জট কাটিয়ে ২৪ দিন পরে বালিগঞ্জের বিধায়ক হিসেবে শপথ নিলেন বাবুল

শপথবাক্য পাঠ করালেন ডেপুটি স্পিকার আশিস বন্দ্যোপাধ্যায়।

অবশেষে জট কাটিয়ে বালিগঞ্জের বিধায়ক (MLA of Ballygunge) হিসেবে শপথ গ্রহণ করলেন বাবুল সুপ্রিয়(Babul Supriyo)। পূর্বনির্ধারিত সূচি মেনে বুধবার, বেলা সাড়ে বারোটা নাগাদ বিধানসভায় তাঁকে শপথবাক্য পাঠ করালেন ডেপুটি স্পিকার (Deputy speaker)আশিস বন্দ্যোপাধ্যায়। ১৬ এপ্রিল বালিগঞ্জ বিধানসভার (Ballygunge assembly) উপনির্বাচনে জিতলেও, টানাপোড়েনে আটকে ছিল বাবুলের শপথগ্রহণ। কেটে গিয়েছে ২৪ দিন। অবশেষে এদিন শপথগ্রহণ অনুষ্ঠান(Oath taking ceremony) হয়। সেখানে উপস্থিত ছিলেন না স্পিকার বিমান বন্দ্যোপাধ্যায়(Biman Banerjee)। ছিলেন পরিষদীয় মন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়-সহ অন্যান্যরা। পরে স্পিকারের ঘরে গিয়ে তাঁর সঙ্গে দেখা করেন বাবুল(Babul Supriyo)।

বিধায়ক পদে বাবুল সু্প্রিয়র শপথ নিয়ে বিস্তর টানাপোড়েনের হয়। শপথগ্রহণে অনুমতি দেন রাজ্যপাল জগদীপ ধনকড় (Jagdeep Dhankar) কিন্তু তিনি বলেন, স্পিকার (Speaker) নয়, বাবুল সুপ্রিয়কে (Babul Supriyo) শপথগ্রহণ করাবেন ডেপুটি স্পিকার। বিষয়টি নিয়ে দুঃখপ্রকাশ করে পরপর টুইট করেন বালিগঞ্জে তৃণমূল বিধায়ক। এর জবাবে আবার স্বভাবসিদ্ধ ভঙ্গিতে টুইট করেন রাজ্যপাল জগদীপ ধনকড়। লেখেন, “১৬১ বালিগঞ্জ বিধানসভা কেন্দ্র থেকে নির্বাচিত বাবুল সুপ্রিয়র প্রকাশ্যে মাননীয় স্পিকারের দ্বারা শপথ গ্রহণের জন্য রাজ্যপালকে অনুরোধ করা সংবিধানের সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ নয়, গ্রহণযোগ্যও নয়।”

বিধায়কদের শপথগ্রহণ করানোর ক্ষমতা সাধারণত বিধানসভার স্পিকারদের দেন রাজ্যপালরা। কিন্তু ধনকড় তা নিজের কাছে ফিরিয়ে নিয়েছেন। ফলে জয়ী প্রার্থীর শপথগ্রহণের অনুমতি তাঁর থেকেই নিতে হচ্ছে। তার জেরে রাজ্যপাল চাইলে নিজেই বিধায়ককে শপথগ্রহণ করাতে পারেন। বা তাঁর মনোনীত কেউ শপথগ্রহণ করাতে পারেন। সেই কারণে বাবুলের শপথগ্রহণের অনুমতির জন্য রাজভবনে চিঠি পাঠানো হয়। রাজ্যপাল শর্ত রাখেন, রাজ্যের বেশকিছু বিল ও প্রস্তাবের আলোচনার বিস্তারিত বিবরণ না পাওয়া পর্যন্ত তিনি শপথগ্রহণের অনুমতি দেবেন না। এই নিয়ে ফের রাজ্যপালের সঙ্গে রাজ্যের সংঘাতের আবহ তৈরি হয়। অবশেষে শনিবার শপথের অনুমতি দেন রাজ্যপাল। কিন্তু ডেপুটি স্পিকার আশিস বন্দ্যোপাধ্যায় জানিয়ে দেন, তাঁকে যে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে, তা তিনি পালন করতে পারবেন না। শেষ পর্যন্ত আশিস বন্দ্যোপাধ্যায়ই শপথবাক্য পাঠ করান বাবুলকে। এদিন, শপথবাক্য পাঠ করানোর পর সেই কথা উল্লেখ করে ডেপুটি স্পিকার বলেন, রাজ্যপালের নির্দেশ মতোই তিনি এটা করলেন।



Previous articleপুনর্বিবেচনা না হওয়া পর্যন্ত রাষ্ট্রদ্রোহ আইনে স্থগিতাদেশ দিল সুপ্রিম কোর্ট
Next articleশ্বশুরবাড়িতে শৌচাগার নেই, অভিমানে আত্মঘাতী বধূ