“ঝালমুড়ি খেতে গিয়ে দেরি হল”, শপথ নিয়েই ধনকড়কে খোঁচা বাবুলের

গত ১৬ এপ্রিল বালিগঞ্জ উপনির্বাচনের ফল ঘোষণা হয়৷ মাঝে কেটে গিয়েছে ২৪টি দিন। শপথ নিতে পারেননি নবনির্বাচিত বিধায়ক বাবুল সুপ্রিয়। সৌজন্যে রাজ্যপাল জগদীপ ধনকড়। নানা অজুহাত ও টালবাহানা করে বাবুলের শপথে বিলম্ব করেন রাজ্যপাল। অবশেষে যাবতীয় জটিলতা কাটিয়ে আজ, বুধবার বিধানসভায় ডেপুটি স্পিকার আশিস বন্দ্যোপাধ্যায় বাবুলকে বিধায়ক পদে শপথ পাঠ করান। এরপর বাবুল সোজা চলে যান স্পিকার বিমান বন্দ্যোপাধ্যায়ের কক্ষে। সেখানে বাবুল আর স্পিকারের মধ্যে সৌজন্য বিনিময় হয়। প্রয়াত সুব্রত মুখোপাধ্যায়ের বিধায়ক তহবিলে এখন যে টাকা পড়ে রয়েছে, তা কাজে লাগিয়েই বালিগঞ্জের মানুষের জন্য উন্নয়নের কাজ শুরু করবেন তিনি৷

বিধায়ক হিসেবে শপথ গ্রহণের পর বাবুল যেমন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যাযাকে কৃতজ্ঞতা, ধন্যবাদ জানিয়েছেন।
আবার খোঁচা দিয়েছেন রাজ্যপালকে। শপথ নিয়ে বালিগঞ্জের বিধায়ক নাম না নিয়ে ধনকড়কে কটাক্ষ করে বলেন, ”আমার ট্রেনের টিকিট কনফার্ম ছিল। কোথায় যাব সেটাও ঠিক ছিল। মাঝে শুধু একটু ঝালমুড়ি খেতে দেরি হল।”

শুধু রাজ্যপাল নয়। বাবুল বিরোধীদের নিশানা করে বলেন, “ব্যক্তিগত আক্রমণের বিরুদ্ধে বড় জয় হল। জেতার পর থেকেই নিজের মতো করে কাজ শুরু করেছি। কিন্তু অফিসিয়ালি কিছু করতে পারছিলাম না। এবার সেটা পারব। অনেকেই রয়েছেন যাঁরা দল ছেড়েছেন কিন্তু পদ ছাড়েননি। কিন্তু আমার যেটা ঠিক মনে হয়েছে করেছি।যে  কোনও পরিস্থিতিতে বালিগঞ্জের মানুষের পাশে থাকার শপথ নিয়েছি।”

সংসদীয় রাজনীতিতে তিনি যে নতুন নয়। তাঁর যথেষ্ট অভিজ্ঞতা রয়েছে, এদিন শপথ গ্রহণের পর ফের সেকথা মনে করিয়ে দেন বালিগঞ্জের বিধায়ক। বাবুলের কথায়,
“সাংসদ হিসাবে আমার যথেষ্ট অভিজ্ঞতা রয়েছে। আসানসোলে লোকসভায় দ্বিতীয়বার জেতাটাই হল আমার রিপোর্ট কার্ড। মানুষের জন্য কাজ করেছি। তাই জন্য দ্বিতীয় বার আমি তিনগুণ ভোটে জিতেছি।”

তিনি আরও বলেন, ”উপনির্বাচনের আগে নো ভোট ফর বাবুল বলে লাগাতার প্রচার চালিয়েছে বিরোধীরা। যাঁরা আমাকে হারানো চেষ্টা চালিয়েছেন, আমি এখন তাঁদেরও বিধায়ক। আসানসোলে তিনদিন গিয়েছিলাম। শত্রুঘ্ন সিনহার সঙ্গে ভালো পরিচয় আছে। ওখানকার মানুষ প্রমাণ করে দিয়েছে বিজেপিকে ভোট দেয়নি। ওনারা আমার কাজ দেখে ভোট দিয়েছেন। আসানসোলের মানুষের জন্য যা যা কাজ করেছিলাম, তা সবাই মনে রাখবেন। আমি তো রাজনীতি ছেড়ে দিয়েছিলাম। তারপরেও ভবানীপুরে আমার নাম রাখা হয়েছিল। দিদিকে ধন্যবাদ। উনি জানিয়েছিলেন বাবুলের প্রতি অন্যায় হয়েছে। ৮ বছর মন্ত্রী থাকার পরেও আমাকে অবহেলা করেছে। আমার মনে হচ্ছে, কোথাও বাঙালির প্রতি অন্যায় হয়েছে। তাই ছেড়ে বেরিয়ে এসেছি।”

Previous articleবাবুলকে শপথ পাঠ করিয়ে রাজ্যপালের সমালোচনায় ডেপুটি স্পিকার
Next articleসব কিছুর দাম বাড়ছে, সৌজন্যের দাম কমছে : মুখ্যমন্ত্রী