একদিনের জন্য বলুন বাই বাই ডায়েট

শরীর সম্পর্কে আজকাল কেই বা সচেতন নয়। জিম, যোগা, বিভিন্নরকম শরীরচর্চার পাশাপাশি ডায়েট এখন মাস্ট। রোগা-মোটা এসব নিয়ে আমরা কমবেশি সবাই সচেতন। তাই ডাক্তারের পরামর্শমত খাবারেও লাগাম বসাতে বাধ্য সকলেই। খারাপ খাবার হলেও খেতে হবে। আবার জিভে জল আনা খাবার হলে একটা ‘বিগ নো’ বলতে বাধ্য হই। তবে এমনটা কখনও ভেবেছেন কী, একটা দিন এমন যদি পাওয়া যেত যেদিন যা ইচ্ছা তেমন খাওয়া যেত। মানে বাংলায় যাকে বলে ভুরিভোজ! আজ এমনই একটা দিন। পাত পেড়ে খেয়ে ফেলুন যা মন চায়। ডায়েটকে বলুন বাই বাই। কারণ আজ ইন্টারন্যাশন্যাল নো ডায়েট ডে।

আরও পড়ুন:USA:আবহাওয়ার খামখেয়ালিপনা, সংকট মোকাবিলায় নতুন গবেষণা কেন্দ্র


জানেন কী কবে থেকে পালিত হয় ইন্টারন্যাশন্যল ডায়েট ডে?

১৯৯২ সালের ৬ মে প্রথম ব্রিটেনে পালিত হয় ‘NO Diet Day’। এরপর ধীরে ধোরে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র, কানাডা, নিউজিল্যান্ড, অস্ট্রেলিয়া, ব্রাজিল, ভারতেও এই দিনটি পালিত হতে শুরু করে। বডি টাইপ, ফ্যাট ফোবিয়া নিয়ে সারা বিশ্বে সচেতনতা গড়ে তোলার উদ্দেশ্যেই প্রতি বছর এই দিনটি পালন করা হয়।


কেন পালিত হয় দিনটিঃ

ম্যারি ইভানস ইয়ং অতিরিক্ত ডায়েট মেনে চলার কারণে স্নায়ু রোগের সমস্যার শিকার হন। তখন তাঁর মনে হয়, স্বাস্থ্যের জন্যেই এমন একটা দিন অবশ্যেই রাখা দরকার, যেদিন মানুষ ডায়েট ভেঙে ইচ্ছামত যা খুশি খেতে পারবে। সেই শুরু। প্রত্যহমে তিনি ও তাঁর দুই মেয়ে ‘NO Diet Day’ -এর প্রচার শুরু করেন। আজ সারা বিশ্বে ছড়িয়ে দিনটি।


বলা চলে আজ হল পছন্দমত সবরকম খাওয়ার দিন। সর্বোপরি নিজেকে ভালোবাসার দিন । অতিরিক্ত ওজন অবশ্যি শরীরের জন্য খারাপ। তাই বলে অতিরিক্ত ডায়েটও আপনাকে সমস্যায় ফেলতে পারে। তাই নিজের উচ্চতা ও ওজনের মধ্যে সামঞ্জস্য বুঝে ডায়েট করা উচিত। অযথা মানসিক চাপ নেবেন না। তাতে ডায়েট করলেও শরীর খারাপ হতে পারে।

Previous article356-CBI দিয়ে হবে না, মমতাকে দেখে লড়াই শিখুন! রাজ্য নেতৃত্বকে পরামর্শ অমিত শাহের
Next articleBengal: বাংলা দলের জন্য বিশেষ মধ্যাহ্নভোজের আয়োজন করল আইএফএ, আমন্ত্রণ জানাল ইস্টবেঙ্গল