London: ব্রিটেনের ভোট যুদ্ধে বাজিমাত বাংলার ছেলের

কর্মসূত্রে লন্ডন হলেও জন্মসূত্রে তো কলকাতা। তাই সেই আবেগ আর নস্টালজিয়াকে সযত্নে বুকে আগলে রেখেছেন ব্রিটেনের এই নবনির্বাচিত কাউন্সিলর।

লন্ডনের নিউহ্যাম বরোর(London Borough of Newham) ইস্ট হ্যাম ওয়ার্ডের (East Ham ward)ভোটযুদ্ধে প্রথম বারেই বাজিমাত কলকাতার ছেলে ইমাম হকের (Imam Haq)। ব্রিটিশ ভূমিতে রাজনৈতিক কেরিয়ারে অভিষেকেই শিরোনামে। ভোটের রেজাল্ট বলছে নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী কনজ়ারভেটিভ পার্টির(Conservative party) প্রার্থীকে ১০২৫ ভোটে হারিয়ে জয়ী ইমাম হক(Imam Haq)।

অশনির দাপটে অন্ধ্রের সমুদ্রে তটের ভেসে এলো “ভিনদেশি” অপূর্ব সোনালি রথ

ব্রিটেনের স্থানীয় কাউন্সিল নির্বাচনে এ বার লেবার পার্টির জয়জয়কার। ইমামের চিন্তাভাবনা, আত্মবিশ্বাস নজর কেড়েছিল লেবার পার্টি(Labour party) নেতৃত্বের। সেই সূত্রেই তাঁকে মনোনীত করা হয়। এই আসনটি এর আগেও লেবার পার্টির দখলে ছিল। সে দিক থেকে বিচার করলে এই লড়াই অনেক বড় চ্যালেঞ্জ ছিল বঙ্গতনয়ের  কাছে। পরীক্ষায় সসম্মানে উত্তীর্ণ খিদিরপুরের(Khidirpur) ময়ূরভঞ্জ রোডের এক প্রবাসী। নির্বাচনী লড়াইটা ব্রিটিশদের মাটিতে হলেও রাজনীতির হাতেখড়ি এই কলকাতায়। শ্যামাপ্রসাদ কলেজে (Shyamaprasad College) পড়ার সময়ে ছাত্র পরিষদের সদস্য ছিলেন ইমাম।২০০৫ সালে এমবিএ করতে যান ওয়েলস বিশ্ববিদ্যালয়ে( University of Walse)। এর পরে কর্মসূত্রে ব্রিটেনেই থেকে যান ইমাম। বর্তমানে সিনিয়র বিজ়নেস ডেভেলপমেন্ট ম্যানেজার হিসাবে কর্মরত তিনি।২০১৭ সালে ব্রিটেনের নাগরিকত্বও পেয়ে যান তিনি। লড়াইটা কি খুব সহজ ছিল? কীভাবে নিজেকে তৈরি করেছিলেন? এই প্রশ্নের উত্তরে প্রচার পর্বের প্রস্তুতির কথাই মনে করাচ্ছেন ইমাম।শুরু থেকেই নিবিড় জনসংযোগের উপরে জোর দিয়েছিলেন তিনি। গত ১৫ বছর ইস্ট হ্যামেই আছেন, তাই স্বভাবতই এলাকাটা খুব ভাল করে চেনেন তিনি। ইমামের প্রাপ্ত ভোট ১৭২৫।

প্রত্যেকের বাড়ি গিয়ে প্রচার করেছিলেন তিনি সবুজায়নে জোর দিয়েছিলেন। শুরুর দিকে অবশ্য গ্রিন পার্টি নিয়ে তাঁর একটু চিন্তা ছিল। সোশ্যাল মিডিয়ায় ইমামের বিরুদ্ধে জোরদার প্রচারও চালিয়েছিলেন বিরোধীরা। তবে শেষ হাসি হেসেছেন এই বঙ্গসন্তানই। কর্মসূত্রে লন্ডন হলেও জন্মসূত্রে তো কলকাতা। তাই সেই আবেগ আর নস্টালজিয়াকে সযত্নে বুকে আগলে রেখেছেন ব্রিটেনের এই নবনির্বাচিত কাউন্সিলর। তাঁর বাবা-মা থাকেন খিদিরপুরের ময়ূরভঞ্জ রোডের বাড়িতেই। তাঁদের টানে বছরে অন্তত এক বার কল্লোলিনী কলকাতায় আসেন ইমাম। তাঁর কাছে এখনও যে কলকাতা প্রাণের শহর। তাঁর সাফল্যে খুশি পরিবার। আত্মীয় বন্ধু-বান্ধবদের মিষ্টি বিতরণ করেছেন ইমামের মা-বাবা। সকলে আশীর্বাদ করেছেন, ইমাম যাতে ভবিষ্যতে আরও অনেক বড় বড় কাজ করতে পারেন এবং বিদেশ ভূমিতে কলকাতার ছেলেটা এভাবেই শহরের রাজ্যের আর দেশের নাম উজ্জ্বল করুক, বলছেন ইমাম ঘনিষ্ঠরা।



Previous articleকাশীপুরের মৃত যুবকের দাদা ও মাকে সিটের জিজ্ঞাসাবাদ
Next articleরাষ্ট্রদ্রোহ আইনে স্থগিতাদেশ ঐতিহাসিক: স্বাগত জানিয়ে আইন বাতিলের দাবি সুজাত ভদ্রর