তৃণমূলের উত্থানকে আড়াল করতে সিপিএমকে অক্সিজেন দিলেন মানিক সাহা

আগামী বিধানসভা নির্বাচনের মাত্র ১০ মাস আগে ত্রিপুরায় বিপ্লব দেবকে সরিয়ে নয়া মুখ্যমন্ত্রী হয়েছেন মানিক সাহা(Manik saha)। মুখ্যমন্ত্রী পদে শপথ গ্রহনের পরই রাজনীতির খেলা শুরু করলেন মানিক। তৃণমূলকে ঠেকাতে কার্যত লড়াইয়ের বাইরে চলে যাওয়া সিপিএমকে(CPIM) অক্সিজেন যোগানোর কাজটা সুকৌশলে শুরু করে দিলেন নয়া মুখ্যমন্ত্রী(Chief Minister)। জানিয়ে দিলেন, ত্রিপুরায়(Tripura) বিজেপির(BJP) মূল প্রতিদ্বন্দ্বী সিপিএম, তৃণমূল নয়। যদিও সাম্প্রতিক রাজনৈতিক প্রেক্ষিতে মানিকের এই মন্তব্য আসলে ক্ষমতা দখলের লড়াইয়ে তৃণমূলের উত্থানকে আড়াল করে সহজ প্রতিপক্ষের লক্ষ্যে বামেদের কিছুটা হারানো আত্মবিশ্বাস ফেরানোর প্রচেষ্টা বলে মনে করছে রাজনৈতিক মহল।

মুখ্যমন্ত্রী হিসাবে শপথ নেওয়ার পর রবিবার সংবাদমাধ্যমের মুখোমুখি হয়ে ত্রিপুরা রাজনীতির প্রেক্ষিতে মানিক সাহা বলেন, “আমাদের দল অত্যন্ত শৃঙ্খলাপরায়ণ দল। আমরা উন্নয়ন ছাড়া কথা বলব না। শান্তি সম্প্রীতি বজায় থাকুক। আমি বিরোধী দলকে সম্মান দিয়ে কাজ করতে চাই। ভারতীয় জনতা পার্টি একটা পরিবার। আমি মনে করি এটা একটা পরিবারের সমস্যা। আমি গণতন্ত্র মানি। আশা করি শীঘ্রই আরও কথা হবে। আমাদের দলে সবাইকে ওয়েলকাম। দরজা খোলা আছে। যারা চলে গেছেন সেটা তাদের ব্যক্তিগত ব্যাপার। তবে আসার রাস্তা খোলা থাকছে।” পাশাপাশি তৃণমূল প্রসঙ্গে তিনি বলেন, তৃণমূল কোনও প্রতিদ্বন্দ্বী নয়, ত্রিপুরায় বিজেপি মুল প্রতিদ্বন্দ্বী সিপিএম।

আরও পড়ুন:বিকল্প জ্বালানির ব্যবহারের লক্ষ্যে রাজ্য, নতুন পাঁচটি সিএনজি চালিত বাস 

প্রসঙ্গত, মাত্র কয়েক মাসের সংগঠনে ত্রিপুরার মাটিতে নিজেদের শক্তি দেখিয়েছে তৃণমূল। ঘাসফুলকে ঠেকাতে প্রতিবেশী এই রাজ্যে হামলা ও মামলার রাজনীতি কিছু কম হয়নি। একের পর এক জায়গায় বেছে বেছে তৃণমূল কর্মীদের মারধোর- মহিলা কর্মীদের উপর নির্যাতন চালিয়ে গিয়েছে বিজেপি আশ্রিত গুণ্ডারা। যদিও তার মাঝেই শেষ পুরসভা নির্বাচনে ২০ শতাংশের বেশি ভোট পেয়েছে তৃণমূল। অন্যদিকে সিপিএমের পরিস্থিতি যদি দেখা যায়, তবে ত্রিপুরায় বাংলার মতো ক্রমশ শক্তি হারাচ্ছে বাম। এই অবস্থায় ২৩-এর লড়াইয়ে বিজেপি মনে প্রাণে চাইছে তৃণমূলের তুলনায় কম শক্তিশালী দল সিপিএম মূল প্রতিদ্বন্দ্বী হিসেবে উঠে আসুক। যার জেরেই ত্রিপুরায় কৃত্রিম প্রচার চালানোর চেষ্টা চলছে বামকে শক্তিশালী হিসেবে দেখানোর। ত্রিপুরাবাসী তৃণমূলকে অতটাও শক্তিশালী হিসেবে মনে না করেন। যদিও ত্রিপুরা বিজেপির সদ্য প্রাক্তন রাজ্যসভাপতি মানিক সাহার এই প্রচেষ্টা একেবারেই কার্যকর হবে না বলে জানাচ্ছে তৃণমূল।




Previous articleবিকল্প জ্বালানি ব্যবহারের লক্ষ্যে রাজ্য, নতুন পাঁচটি সিএনজি চালিত বাস উদ্বোধন
Next articleআগের বিয়ে লুকিয়ে পল্লবীর সঙ্গে লিভ ইন, জানতে পেরেই কী আত্মহত্যা?