বাংলার তরুণ প্রজন্মের সংস্কৃতি ভাবনায় মুখরিত জোড়াসাঁকোর ‘সমারোহ’

কালবৈশাখীর ভ্রূকুটি, বৈশাখের প্রখর দাবদাহ, ফের করোনা সংক্রমণের আতঙ্ক সবকিছু উপেক্ষা করেও যে  একটি সর্বাঙ্গীন সফল মেলা করা যায় তা দেখিয়ে দিল ‘সমারোহ’। প্রকাশক-গ্রন্থকার সৌরভ বিশাইয়ের উদ্যোগে-ভাবনায়-পরিকল্পনায় অসাধারণ একটি মিলনোৎসবে পরিণত হল ‘সমারোহ’। জোড়াসাঁকো ঠাকুরবাড়ি প্রাঙ্গণে  শনি ও রবি দু’দিন ধরে অনুষ্ঠিত হল এই মেলা। ‘সমারোহ’র সভাপতি সৌরভ নিজেও ভাবেননি যে  প্রথম বছরেই তাঁদের এই  উদ্যাোগ কলকাতার বুকে এতটা আলোড়ন তুলবে। তাই  এবারই শেষ নয় আসছে বছর আবারও হবে, সভাপতির এই স্বতঃস্ফূর্ত ঘোষণায় করতালিতে মুখরিত উঠল উৎসব প্রাঙ্গণ।

সমারোহ শুধু মেলা নয়। যোলোআনা সাহিত্য চর্চার পীঠস্থানও বলা যায় একে। শিল্প-সংস্কৃতি-সাহিত্যপ্রমী জেলা এবং শহর কলকাতার তরুণ-তরুণীদের নিয়ে এই মেলার আয়োজন।  ২৩ টি জেলার প্রায় ৩০০ শিল্পী এখানে অংশগ্রহণ করেছিলেন। সবমিলিয়ে স্টল দেওয়া হয়েছিল ৪০টি। শাড়ি, পাঞ্জাবি, কুর্তি, গয়না, ব্যাগ-ঝুড়ি, বই খাওয়া-দাওয়া থেকে শুরু করে ঘর সাজানোর নানা উপকরণের পসরা সাজিয়ে বসেছিল মেলা। প্রতিটি স্টলই ঘুরে দেখার মত।  আর সবকিছুই এতই মনোহরা যে দেখলেই কিনতে ইচ্ছে করবে। কোনটা ছেড়ে কোনদিকে যাওয়া যায়  তা নিয়েই ভাবনায় পড়তে হবে।

শুধু দোকান বা বিকিকিনিই নয় ‘সমারোহ’ মঞ্চে দিনভর চলল সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান। নাচ, গান, আবৃত্তি, বইপ্রকাশ।  আর সবচেয়ে বড় কথা হল খেলাচ্ছলে নয়। রীতিমতো মহড়া দিয়ে সকলে যে এদিন অনুষ্ঠান মঞ্চস্থ করলেন তা তাঁদের পরিবেশনা দেখেই বোঝা যায়। পেশাদার শিল্পী না হয়েও সবাই যেভাবে নিজেদের পরিবেশনা নিবেদন করলেন তা  অবশ্যই প্রশংসার দাবি রাখে।  সৌরভ বিশাই বললেন ‘আমাদের সমারোহ প্রমাণ করল যে বাংলার তরুণ প্রজন্ম বিপথে যায়নি। তারা  শিল্পে আছে,  সুস্থ সাহিত্যচর্চায় আছে। সংস্কৃতিতে আছে।’

 

Previous articleDhakuria: ঢাকুরিয়া ব্রিজে ধস,গার্ডরেল দিয়ে ঘেরা হল এলাকা
Next articleমানুষের সঙ্গে কংগ্রেসের যোগসূত্র ছিঁড়েছে: স্বীকার করে ‘সম্পর্ক যাত্রা’র ডাক কংগ্রেসের