যতই "জুমলা" বা কুৎসা-মিথ্যা-অপপ্রচার করুন, বাংলার রাজনৈতিক বাস্তবতা যে তিনি বোঝেন এদিন দলের বৈঠকেই তা স্পষ্ট করলেন অমিত শাহ

দু’দিনের বঙ্গ সফরের শেষদিনে আজ ঠাসা কর্মসূচির মধ্যে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ নিউটাউনের হোটেলে প্রায় ঘন্টা দেড়েক দলের রাজ্য নেতৃত্ব, পদাধিকারী ও সাংসদ-বিধায়কদের নিয়ে সাংগঠনিক বৈঠক করেন। ভোট প্রচারে বা রাজনৈতিক সমাবেশে যতই “জুমলা” বা কুৎসা-মিথ্যা-অপপ্রচার করুন, বাংলার রাজনৈতিক বাস্তবতা যে তিনি বোঝেন এদিন দলের বৈঠকেই তা স্পষ্ট করলেন অমিত শাহ।

রাজ্যে প্রধান বিরোধী দল হিসেবে লড়াই করার দৃষ্টান্ত হিসেবে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কেই তুলে ধরলেন অমিত শাহ। তাঁর পরামর্শ মনোবল হারিয়ে হতাশ হলে চলবে না। বিরোধী দলে থাকলে আক্রান্ত হতে হবে। বাম জমানায় মমতা সিপিএমের দ্বারা দিনের পর দিন আক্রান্ত-নিগৃহীত হয়েও লড়াইয়ের ময়দান থেকে সরে আসেননি। তাই বাড়িতে বসে যাঁরা ভাবছেন ম্যাজিক করে বাংলায় ক্ষমতায় চলে আসবে, তাঁরা একেবারে বসে পড়ুন, নতুবা পথে নেমে লড়াই করুন।

শুধু তাই নয়, দলীয় নেতৃত্বকে অমিত শাহ বুঝিয়ে দেন বাংলায় ক্ষমতায় আসতে হলে গণতান্ত্রিকভাবে রাজনৈতিক লড়াইয়ের মধ্যে দিয়েই তা অর্জন করতে হবে। ৩৫৬ ধারা বা CBI দিয়ে ক্ষমতায় আসা যায় না। রাজ্য নেতৃত্ব পরামর্শ দিয়ে তাঁর বার্তা, “বিশাল জনাদেশ নিয়ে আসা একটি নির্বাচিত রাজ্য সরকারের বিরুদ্ধে যা খুশি তাই করা যায় না। রাজনৈতিকভাবে লড়ে তৃণমূলকে পরাস্ত করতে শিখুন। শুধুমাত্র CBI দিয়ে বিরোধী নেতাদের গ্রেফতার করে ভোটে জেতা যায় না গণতান্ত্রিকভাবে লড়ার মানসিকতা আনুন।”

বিজেপি সূত্রে জানা গিয়েছে, ২০২৪ লোকসভা ভোটের আগে ফের নিয়ম করে রাজ্যে আসার ইঞ্জিত দিয়েছেন অমিত শাহ। বুথ স্তর থেকে সংগঠনকে ঢেলে সাজানো নির্দেশ দিয়েছেন তিনি। মনোবল না হারিয়ে ফের শূন্য থেকে শুরু করার বার্তা দেন অমিত শাহ। একইসঙ্গে রাজ্য বিজেপি সভাপতি তথা সাংসদ সুকান্ত মজুমদার এবং বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীকে এ রাজ্যের সংগঠনের বিশেষ দায়িত্ব দিয়েছেন তিনি। অর্থাৎ, দিলীপ ঘোষ লবিকে এদিন কিছুটা গুরুত্বহীন করে দেন শাহ।

আরও পড়ুন- বাম আমালের তুলনায় কারিগরি শিক্ষায় ৪ গুণ এগিয়েছে বাংলা, জব ফেয়ারে বিপুল কর্মসংস্থান: হুমায়ুন

Previous articleUSA:আবহাওয়ার খামখেয়ালিপনা, সংকট মোকাবিলায় নতুন গবেষণা কেন্দ্র
Next articleএকদিনের জন্য বলুন বাই বাই ডায়েট